ETV Bharat / bharat

Law Commission on Age of Consent: যৌনতার সম্মতির বয়স 16 করলে বাল্যবিবাহ-শিশুপাচার বাড়বে, মত আইন কমিশনের

Law Commission on Reducing age of consent: যৌনতায় সম্মতির বয়স কি 18 থেকে কমিয়ে 16 করা উচিত ? ভারতের আইন কমিশন মনে করে এমন সিদ্ধান্ত না নেওয়াই উচিত ৷ তাহলে বাল্যবিবাহ-শিশুপাচার বাড়বে ৷

Law Commission on Age of Consent
Law Commission on Age of Consent
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 29, 2023, 8:09 PM IST

নয়াদিল্লি, 29 সেপ্টেম্বর: যৌনতায় সম্মতির বয়স 18 থেকে 16-তে আনা হলে সমাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করে ভারতের আইন কমিশন ৷ তাদের মতে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে দেশে আবার বাল্যবিবাহ বাড়বে ৷ শিশুপাচারের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে ফের ৷ সম্প্রতি তাদের এক রিপোর্টে আইন কমিশন এই মত প্রকাশ করেছে ৷

ওই রিপোর্টে শিশুদের বিকাশের উপর জোর দেওয়া হয়েছে ৷ বেড়ে ওঠার বয়সে শিশুরা যাতে যৌন নির্যাতন সম্পর্কে সঠিক তথ্য পায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে ৷ কমিশনের প্রস্তাব, একটি শিশু তার শরীরকে কীভাবে জানবে, বেড়ে ওঠার বয়সে তার মধ্যে কী ধরনের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন আসবে, এই বিষয়ে সচেতন করতে হবে ৷ স্কুলের পাঠক্রমে এই বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করা সেই কারণে জরুরি ৷ তাছাড়া তাদের জানাতে হবে অল্পবয়সে যৌনতায় জড়িয়ে পড়লে স্বাস্থ্যে কী কী খারাপ প্রভাব পড়তে পারে ৷

কমিশনের আরও প্রস্তাব, বিস্তৃত ও বয়স-উপযুক্ত যৌনশিক্ষাকে স্কুল পাঠ্যক্রমের একটি বাধ্যতামূলক অংশ করা উচিত এবং রাষ্ট্রীয় কিশোর স্বাস্থ্য কর্মক্রমের মতো সরকারি প্রোগ্রামগুলিকে কিশোর-কিশোরীদের সচেতন করার কাজে ব্যবহার করা উচিত ৷

আইন কমিশন আইন ও বিচার মন্ত্রকের কাছে তাদের এই রিপোর্ট জমা দিয়েছে ৷ সেখানেই তারা 16-18 বছর বয়সীদেরও শিশু হিসেবেই ধরা হোক বলে সুপারিশ করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি বলা হয়েছে, প্রয়োজনে তাদের সুরক্ষাও সুনিশ্চিত করা উচিত ৷ তাই যৌনতায় সম্মতির বয়স কমানো উচিত নয় বলেই মনে করে আইন কমিশন ৷

আইন কমিশন আরও জানিয়েছে, যদিও বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় ক্লোজ-ইন-এজে ছাড়গুলিকে অনেকাংশে অপর্যাপ্ত বলে মনে হয় ৷ এক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার হওয়া শিশু এবং অভিযুক্তের মধ্যে বয়সের পার্থক্য (সম্মতি থাকলেও) একটি প্রাসঙ্গিক কারণ হওয়া উচিত । আদালতের এই বিষয়টি সাবধানে বিবেচনা করা উচিত ৷ বাস্তব পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী শিশু ও অভিযুক্তের মধ্যে বয়সের পার্থক্য তিন বছরের কম হলে কমিশন বিবেচনা করে যে সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিচারবিভাগীয় বিচক্ষণতা হয়রানি কমাতে পারে ৷

কমিশনের আরও প্রস্তাব, জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টের অধীনে জঘন্য অপরাধের ক্ষেত্রে একজন শিশুকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে বিচার করা যেতে পারে । পকসো আইনের ধারা 3 এবং 7 এর অধীনে সংজ্ঞায়িত অপরাধগুলি জঘন্য প্রকৃতির এবং যৌনতা সম্মতিক্রমে হলেও প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে অভিযুক্তকে বিচার হওয়ার আশঙ্কা সবসময়ই থাকে ৷ অন্যদিকে প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে বিচার না করা এবং জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট অনুসারে বিচারের সুবিধা দেওয়ার জন্য ওই আইনে পরিবর্তন আনা জরুরি ৷

আরও পড়ুন: 'মা হতে রাজি নই', অন্তঃসত্ত্বা কুমারীর গর্ভপাতে সম্মতি সুপ্রিম কোর্টের

নয়াদিল্লি, 29 সেপ্টেম্বর: যৌনতায় সম্মতির বয়স 18 থেকে 16-তে আনা হলে সমাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করে ভারতের আইন কমিশন ৷ তাদের মতে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে দেশে আবার বাল্যবিবাহ বাড়বে ৷ শিশুপাচারের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে ফের ৷ সম্প্রতি তাদের এক রিপোর্টে আইন কমিশন এই মত প্রকাশ করেছে ৷

ওই রিপোর্টে শিশুদের বিকাশের উপর জোর দেওয়া হয়েছে ৷ বেড়ে ওঠার বয়সে শিশুরা যাতে যৌন নির্যাতন সম্পর্কে সঠিক তথ্য পায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে ৷ কমিশনের প্রস্তাব, একটি শিশু তার শরীরকে কীভাবে জানবে, বেড়ে ওঠার বয়সে তার মধ্যে কী ধরনের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন আসবে, এই বিষয়ে সচেতন করতে হবে ৷ স্কুলের পাঠক্রমে এই বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করা সেই কারণে জরুরি ৷ তাছাড়া তাদের জানাতে হবে অল্পবয়সে যৌনতায় জড়িয়ে পড়লে স্বাস্থ্যে কী কী খারাপ প্রভাব পড়তে পারে ৷

কমিশনের আরও প্রস্তাব, বিস্তৃত ও বয়স-উপযুক্ত যৌনশিক্ষাকে স্কুল পাঠ্যক্রমের একটি বাধ্যতামূলক অংশ করা উচিত এবং রাষ্ট্রীয় কিশোর স্বাস্থ্য কর্মক্রমের মতো সরকারি প্রোগ্রামগুলিকে কিশোর-কিশোরীদের সচেতন করার কাজে ব্যবহার করা উচিত ৷

আইন কমিশন আইন ও বিচার মন্ত্রকের কাছে তাদের এই রিপোর্ট জমা দিয়েছে ৷ সেখানেই তারা 16-18 বছর বয়সীদেরও শিশু হিসেবেই ধরা হোক বলে সুপারিশ করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি বলা হয়েছে, প্রয়োজনে তাদের সুরক্ষাও সুনিশ্চিত করা উচিত ৷ তাই যৌনতায় সম্মতির বয়স কমানো উচিত নয় বলেই মনে করে আইন কমিশন ৷

আইন কমিশন আরও জানিয়েছে, যদিও বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় ক্লোজ-ইন-এজে ছাড়গুলিকে অনেকাংশে অপর্যাপ্ত বলে মনে হয় ৷ এক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার হওয়া শিশু এবং অভিযুক্তের মধ্যে বয়সের পার্থক্য (সম্মতি থাকলেও) একটি প্রাসঙ্গিক কারণ হওয়া উচিত । আদালতের এই বিষয়টি সাবধানে বিবেচনা করা উচিত ৷ বাস্তব পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী শিশু ও অভিযুক্তের মধ্যে বয়সের পার্থক্য তিন বছরের কম হলে কমিশন বিবেচনা করে যে সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিচারবিভাগীয় বিচক্ষণতা হয়রানি কমাতে পারে ৷

কমিশনের আরও প্রস্তাব, জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টের অধীনে জঘন্য অপরাধের ক্ষেত্রে একজন শিশুকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে বিচার করা যেতে পারে । পকসো আইনের ধারা 3 এবং 7 এর অধীনে সংজ্ঞায়িত অপরাধগুলি জঘন্য প্রকৃতির এবং যৌনতা সম্মতিক্রমে হলেও প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে অভিযুক্তকে বিচার হওয়ার আশঙ্কা সবসময়ই থাকে ৷ অন্যদিকে প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে বিচার না করা এবং জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট অনুসারে বিচারের সুবিধা দেওয়ার জন্য ওই আইনে পরিবর্তন আনা জরুরি ৷

আরও পড়ুন: 'মা হতে রাজি নই', অন্তঃসত্ত্বা কুমারীর গর্ভপাতে সম্মতি সুপ্রিম কোর্টের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.