নয়াদিল্লি, 25 এপ্রিল : বাইরে সার দিয়ে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ ৷ অথচ তা দাহ করার মতো কাঠই নেই শ্মশানে ! শুক্রবারের ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় পূর্ব দিল্লির ঝিলমিল ওয়ার্ডের জ্বালানগর শ্মশানে ৷ এই খবর চাউর হতেই মৃতদেহ সৎকারে এগিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ যাঁর পক্ষে যতটা সম্ভব মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সাহায্য করেন ৷ এলাকার মানুষই ঘরে মজুত কাঠ শ্মশানে দাহকার্যের জন্য দান করেন ৷
পরিস্থিতি এমন হয় যে কেউ কেউ ঘরের দরজা, জানলা, টেবিল, চেয়ার পর্যন্ত তুলে নিয়ে চলে আসেন শ্মশানে ৷ সেই কাঠেই চলে একের পর দেহ সৎকারের কাজ ৷ স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা পৌরনিগমের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ পঙ্কজ লুথরা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘করোনার দাপট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তদের মৃত্য়ুর ঘটনাও ৷ পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে শ্মশানে জায়গা কম পড়ছে ৷ শবদেহ দাহ করার মতো কাঠও আর পাওয়া যাচ্ছে না ৷’’
আরও পড়ুন : রবিবারের লকডাউনে ঘরবন্দি তামিলনাড়ু, রাস্তায় ঘোড়াদের ঘোরাঘুরি
বিজেপি নেতার দাবি, গত শুক্রবার শ্মশানে কাঠ ফুরিয়ে যাওয়ার খবর কানে যেতেই তা গোটা এলাকার মানুষকে জানিয়ে দেন তিনি ৷ পাশাপাশি, এলাকাবাসীর কাছে আবেদন করেন, কারও ঘরে যদি অব্য়বহৃত কাঠ পড়ে থাকে, তা যেন বাইরে এনে রাখেন তাঁরা ৷ সেই কাঠ শ্মশানে পৌঁছে দেওয়া হবে ৷
পঙ্কজ জানিয়েছেন, তাঁর আবেদনে ব্য়াপকভাবে সাড়া দেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ প্রায় সকলেই নিজেদের সংগ্রহে থাকা বাতিল কাঠের সামগ্রী বাইরে এনে রাখেন ৷ যা পঙ্কজ নিজে গাড়ি করে শ্মশানে পৌঁছে দেন দেন ৷ সব মিলিয়ে দু’ট্রাক কাঠ শ্মশানে সরবরাহ করা হয় ৷ তাতে আপাতত ওই শ্মশানে কাঠের অভাব মেটানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন পঙ্কজ ৷