কোল্লাম (কেরল), 10 মে: কেরলের কোল্লাম জেলায় মহিলা চিকিৎসককে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁরই রোগীর বিরুদ্ধে ৷ বুধবার ভোর 4টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে কোল্লাম জেলার কোট্টারাক্কারা তালুক হাসপাতালে ৷ জানা গিয়েছে সন্দীপ নামে এই ব্যক্তিকে অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারই চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ চিকিৎসা চলাকালীন বছর বাইশের চিকিৎসক বন্দনা দাসের উপর হাসপাতালের কাঁচি ও স্ক্যালপ নিয়ে হামলা চালায় সন্দীপ ৷ পাশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন আহত চিকিৎসকের মৃত্যু হয় ৷ পুলিশ অভিযুক্ত সন্দীপকে গ্রেফতার করেছে ৷
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী কোল্লাম পুলিশ জানিয়েছে, পুয়াপল্লি এলাকার বাসিন্দা সন্দীপের তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মারামারি হয় ৷ এই ঘটনায় তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করে ৷ তাঁর পায়ে আঘাত লেগেছিল মারপিটের সময় ৷ সেই ক্ষতের চিকিৎসা করাতেই কোট্টারাক্কার তালুক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় সন্দীপকে ৷ সেখানে চিকিৎসক তাঁর ক্ষতের চিকিৎসা করছিলেন ৷ ঠিক সে সময় হঠাৎই সন্দীপ হিংস্র হয়ে ওঠেন ৷ হাসপাতালের মেডিক্যাল সিজার এবং স্ক্যালপ নিয়ে চিকিৎসক বন্দনা দাসের উপর প্রথমে হামলা চালান তিনি ৷
জানা গিয়েছে, হামলার জেরে চিকিৎসকের গলায় ও বুকে একধিক গভীর ক্ষত তৈরি হয় ৷ সেই সময়ে আশেপাশে থাকা চিকিৎসক, চিকিৎসা কর্মী ও পুলিশ সন্দীপকে আটকাতে যায় ৷ কিন্তু, তাঁদের উপরেও হামলা চালান অভিযুক্ত যুবক ৷ ঘটনায় চিকিৎসক ছাড়াও এক পুলিশ কর্মী-সহ 5 জন আহত হয়েছেন ৷ তবে, চিকিৎসক বন্দনা দাসের আঘাত গুরুতর ছিল ৷ তাঁকে কাছের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কিন্তু, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ পুলিশ সন্দীপের বিরুদ্ধে খুন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে ৷ তাঁকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: ঘুমন্ত স্ত্রী ও দুই ছেলেকে কুপিয়ে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা ব্যক্তির
মৃত চিকিৎসক বন্দনা দাস কোট্টায়ামের বাসিন্দা ৷ তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ কিন্তু, হঠাৎ করে চিকিৎসকের উপর কেন হামলা চালালেন অভিযুক্ত ? সেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে ৷ ঘটনায় বাকি আহতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে ৷ ঘটনার সময় উপস্থিত হাসপাতালের বাকি চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷ নিহত চিকিৎসককে আগে থেকে সন্দীপ চিনতেন কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।