ETV Bharat / bharat

Amritpal Singh Arrested: পরিবহণের ব্যবসা থেকে খালিস্তানি নেতা, কীভাবে উত্থান অমৃতপালের ?

পারিবারিক পরিবহণ ব্যবসা থেকে খালিস্তানি আন্দোলনের নেতা হয়ে ওঠা ৷ প্রায় 2 মাস পালিয়ে বেড়ানোর পর অবষেশে পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন অমৃতপাল সিং ৷ কীভাবে তাঁর উত্থান ?

Amritpal Singh ETV BHARAT
Amritpal Singh
author img

By

Published : Apr 23, 2023, 10:58 AM IST

চন্ডিগড়, 23 এপ্রিল: কয়েকমাসের চেষ্টায় অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন খালিস্তানি নেতা তথা ওয়ারিশ পঞ্জাবের প্রধান অমৃতপাল সিং ৷ পঞ্জাবেই আত্মগোপন করেছিলেন তিনি ৷ মোগার রদ গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ কিন্তু, কীভাবে তাঁর এই উত্থান ? জানা গিয়েছে, জন্ম সূত্রে তহসিলের জাল্লালপুর খেরার বাসিন্দা অমৃতপাল সিং ৷ কাপুরথালার একটি পলিটেকনিক কলেজ থেকে পড়াশোনা করেন তিনি ৷ পরে অমৃতপাল পারিবারিক পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন ৷ সেই কারণে দুবাই চলে গিয়েছিলেন ৷ পরবর্তী সময়ে শিখ ভাবাদর্শের প্রচারে সোশাল মিডিয়ায় ভীষণভাবে সক্রিয় ছিলেন অমৃতপাল সিং ৷

উল্লেখ্য, প্রয়াত অভিনেতা দীপ সিধুর সংগঠন ওয়ারিশ পঞ্জাব দে-র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অমৃতপাল ৷ পরবর্তী সময়ে অমৃতপাল দাবি করেছিলেন দীপ সিধু সেই সংগঠনের দায়িত্ব তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন ৷ যার পরে এক দুর্ঘটনায় রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় দীপ সিধুর ৷ তারপর থেকেই শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ তথা যুবসমাজের মধ্যে জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে অমৃতপালের ৷ মাদক সেবন-সহ পঞ্জাবের নানান সমস্যার বিরুদ্ধে প্রচার কর্মসূচি পালন করতে শুরু করেন ৷ এমনকী নিজেকে শিখ ধর্মগুরু হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেন তিনি ৷ শিখদের সমস্যার সমাধানের জন্য পৃথক খালিস্তানের দাবিতে প্রচারও শুরু করেন ৷

নানা ফতোয়া জারি করতে থাকেন অমৃতপাল সিং ৷ তাঁর এই আচরণ ভালোভাবে নেইনি পঞ্জাব সরকার ৷ পরবর্তী সময়ে অভিযোগ ওঠে পঞ্জাবের একটি গুরুদ্বারে তাঁর সংগঠনের লোকজন ভাঙচুর চালায় ৷ প্রকাশ্যে ধারাল অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অমৃতপাল সিং এবং তাঁর লোকজন চলাফেরা শুরু করে ৷ এর পরেই পঞ্জাব পুলিশ তাঁর উপর রাশ টানার কথা ঘোষণা করে ৷ জলন্ধরে একটি সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার সময় তাঁকে ধরার চেষ্টা করে পুলিশ ৷ কিন্তু, পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান খালিস্তানি এই নেতা ৷

গত 18 মার্চ পঞ্জাব পুলিশ অমৃতপাল সিংকে পলাতক ঘোষণা করে ৷ বলা হচ্ছিল, তিনি নাকি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন ৷ এমনকী নেপাল হয়ে পাকিস্তান এবং সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় পালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন বলে গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল ৷ সেই মতো দিল্লি পুলিশ ও আইবি-র সাহায্যে নেপালে অভিযানও চালায় পঞ্জাব পুলিশের একটি দল ৷ কিন্তু, সেখানে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ৷ অবশেষে, পঞ্জাবের মোগা জেলার একটি গ্রাম থেকে অমৃতপাল সিংকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তবে, এ দিনও পুলিশের থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি ৷ বাইকে করে সরু গলি দিয়ে পালাচ্ছিলেন ৷ তবে, তাঁর সেই চেষ্টা সফল হয়নি ৷ জানা গিয়েছে, অমৃতপাল সিংকে অসমের ডিব্রুগড়ে নিয়ে যাওয়া হবে ৷

আরও পড়ুন: মোগায় পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার খালিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিং

উল্লেখ্য, খালসা ভেহির নামে একটি কর্মসূচি শুরু করেছিলেন অমৃতপাল সিং ৷ তার মাধ্যমে পঞ্জাবের যুবসমাজকে বিশেষত, শিখদের মাদকাসক্তি থেকে দূরে থাকার ও নেশামুক্ত করানোর কাজ শুরু করেন ৷ ক্রমশ তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন শিখ যুবসমাজের কাছে ৷ খুব দ্রুত তাঁর অসংখ্য অনুগামী তৈরি হয়ে যায় ৷ খালসা ভেহিরের মাধ্যমে অমৃত সঞ্চার নামে একাধিক জনসভাও করতেন তিনি ৷

চন্ডিগড়, 23 এপ্রিল: কয়েকমাসের চেষ্টায় অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন খালিস্তানি নেতা তথা ওয়ারিশ পঞ্জাবের প্রধান অমৃতপাল সিং ৷ পঞ্জাবেই আত্মগোপন করেছিলেন তিনি ৷ মোগার রদ গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ কিন্তু, কীভাবে তাঁর এই উত্থান ? জানা গিয়েছে, জন্ম সূত্রে তহসিলের জাল্লালপুর খেরার বাসিন্দা অমৃতপাল সিং ৷ কাপুরথালার একটি পলিটেকনিক কলেজ থেকে পড়াশোনা করেন তিনি ৷ পরে অমৃতপাল পারিবারিক পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন ৷ সেই কারণে দুবাই চলে গিয়েছিলেন ৷ পরবর্তী সময়ে শিখ ভাবাদর্শের প্রচারে সোশাল মিডিয়ায় ভীষণভাবে সক্রিয় ছিলেন অমৃতপাল সিং ৷

উল্লেখ্য, প্রয়াত অভিনেতা দীপ সিধুর সংগঠন ওয়ারিশ পঞ্জাব দে-র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অমৃতপাল ৷ পরবর্তী সময়ে অমৃতপাল দাবি করেছিলেন দীপ সিধু সেই সংগঠনের দায়িত্ব তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন ৷ যার পরে এক দুর্ঘটনায় রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় দীপ সিধুর ৷ তারপর থেকেই শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ তথা যুবসমাজের মধ্যে জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে অমৃতপালের ৷ মাদক সেবন-সহ পঞ্জাবের নানান সমস্যার বিরুদ্ধে প্রচার কর্মসূচি পালন করতে শুরু করেন ৷ এমনকী নিজেকে শিখ ধর্মগুরু হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেন তিনি ৷ শিখদের সমস্যার সমাধানের জন্য পৃথক খালিস্তানের দাবিতে প্রচারও শুরু করেন ৷

নানা ফতোয়া জারি করতে থাকেন অমৃতপাল সিং ৷ তাঁর এই আচরণ ভালোভাবে নেইনি পঞ্জাব সরকার ৷ পরবর্তী সময়ে অভিযোগ ওঠে পঞ্জাবের একটি গুরুদ্বারে তাঁর সংগঠনের লোকজন ভাঙচুর চালায় ৷ প্রকাশ্যে ধারাল অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অমৃতপাল সিং এবং তাঁর লোকজন চলাফেরা শুরু করে ৷ এর পরেই পঞ্জাব পুলিশ তাঁর উপর রাশ টানার কথা ঘোষণা করে ৷ জলন্ধরে একটি সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার সময় তাঁকে ধরার চেষ্টা করে পুলিশ ৷ কিন্তু, পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান খালিস্তানি এই নেতা ৷

গত 18 মার্চ পঞ্জাব পুলিশ অমৃতপাল সিংকে পলাতক ঘোষণা করে ৷ বলা হচ্ছিল, তিনি নাকি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন ৷ এমনকী নেপাল হয়ে পাকিস্তান এবং সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় পালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন বলে গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল ৷ সেই মতো দিল্লি পুলিশ ও আইবি-র সাহায্যে নেপালে অভিযানও চালায় পঞ্জাব পুলিশের একটি দল ৷ কিন্তু, সেখানে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ৷ অবশেষে, পঞ্জাবের মোগা জেলার একটি গ্রাম থেকে অমৃতপাল সিংকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তবে, এ দিনও পুলিশের থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি ৷ বাইকে করে সরু গলি দিয়ে পালাচ্ছিলেন ৷ তবে, তাঁর সেই চেষ্টা সফল হয়নি ৷ জানা গিয়েছে, অমৃতপাল সিংকে অসমের ডিব্রুগড়ে নিয়ে যাওয়া হবে ৷

আরও পড়ুন: মোগায় পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার খালিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিং

উল্লেখ্য, খালসা ভেহির নামে একটি কর্মসূচি শুরু করেছিলেন অমৃতপাল সিং ৷ তার মাধ্যমে পঞ্জাবের যুবসমাজকে বিশেষত, শিখদের মাদকাসক্তি থেকে দূরে থাকার ও নেশামুক্ত করানোর কাজ শুরু করেন ৷ ক্রমশ তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন শিখ যুবসমাজের কাছে ৷ খুব দ্রুত তাঁর অসংখ্য অনুগামী তৈরি হয়ে যায় ৷ খালসা ভেহিরের মাধ্যমে অমৃত সঞ্চার নামে একাধিক জনসভাও করতেন তিনি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.