কন্নুর, 22 সেপ্টেম্বর: সংঘর্ষের মাঝে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে ৷ তাই মণিপুর ছেড়ে কুকি সম্প্রদায়ের 23 জন পড়ুয়া কেরলে পৌঁছলেন ৷ কেরলের কন্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন এই কুকি পড়ুয়ারা ৷ শুধু তাই নয়, এর জন্য তাঁদের কোনও টাকা দিতে হবে না ৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও মূল্য ছাড়াই পড়ুয়াদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে ৷ বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ওই পড়ুয়াদের বিনামূল্যে থাকার ব্যবস্থা করা হবে, খাবারের জন্য কোনও টাকা দিতে হবে না ৷ এমনকী পড়াশোনার ব্যবস্থাও হবে বিনামূল্যে ৷
3 মে থেকে মণিপুরে কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে চলেছে ৷ উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে কার্যত অচল হয়ে গিয়েছে জনজীবন ৷ এই পরিস্থিতিতে কেরলের কন্নুর বিশ্ববিদ্যালয় মণিপুরের ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে ৷ গত 7 জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ মণিপুরে ছাত্র সংগঠনগুলির আবেদন খতিয়ে দেখে এই পদক্ষেপ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৷
বুধবার মণিপুর থেকে প্রথম ব্যাচের পড়ুয়ারা কেরলের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছেছেন ৷ কন্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোপীনাথ রবীন্দ্রন জানিয়েছেন, মণিপুরের 70 জন পড়ুয়া কন্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে ৷ বাকি পড়ুয়ারাও বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন, জানিয়েছেন উপাচার্য ৷
মণিপুর থেকে আসা পড়ুয়াদের পড়াশোনার বিষয়টি ভালোভাবে দেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং সিন্ডিকেটের সদস্যদের নেতৃত্বে বিশেষ কমিটি গঠিত হয়েছে ৷ পড়ুয়ারা মণিপুরে কী পড়াশোনা করেছে এবং কন্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কোর্স করবে, তার মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখার কাজটি করবে এই কমিটি ৷ এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার প্রক্রিয়াটিও পরিচালনা করবে তারা ৷
আরও পড়ুন: ইম্ফলে থানায় ঢোকার চেষ্টা উন্মত্ত জনতার, চলল টিয়ার গ্যাস; ফের জারি কার্ফু
দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মণিপুরে বহু মানুষ ঘরদোর ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছে ৷ এর মধ্যে খোয়া গিয়েছে পড়ুয়াদের প্রয়োজনীয় নথিপত্রও ৷ তাই অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় সেইসব নথি দিতে পারেননি ৷ তবে এর জন্য পড়ুয়াদের ভর্তি হওয়া এবং পড়াশোনার প্রক্রিয়াটি বন্ধ হবে না ৷ তাঁরা কন্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁদের পড়াশোনা শেষ করার পরে প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে পারবেন ৷ মণিপুর থেকে আসা পড়ুয়াদের লেখাপড়ায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন স্বয়ং উপাচার্য ৷