আমরেলি, 2 অগস্ট: গুজরাতের আমরেলি জেলায় ফের ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল সিংহ শাবকের ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে ৷ আমরেলির সাভারকুন্ডলা জঙ্গলের বোরালা রেলগেটের কাছে মহুয়া-ভাবনগর প্যাসেঞ্জার ট্রেনের নীচে চাপা পড়ে সিংহ শাবকটি ৷ বন দফতরের কর্মীদের অনুমান, মৃত শাবকটির বয়স 3 থেকে 4 মাস ৷ তবে, শাবকটি একা ছিল কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না বনকর্মীরা ৷ উল্লেখ্য, 10 দিন আগে রাজুলা-পিপাওয়াব রেলপথে পণ্যবাহী ট্রেনের ধাক্কায় পাঁচটি সিংহ মারা যায় ৷ যার মধ্যে একটি সিংহ শাবকের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ৷
সিংহ শাবকের মৃত্যুতে চিন্তিত প্রশাসন: এভাবে একের পর এক সিংহ শাবকের মৃত্যুতে চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের ৷ কীভাবে ট্রেনের ধাক্কায় সিংহ শাবকের মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব? জবাবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারক তথা সিংহ বিশেষজ্ঞ জয়দেব ধধল বলেন, “এটা তখনই সম্ভব হবে যখন রেল লাইনের উপর নজরদারি করার লোক রাখা হবে ৷ আর সেটা করতে হবে ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের নজরদারিতে ৷ নজরদারি দলকে প্রতিনিয়ত টহল দিতে হবে ৷ আর বন দফতরের কর্মীদের ট্রেনে থাকতে হবে ৷ জঙ্গলের মাঝে সিংহের এলাকায় ট্রেন পৌঁছলে গতির উপর নজর রাখতে হবে ৷ তিনটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, রেল ও বন বিভাগের সহযোগিতায় কার্যকরী নিয়মবিধি তৈরি করতে পারলেই, একমাত্র সিংহ ও সিংহ শাবকদের মৃত্যু বন্ধ হবে ৷’’
তদন্ত শুরু করেছে বন দফতর: ট্রেনের ধাক্কায় সিংহ শাবকের মৃত্যুর খবর পেয়ে বনকর্মীরা সেখানে পৌঁছন ৷ তারা সিংহ শাবকটির দেহ উদ্ধার করে বলেও জানা গিয়েছে ৷ যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটিকে ‘লায়ন করিডর’ বলা হয়ে থাকে ৷ সেখানে ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার কথা অনেকবার বন দফতরের তরফে বলা হয়েছিল ৷ এক্ষেত্রে তা মানা হয়েছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন দফতরের আধিকারিকরা ৷ গত দশ বছরে আমরেলি জেলায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন দুর্ঘটনায় সিংহের মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে ৷
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতির ব্যাঘ্র দিবসেই করবেট পার্কে বাঘিনীর মৃত্যু
যদিও, ট্রেনের ধাক্কায় সিংহের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে 2016 সাল থেকে মামলা চলছে ৷ যেখানে আদালতের তরফেও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার কথা বলা হয় ৷ তবুও সেই মামলাটি এখনও শুনানি পর্যায়ে রয়েছে ৷ তবে, আদালতের তরফে এমন ঘটনা এড়াতে বন দফতরকে রেল লাইনে নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল ৷ এমনকি ট্রেনের গতি কমানো হচ্ছে কি না, তার উপর নজরদারি চালানোর কথা বলা হয়েছিল ৷ তবে, সেই নির্দেশ নিয়মিত পালন হওয়া নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে ৷