জয়পুর, 31 মার্চ : "আমার মৃত্যুই প্রমাণ করবে যে আমি নির্দোষ ৷ দয়া করে নিরপরাধ চিকিৎসকদের হয়রান করবেন না", সুইসাইড নোটে এমনটাই লিখে গিয়েছেন চিকিৎসক অর্চনা শর্মা ৷ মঙ্গলবার, 29 মার্চ আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি ৷ তাঁর মৃত্যু ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ এই ঘটনায় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র গোঠবালকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থানের পুলিশ (Lalsot Police arrests BJP leader Jitendra Gothwal over Dr Archana Sharma's death) ৷
কী হয়েছিল ?
রাজস্থানের দৌসায় চিকিৎসক অর্চনা শর্মার নিজের একটি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৷ 28 মার্চ, সোমবার ওই হাসপাতালে একজন গর্ভবতী মহিলার প্রসবকালীন অস্ত্রোপচারের সময় মৃত্যু হয় ৷ তাঁর মৃত্যুতে পরিবারের লোকজন হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ আনে ৷
ওই দিনই বিকেলে লালসোট থানায় চিকিৎসক অর্চনা শর্মার বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির 302 ধারায় খুনের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয় ৷ এতে মানসিক চাপে ছিলেন চিকিৎসক ৷ এর মধ্যে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র গোঠবাল ডাঃ শর্মার হাসপাতালে মৃত গর্ভবতী মহিলার পরিবারের সঙ্গে ধর্নায় বসেন ৷ পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তোলেন ৷ এই ঘটনায় আতঙ্কিত চিকিৎসক অর্চনা শর্মা অবসাদে চলে যান ৷ শেষমেশ এ থেকে বেরবার কোনও উপায় না পেয়ে নিজেকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন ডাঃ অর্চনা ৷
আরও পড়ুন : Doctor Suicide : রাজ্যের বদলি নীতির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে আত্মঘাতী চিকিৎসক
-
कोविड के दौरान बिजली जैसी अत्यावश्यक सेवा से जुड़े राजकीय कर्मचारियों ने अपना जीवन दांव पर लगाकर प्रदेशवासियों के जीवन की रक्षा में महत्वपूर्ण भूमिका निभाई। ऐसे कार्मिकों के साथ मारपीट कर कानून अपने हाथ में लेने का अधिकार किसी को भी नहीं है।
— Ashok Gehlot (@ashokgehlot51) March 30, 2022 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">कोविड के दौरान बिजली जैसी अत्यावश्यक सेवा से जुड़े राजकीय कर्मचारियों ने अपना जीवन दांव पर लगाकर प्रदेशवासियों के जीवन की रक्षा में महत्वपूर्ण भूमिका निभाई। ऐसे कार्मिकों के साथ मारपीट कर कानून अपने हाथ में लेने का अधिकार किसी को भी नहीं है।
— Ashok Gehlot (@ashokgehlot51) March 30, 2022कोविड के दौरान बिजली जैसी अत्यावश्यक सेवा से जुड़े राजकीय कर्मचारियों ने अपना जीवन दांव पर लगाकर प्रदेशवासियों के जीवन की रक्षा में महत्वपूर्ण भूमिका निभाई। ऐसे कार्मिकों के साथ मारपीट कर कानून अपने हाथ में लेने का अधिकार किसी को भी नहीं है।
— Ashok Gehlot (@ashokgehlot51) March 30, 2022
মৃত্যুর চরম মুহূর্তে লেখা ওই নোটে তিনি উল্লেখ করেছেন, তাঁর স্বামী এবং সন্তানদের যেন কোনও ভাবে হয়রান করা না হয় ৷ পাশাপাশি নিরপরাধ চিকিৎসকদের কথাও জানিয়েছেন ৷ তিনি লিখেছেন, "আমি আমার স্বামী আর বাচ্চাদের খুব ভালবাসি ৷ দয়া করে আমার মৃত্যুর পর তাদের কোনওভাবে হেনস্থা করবেন না ৷ আমি কোনও ভুল করিনি, কাউকে হত্যা করিনি ৷ পিপিএইচ একটা জটিলতা ৷ এর জন্য চিকিৎসকদের টানাহেঁচড়া করা বন্ধ করুন ৷ আমার মৃত্যুই হয়তো আমায় নির্দোষ প্রমাণ করবে...৷" স্বামীকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, "তোমাকে ভালবাসি ৷ আমার বাচ্চারা যেন তাদের মায়ের অভাব বোধ না করে ৷"
জানা গিয়েছে, রাজনৈতিক চাপে পড়ে লালসোট পুলিশ চিকিৎসক অর্চনার বিরুদ্ধে 302 ধারায় খুনের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছিল ৷ বুধবার এ নিয়ে তোলপাড় হয় রাজস্থান রাজনীতি ৷ সাসপেন্ড করা হয় লালসোট থানার ওসি অঙ্কিত চৌধুরীকে ৷ এমনকি রাজস্থানের গেহলট সরকার ডাঃ অর্চনা শর্মার মামলাটি ঠিকমতো সামলাতে না পারার দায়ে দৌসার এসপিকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ৷
বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Rajasthan CM Ashok Gehlot) টুইট করে ডাঃ অর্চনা শর্মার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন ৷ তিনি বলেন, "যদি ডাক্তারদের এই ভাবে হুমকি দেওয়া হয়, তাহলে তাঁরা শান্তিতে কাজ করবেন কী ভাবে ? আমাদের সকলের মনে রাখা উচিত তাঁরা নিজেদের জীবন বাজি রেখে করোনার সময় কী ভাবে সেবা করে গিয়েছেন ৷ এই পুরো বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে৷ দোষীদের ছাড়া হবে না ৷"