ইন্দোর (মধ্যপ্রদেশ), 10 ফেব্রুয়ারি: 13 বছরের কিশোরীর গর্ভপাতের নির্দেশ দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট (Madhya Pradesh High Court) । যৌন নির্যাতনের (Sexual Harassment) জেরে ওই নাবালিকা গর্ভবতী হয়ে পড়ে ৷ পরে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পেরে প্রথমে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন ৷ তারপর গর্ভপাতের জন্য ইন্দোর হাইকোর্টে আবেদন করেন । সেই আবেদনের ভিত্তিতেই আদালত ওই নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছে (MP High Court Allows Abortion) ৷ ফলে ওই নির্যাতিতার গর্ভপাতে আর কোনও বাধা রইল না ৷
আইনজীবী অভিজিৎ পান্ডে ইন্দোর হাইকোর্টে ওই নাবালিকার হয়ে মামলাটি লড়েন ৷ তিনিই নাবালিকার হয়ে গর্ভপাতের (Abortion) অনুমতি চেয়ে পিটিশন দায়ের করেছিলেন । ওই আবেদনের ওপর বিভিন্ন যুক্তি শোনে হাইকোর্ট । অভিজিৎ পান্ডেও আদালতে বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করেন । সব শুনে আদালত একটি কমিটি গঠন করে ৷ কমিটি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে ৷ মেয়েটির বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষাও করানো হয় ৷ শারীরিক পরীক্ষার সেই সব রিপোর্ট ও কমিটির তরফে দেওয়া রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই ওই নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি আদালত দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷
যেহেতু মেয়েটির উপর যৌন নির্যাতন হয়েছিল, তাই পুলিশ এই নিয়ে তদন্তও করছে ৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলাও হয়েছে ৷ তবে তাদের মধ্যে কেউ ধরা পড়েছে কি না, সেই বিষয়টি স্পষ্ট নয় ৷ পুলিশের কাছ থেকেও এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি ৷
এদিকে ওই নাবালিকার গর্ভপাতের বিষয়টি নিয়েও টানাপোড়েন কম হয়নি ৷ কারণ, একদিকে মেয়েটির বয়স অনেক কম ৷ অন্যদিকে সে ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা ৷ ফলে গর্ভপাতের জেরে মেয়েটির প্রাণ সংশয় হতে পারে কি না, সেই বিষয়টি নিয়ে বারবার আলোচনা হয়েছে ৷ তবে শেষ পর্যন্ত মেয়েটির গর্ভপাতের পক্ষেই রায় দিয়েছে আদালত ৷ যদিও এই রায় দিতে গিয়ে আদালত ঠিক কী কী বলেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয় ৷ এদিকে আদালতের রায়ে স্বস্তিতে মেয়ের পরিবার ৷
আরও পড়ুন: ধর্ষণের শিকার নাবালিকাকে গর্ভপাতের অনুমতি উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের