নয়াদিল্লি, 27 জুলাই: সামনেই দিল্লিতে G-20 সম্মেলন ৷ রাজধানীতে প্রচুর বিদেশি অতিথিদের সমাগম হবে ৷ সেই দিকে নজর রেখে দিল্লির বিভিন্ন এলাকাগুলিকে আরও সুন্দর ও সুশৃঙ্খল করার কাজ চলছে গত কয়েক মাস ধরে । বুধবার গভীর রাতে সেই কাজ পরিদর্শন করতে রাজপথে নেমে গেলেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি-সহ নয়াদিল্লি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল(এনডিএমসি ) এর শীর্ষ আধিকারিকরা ।
লেফটেন্যান্ট গভর্নর দিল্লি বিমানবন্দর থেকে নয়াদিল্লি আসার রাস্তাগুলি পরিদর্শন করেন ৷ এই পথ দিয়ে বিদেশি অতিথিরা যাতায়াত করবে । সেখানে ভাঙা টাইলস, এলোমেলোভাবে পড়ে থাকা পাত্র, রাস্তার আলো বন্ধ-সহ বেহাল পরিস্থিতি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি । অবিলম্বে এগুলি ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছেন বিনয় কুমার সাক্সেনা । এনডিএমসির সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিককে এই ধরনের ছোটখাটো বিষয়ে খুব সাবধানে কাজ করতে বলা হয়েছে ।
প্রসঙ্গত, জি-20 সম্মেলনের জন্য গত কয়েক মাস ধরেই ঢেলে সাজানো হচ্ছে দিল্লিকে । এনডিএমসি ছাড়াও এমসিডি, দিল্লি ক্যান্ট বোর্ড, পাবলিক ওয়ার্ক ডিপার্টমেন্ট এই কাজ করছে । সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লিতে জি-20'র মূল সম্মেলন হওয়ার কথা । বুধবার গভীর রাতে হঠাৎ করে লেফটেন্যান্ট গভর্নর রাস্তায় নেমে আসার খবর পান বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি ৷ এরপর তিনিও বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে রাস্তা পরিদর্শন করেন ।
আরও পড়ুন: ভারতের পর্যটনের মূলমন্ত্র অতিথি দেব ভব, জি 20 বৈঠকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
পরে তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে কটাক্ষ করে টুইট করেন । তাতে মনোজ তিওয়ারি লেখেন, "আমি দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে মাঝরাতে রাস্তায় টব বসাতে দেখেছি । খারাপ লাইট ঠিক করা ও ভাঙা টাইলস পুনরায় লাগানো হচ্ছে । 6 লক্ষ পাত্রের অর্ডার দেওয়া হয়েছে এবং টবে লাগানো হচ্ছে অমৃতের মতো চারাগাছ । তিনি রাস্তায় নেমেছে শুনেই আমি সেখানে গেলাম ৷ প্রায় 4 কিমি হেঁটে দিল্লিকে সাজানোর তাঁর এই উদ্যোগে আমি অবাক । আমি নিজের চোখে দেখালাম তিনি নিজে প্রতিটি জিনিসকে ঠিক করেছেন ।"
মনোজ তিওয়ারি আরও লেখেন, "আমি আবার অনুভব করলাম যে তিনি আমাদের স্থানীয় অভিভাবকও । তাঁকে অনুরোধ করায় তিনি একজনের বাড়িতে চা খেতেও এগিয়ে যান । যখন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীশমহলে এক কোটির বিছানায় ঘুমোচ্ছেন, তখন এলজি সেবার কাজে দিল্লির রাস্তায় নেমেছেন । এটাই মোদির কাজের স্টাইল ।"