নয়াদিল্লি, 29 সেপ্টেম্বর : কেন্দ্রীয় সরকার পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা পিএফআই (PFI)-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ৷ কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav) ৷ একই সঙ্গে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস (RSS)-কেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি তুলেছেন ৷
তিনি বলেন, ‘‘শুধু কেন পিএফআই-কে নিষিদ্ধ করা হবে ৷ আরএসএস-কেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত ৷ শুধু সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, এমন ভুল বার্তা যেন না যায় ৷ জরুরি অবস্থার সময় আরএসএস-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল ৷ আরএসএস দুর্গাবাহিনীও তৈরি করেছিল ৷ এই ধরনের সব সংগঠন নিষিদ্ধ করা উচিত এবং তাদের কাজ নিয়ে তদন্ত করা উচিত ৷’’
বিহারে আরজেডি (RJD) এখন জেডিইউ-এর সঙ্গে জোট সরকারে রয়েছে ৷ লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ডেপুটি ৷ স্বাভাবিক ভাবে তাই আরজেডির সুরেই এই ইস্যুতে মন্তব্য করেছে জেডিইউ (JDU) ৷ দলের নেতা ও বিহার সরকারের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী জামা খান বলেন, ‘‘মানুষ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে হাসাহাসি করছে ৷ এই লোকগুলো এখন অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে ৷ যা মনে হচ্ছে, তাই করছে ৷ প্রথমে তদন্ত করে দেখা উচিত ছিল ৷ তার পর কোনও প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নিতে পারত ৷ প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই একাধিক শাখা থাকে ৷ সেগুলি রাজনীতিতেও সক্রিয় থাকে ৷ পিএফআই-কে নিষিদ্ধ করে সমাজের একটি অংশের ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা ইচ্ছাকৃতভাবে দেওয়া হচ্ছে ৷’’
তাঁর আরও অভিযোগ, বিজেপি 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2024) রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার জন্যই পিএফআই-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ৷ কিন্তু এই সিদ্ধান্তের ফলে বিজেপির কোনও লাভ হবে না ৷
অন্যদিকে বিহারে বিজেপির নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুশীল কুমার মোদি এই ইস্যুতে পালটা তোপ দেগেছেন বিরোধীদের বিরুদ্ধে ৷ তাঁর অভিযোগ, পিএফআই সন্ত্রাসবাদে মদত দিচ্ছে ৷ বিদেশি তহবিল সংগ্রহ করে আইসিসের মতো সংগঠনের জন্য জঙ্গিদের অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দেয় ৷
তাঁর অভিযোগ, জুলাইয়ের 14 তারিখ যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) বিহারে এসেছিলেন, তখন তাঁকে হত্যার ছক কষেছিল পিএফআই ৷ বাম দলগুলি তখন সমর্থন করেছিল পিএফআই-কে ৷ পরে আরজেডি ও কংগ্রেসও সমর্থন করেছে পিএফআই-এর কার্যকলাপকে ৷
আরও পড়ুন : পিএফআই-এর উপর নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন করে আরএসএস-কে নিষিদ্ধ করার দাবি কংগ্রেস-আইইউএমএলের