গান্ধিনগর, 18 নভেম্বর: গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ নির্বাচন আদতে নানা রেকর্ডের ভাঙা-গড়ার খেলা । এমন নানা নজির ভাঙা ঘটনার সাক্ষী থেকেছে গুজরাতও । 2022 সালের ভোটেও এমন কিছু রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড তৈরি হতে পারে মোদি-রাজ্যে । তার আগে জেনে নেওয়া যাক অতীতের কিছু বেনজির ঘটনা সম্পর্কে ।
1962 থেকে 2017 সালের পরিসংখ্যানগত ইতিহাস জানাচ্ছে, ঠাকুর শঙ্করজি (খেরালু কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন শঙ্করজি ঠাকুর) সর্বনিম্ন 11 ভোটের ব্যবধানে বিধায়ক হওয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন । তিনি 1975 সালে খেরালু আসন থেকে কংগ্রেসের হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন । 2017 সালে, কংগ্রেস বিধায়ক জিতু চৌধুরী খুব কম ভোট পেয়ে জয়ী হন । পরে বিজেপিতে যোগ দিয়েও মন্ত্রী হন।
1962 সালের বিধানসভা নির্বাচনে জমিদার ফয়জল আব্বাস, মাতার বিধানসভা কেন্দ্রে 33 ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন । এছাড়া 2007 সালে ব্রিজরাজ সিং জাদেজা জামজোগপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস হয়ে লড়েছিলেন ৷ তিনি জিতেছিলেন মাত্র 17 ভোটে।
আরও পড়ুন: বরাবর এই আসনের প্রার্থীরা বড় পদ পেয়েছেন সরকারে, হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও
2017 সালে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে অন্তত 16টি আসনে জয় এবং পরাজয়ের মধ্যে ব্যবধান 3 হাজার ভোটেরও কম ছিল । এর মধ্যে সাতটি আসনে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান ছিল এক হাজারেরও কম । এই 16টি আসনের মধ্যে, বিজেপি 10টি আসন এবং কংগ্রেস 6টি আসন জিতেছে । ভালসাদ জেলার কাপরাদা বিধানসভা (তফশিলি উপজাতি) আসনে, বিজেপি প্রার্থী মধুভাই রাউত কংগ্রেস প্রার্থী জিতুভাই চৌধুরীর কাছে 170 ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন ।
2017 সালে, প্রবীণ বিজেপি নেতা ভূপেন্দ্র সিংহ চুডাসামা ঢোলকা আসনে মাত্র 327 ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করতে সক্ষম হন। অনেকে বিশ্বাস করেন যে বিএসপি, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি এবং দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী এই আসনে প্রায় 11 হাজার ভোট পেয়েছিলেন, যা বিজেপির জয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল । এ নিয়ে আদালতে দীর্ঘ মামলাও হয়েছে । যদিও মামলাটি ভূপেন্দ্রসিংহের পক্ষে যায় শেষমেশ।