হায়দরাবাদ, 6 ফেব্রুয়ারি : না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন ‘ডটার অফ দ্য নেশন’ (Lata Mangeshkar passes away at 92) । তাঁর প্রয়াণে শোকাহত গোটা দেশ । স্মৃতিচারণে উঠে আসছে নানা গল্পের কথা । সুরসম্রাজ্ঞীর ক্রিকেট প্রেমের কথা প্রত্যেকের জানা ৷ একাধিকবার নিজেই জানিয়েছেন, সচিনের সঙ্গে তাঁর ‘পারিবারিক সম্পর্ক’ ৷ কিন্তু অনেকেই জানেন না, কিংবদন্তির সাহায্য পুষ্ট হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট এবং ক্লাব ফুটবলও ।
সালটা 1983 । 25 জুন সুরকার অজয় দাস এবং পরিচালক সুখেন দাসের উপস্থিতিতে তাপস পাল-মহুয়া রায়চৌধুরী অভিনীত ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ সিনেমার গান রেকর্ড হচ্ছে মুম্বইয়ের স্টুডিওতে । তার কিছুক্ষণ পরেই ভারতীয় দল লর্ডসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ফাইনাল খেলতে নামবে ৷ ‘আমি যে কে তোমার, তুমি তা বুঝে নাও’ গানটির রেকর্ডিং শেষে লতা সুরকার এবং পরিচালককে ডেকে বলেন, ভারত বিশ্বকাপ জিতলে এই গানের সাম্মানিক তিনি নেবেন না । কপিলের হাতে বিশ্বকাপ ওঠায় কথামত ওই গানের সম্মানিক নেননি তিনি ।
প্রথমবার বিশ্বসেরা হয়েছে ভারত । ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ঠিক করল, আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে খেলোয়াড়দের । কিন্তু অর্থের জোগান আসবে কোথা থেকে ? বোর্ড কর্তা রাজ সিং দুঙ্গারপুরের দ্বারস্থ হল বোর্ড । তাঁর সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল লতার ৷ ফলে একটি অনুষ্ঠান করে দেওয়ার জন্য লতাকে অনুরোধ করলেন দুঙ্গারপুর । সেই অনুরোধ ফেরাননি সুরসম্রাজ্ঞী ৷ বিনা পারিশ্রমিকে নয়াদিল্লির নেহরু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠান করলেন তিনি । সংগৃহীত অর্থ তুলে দেওয়া হল কপিলদেবদের হাতে ।
আরও পড়ুন : ‘কত বৃষ্টি হয়েছে মন জুড়ে’, হৃদয় ছোঁয়া লতা-হেমন্তর গান
1988 সাল । ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রি-প্ল্যাটিনাম জুবিলি বর্ষ । ঠিক হল বড় অনুষ্ঠান করা হবে । গান গাইবেন লতা মঙ্গেশকর । ক্লাব কর্তা সুপ্রকাশ গড়গড়ির সঙ্গে গায়িকার সম্পর্ক ভাল । অতএব তাঁর মাধ্যমে পৌঁছল অনুরোধ । তাঁকেও ফেরাননি লতা ৷ সেদিন থেকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের আজীবন সদস্যও হয়েছিলেন তিনি ।
2011 বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি ভারত-শ্রীলঙ্কা । ভারতের কাপ জয়ের প্রার্থনায় উপোস করেছিলেন তিনি । টুর্নামেন্টে সচিনের ব্যাটিংয়ের সময় ঠায় বসে থাকতেন টিভির সামনে । এই ছোট ছোট ঘটনাই ক্রীড়া জগতের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে সুরসম্রাজ্ঞীর নাম ৷