নয়াদিল্লি,15 জুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে নতুন করে তৎপরতা শুরু। কীভাবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করা যেতে পারে তা জানতে পরামর্শ চাইল 22তম 'ল কমিশন'। সাধরণ নাগরিকদের পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের থেকেও পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে এনআরসি থেকে শুরু করে সিএএ-র মতো একাধিক বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার গেরুয়া শিবিরের আরও একটি দীর্ঘকালীন দাবি পূরণের লক্ষ্যে তৎপরতা শুরু হল।
কমিশনের তরফে বুধবার একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে। তাতে লেখা কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের 2016 সালের 17 জুনের বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন নাগরিক থেকে শুরু করে ধর্মীয় সংগঠনের থেকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সম্পর্কে পরামর্শ চাইছে । 30 দিনের মধ্যে ই-মেল করে কমিশনকে যে কেউ নিজের বক্তব্য জানাতে পারবেন। কমিশনের দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করেও পরামর্শ জানানো যাবে।
তাছাড়া লিখিতভাবেও কমিশনকে পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। এই ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে কমিশন সকলের সঙ্গেই কথা বলতে চায় বলে নোটিশে জানানো হয়েছে। এই প্রথম নয়, এর আগে 21তম কমিশনও এভাবেই জনগণের থেকে পরামর্শ চেয়েছিল। সে কথা মাথায় রেখেই নয়া কমিশনও একই পথে হাঁটল ।
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করার দাবি দীর্ঘদিনের। বহুকাল ধরেই নির্বাচনী ইস্তেহারেও স্থান পেয়ে এসেছে এই দাবি। বিজেপি বরাবর অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে। 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর থেকেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরের এই দাবি উঠছিল। শেষমেশ সেদিকেই এগোচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন: মন্ত্রীর গ্রেফতারিতে আইনের অপপ্রয়োগ হয়েছে, মাদ্রাজ হাইকোর্টে মামলা সেন্থিল বালাজির স্ত্রী'র
ফৌজদারি বা অপরাধমূলক মামলার ক্ষেত্রে সকলের জন্য আইন এক কিন্তু দেওয়ানির ব্যাপারে বিষয়টি অন্য রকম। তার ফলে বিয়ে থেকে শুরু করে বিবাহ বিচ্ছেদের মতো বিষয়ের ক্ষেত্রে একই দেশে একাধিক আইন থাকায় নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হয় বলে বিভিন্ন মহলের দাবি। পাশাপাশি ওঠে বৈষম্যের অভিযোগ। সেদিক থেকেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করার দাবি উঠছে । এবার তা নিয়ে নতুন করে তৎপরতা শুরু হল ।