থানে (মহারাষ্ট্র), 13 নভেম্বর: 1 কোটি টাকার জন্য মহারাষ্ট্রের থানে থেকে এক কিশোরকে অপহরণ করা হয় ৷ কিশোরকে উদ্ধারে বিভিন্ন এলাকার 300 পুলিশের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় (Thane Kidnapping Case) ৷ পুলিশ সুপার মানপদের নেতৃত্বে একটি দল অপহৃত কিশোরকে সুরাত থেকে উদ্ধার করা করে এই মামলার সমাধান করে (Kidnapped Teenager Rescued from Gujarat by 300 Police Efforts)৷
9 নভেম্বর কিশোরকে থানে থেকে অপহরণ করে 2 কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপরহরণকারীরা ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে 5 জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ সকলকেই 18 নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয় ৷ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, 2 কোটি টাকা মুক্তিপণের জন্য ডোম্বিভলি এমআইডিসি থেকে 12 বছরের এই কিশোরকে অপহরণ করা হয় ৷ 12 নভেম্বর শনিবার সুরাত থেকে ফিল্মি কায়দায় অপহরণকারীদের (Kidnapper) পিছু ধাওয়া করে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ ৷ এই অপহরণের মূল চক্রী এক কুখ্যাত অপরাধী ৷ যার বিরুদ্ধে জোড়া খুন-সহ বেশ কয়েকটি গুরুতর মামলা রয়েছে ৷ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে অভিযুক্তের স্ত্রী, বোন, বান্ধবী ও শ্যালককেও গ্রেফতার করা হয়েছে ৷
প্রধান অভিযুক্তের নাম ফরদশা ফিরোজ শাহ রাফাই ৷ তার শ্যালক প্রিন্সকুমার রামঙ্গিনা সিং, বান্ধবী শাহিন শবাম মেহতার, বোন ফারহিন প্রিন্সকুমার সিং, ও স্ত্রী নাজিয়া ফরদশা রাফাই ৷ অভিযোগকারী রঞ্জিত সোমেন্দ্র ঝা ডোম্বিভলি এমআইডিসির একটি কোম্পানির মালিক ৷ স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে তিনি এমআইডিসি আবাসিক এলাকায় থাকেন ৷ তাঁর ছেলে রুদ্র মডেল ইংলিশ স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে ৷ সে প্রতিদিন সকাল আটটায় স্থানীয় মিলাপনগরে টিউশন পড়তে যায় ৷ প্রতিদিনের মতো 9 নভেম্বর সকাল আটটায় টিউশন পড়েতে গিয়ে আর না ফেরায় পরিবারের বাকি সদস্য অর্থাৎ স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে সেই টিউশনে রুদ্রর খোঁজে যান রঞ্জিতবাবু ৷ কিন্তু কোথাও ছেলেকে পাননি ৷ সেই খোঁজাখুঁজির সময় অপরিচিত নম্বর থেকে একটি ফোন আসে ৷ যেখানে বলা হয়, আপনার বাচ্চা আমাদের কাছে রয়েছে ৷ তাকে জীবিত ফিরে পেতে চাইলে 1 কোটি টাকা নিয়ে আসুন ৷ নাহলে বাচ্চাকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে ৷ সেই সময় পাশ থেকে রুদ্রর গলার আওয়াজ পান রঞ্জিতবাবু ৷ সে বাবাকে জানায় তাকে অপরহরণ করা হয়েছে ৷ এরপরই ছেলেকে ফিরে পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হন রুদ্রর বাবা ৷
এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ ৷ বুধবার সকাল থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত ডোম্বিভলি, কল্যাণ, নাসিক, জওহর, গুজরাত ও সুরাত থেকে প্রায় 300 জন পুলিশের চেষ্টায় রুদ্রকে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয় ৷
আরও পড়ুন : ঘুড়ি কিনে দেওয়ার নামে শিশুকে অপহরণের অভিযোগ প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে