এরনাকুলাম, 4 জানুয়ারি: কৃত্রিম গর্ভধারণের জন্য দম্পতিদের নবনির্ধারিত বয়সসীমা পুনর্বিবেচনা (Age Limit of Artificial Insemination) করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিল কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)। বর্তমানে কৃত্রিম প্রজননের ক্ষেত্রে নির্ধারিত বয়সসীমা হল মহিলাদের ক্ষেত্রে 50 বছর ও পুরুষদের ক্ষেত্রে 55 বছর । কেন্দ্রীয় সরকারকে কৃত্রিম গর্ভধারণের বিষয়ে পরামর্শ দেয় ন্যাশনাল অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাক্টিভ টেকনোলজি এবং সারোগেসি বোর্ড ৷ কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি ভিজি অরুণ এই বিষয়টিকে তিন মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের নজরে আনতে নির্দেশ দিয়েছেন ।
কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে সন্তান পেতে চিকিৎসার মধ্যে দিয়ে যাওয়া কয়েকজন দম্পতির আবেদনের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দিয়েছে কেরল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ ৷ 2022 সালের 25 জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া নতুন নিয়মে কৃত্রিম গর্ভধারণের জন্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে । অনেকেই এই নিয়মের বিরুদ্ধে গলা তুলেছেন ৷ তাঁদের দাবি, নয়া এই নিয়ম অনুসরণ করা যায় না, কারণ অনেকে ইতিমধ্যেই সন্তানধারণের জন্য চিকিত্সা পদ্ধতির মধ্যে রয়েছেন ৷ তাই তাঁদের পক্ষে এই নিয়ম মানা অসম্ভব বলে দাবি করেছেন অনেকেই । নয়া এই নিয়ম সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত ব্যক্তিগত স্বাধীনতারও পরিপন্থী বলে পিটিশনে দাবি করা হয়েছে (High Court asks Centre to reconsider the age limit)।
আরও পড়ুন: মহিলা রেল পুলিশের সাহায্যে ট্রেনেই সন্তান প্রসব
পিটিশনে বলা হয়েছে, সন্তানের জন্ম দেওয়া এবং পরিবার গড়ে তোলা একটি মৌলিক অধিকার । এ ক্ষেত্রে নয়া নির্ধারিত বয়সসীমা সেই অধিকারকে হ্রাস করবে । এমনকী বর্তমানে যাঁরা চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে রয়েছেন, তাঁদেরও ছাড় দেওয়া হয়নি এই নয়া নিয়মে ৷ ফলে এই নিয়মকে স্বৈরাচারী এবং অযৌক্তিক বলে দাবি করেছেন আবেদনকারীরা । কেরল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ দু পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, এই নিয়ম যখন কার্যকর হয়েছে তখন অনেকেই চিকিৎসাধীন ছিলেন ।
এক্ষেত্রে অন্যান্য বেশ কিছু দেশের বয়সসীমাও শুনানির সময় আলোচনায় এসেছে । বিয়ের সময় যে সব দম্পতি চিকিৎসাধীন ছিলেন, তাঁদের চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে কেরল হাইকোর্ট ।