লখনউ, 2 ফেব্রুয়ারি: কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিকী কাপ্পান (Kerala Journalist Siddique Kappan) আদালত থেকে জামিন পেলেন ৷ জামিনের জন্য ব্যক্তিগত বন্ড জমা দেন তিনি বুধবার ৷ তারপরেই বৃহস্পতিবার জেল থেকে ছাড়া পান সিদ্দিকী। তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন এই খবর নিশ্চিত করেছেন জেলেরই একজন ঊর্ধ্বতন আধিকারিক । সিদ্দিকী এবং অন্য তিনজনকে 2020 সালের অক্টোবরে হাথরসে যাওয়ার সময় গ্রেফতার করা হয়েছিল ৷ যেখানে একজন দলিত মহিলাকে ধর্ষণের করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। কেরলের মালাপ্পুরমের বাসিন্দা সিদ্দিকীকে প্রায় 27 মাস ধরে লখনউয়ের জেলা কারাগারে রাখা হয়েছিল । জেল সুপার আশিস তিওয়ারি বলেন, "সিদ্দিকী কাপ্পানের মুক্তির আদেশ হাতে এসেছে । আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে বৃহস্পতিবার তাকে মুক্তি দেওয়া হবে ।"
কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিকী কাপ্পানের জামিনে মুক্তির জন্য ব্যক্তিগত বন্ড বুধবার আদালতে জমা দেওয়া হয় । বিশেষ প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে (পিএমএলএ) আদালতে কাপানের জামিনের বন্ড দেওয়ার কাজ হয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হলে তাঁর আইনজীবী মহম্মদ ধনীশ কে এস বলেন, "আদালতের অংশের কাজ এখন সম্পূর্ণ হয়েছে । কারাগারে জামিনের আদেশ পাঠানো হয়েছে ।" আইনজীবী আরও বলেন, বুধবার বিচারক আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি জামিন মঞ্জুর করেছেন । প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে (পিএমএলএ) আদালত জামিন দেওযার আগে তাঁদের প্রত্যেককে 1 লক্ষ টাকার দুটি ব্যক্তিগত বন্ড জমা দিতে হয়েছে ।
সিদ্দিকী এবং অন্য তিনজনের বিরুদ্ধে হাথরসে মহিলার মৃত্যুর (Hathras Gangrape Case) ঘটনায় হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল । পুলিশ অভিযোগ করেছিল, পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা পিএফআই-এর সঙ্গে যুক্ত। পিএফআই (PFI)-এর ছাত্র শাখা ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা সিএফআই (CFI)-এর সঙ্গেও তাঁর যোগসাজশ রয়েছে । সন্ত্রাসের জন্য অর্থ জোগাড়েও তিনি জড়িত । তাঁকে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল । গত সেপ্টেম্বরে ওই মামলায় তাঁকে জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্ট । কিন্তু, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলার কারণে তিনি কারাগারে ছিলেন ।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক সিদ্দিকী কাপ্পানকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট