পূর্ণিয়া (বিহার),28 সেপ্টেম্বর: মিথিলেশ সিং শ্রীবাস্তব ওরফে নটবরলালের কথা সকলেই কমবেশি জানেন। তথ্য বলছে, বিহারের এই আইনজীবী মোট তিনবার তাজমহল বিক্রি করে দিয়েছিলেন! ঐতিহাসির ইমারত থেকে শুরু করে সরকারি ভবন মোটা টাকায় বিক্রি করে দেওয়া তাঁর কাছে ছিল জলভাত। বাস্তবের সেই গল্প বড়পর্দায় তুলে ধরেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। এবার সেই বিহারেই ঘটল এক পুকুর চুরি থুড়ি স্কুল চুরির ঘটনা। পূর্ণিয়ার একটি সরকারি স্কুল বিক্রি করে দিলেন কয়েকজন। চমকের শেষ এখানেই নয়। আরও জানা গিয়েছে, জমি কিনেছেন স্কুলেরই দুই প্রাক্তন পড়ুয়া।
1959 সালে রাজা পৃথ্বীরাজ চাঁদ এই স্কুল তৈরির জন্য জমি দিয়েছিলেন। তাঁর নামেই স্কুলের নাম হয় রাজা পৃথ্বীরাজ চাঁদ হাইস্কুল। স্কুল পরিচালনার ভার নেয় সরকার। এরপর গত কয়েক দশক ধরে এলাকার অভিভাবকদের অন্যতম ভরসা স্কুল হয়ে ওঠে এটি। আশপাশের এলাকা থেকেও ছেলেমেয়েরা পড়তে আসে এখানে। স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য বলছে মোট 44 ডেসিমেল জমি দান করেছিলেন রাজা। সেখানেই স্কুল তৈরি হয়। এবার সেই জমিই বিক্রি হয়ে গেল।
জানা গিয়েছে, গত 5 এবং 16 সেপ্টেম্বর স্কুলের জমি বিক্রি করে দেন 6 জন । নিজেদের রাজার বংশধর দাবি করে এই বিপুল পরিমাণ জমি বিক্রি করা হয়। বিক্রির 12 ঘণ্টার মধ্যেই মিউটেশনের কাজ পর্যন্ত হয়ে যায়। এই ঘটনার কয়েকদিন পর বিষয়টি জানাজানি হয়। তৎপর হয় স্কুলও। জেলা প্রশাসনের তথ্য বলছে, 8 কাঠা জমি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তবে ঠিক কত টাকায় লেনদেন হয়েছে তা এখনও জানায়নি প্রশাসন।
স্কুল থেকে এই খবর জানতে পেরে প্রশাসনের তরফে এই সংক্রান্ত লেনদেনের নথি খতিয়ে দেখা হয়। এখন সেগুলি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আপাতত যাতে কেউ স্কুলের জমির দখল নিতে না পারে তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে প্রশাসন। পাশাপাশি স্কুলের প্রধান শিক্ষিক আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করছেন। আইন বলছে, এই জমির লেনদেন বাতিল করতে স্কুলকে উচ্চ আদালতে আবেদন করতে হবে। আপাতত সেই কাজই শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাবালিকার উপর অত্যাচারের অভিযোগে ধৃত সেনা আধিকারিক ও তার স্ত্রী