শ্রীনগর, 27 নভেম্বর: বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারতের হার নিয়ে গোলমাল ৷ সেই ঘটনায় জম্মু ও কাশ্মীরের গান্দেরবালের শের-ই-কাশ্মীর কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাতজন ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ জানা গিয়েছে, গত 19 নভেম্বর ফাইনালের রাতেই ওই সাতজনের সঙ্গে বেশ কয়েকজনের সংঘর্ষ হয় ৷ যাঁদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়, তাঁরা ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বাইরের বাসিন্দা ৷ আর ধৃত সাতজনই স্থানীয় বলে জানা গিয়েছে ৷
এফআইআর-এর কপি ইটিভি ভারত-এর হাতে এসেছে ৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে যে ধৃতদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) ধারা 13 এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) 505 এবং 506 ধারার অধীনে জনসাধারণের গোলমাল এবং অপরাধমূলক ভয় দেখানোর অভিযোগ আনা হয়েছে ।
এক পুলিশ আধিকারিক জানান, পঞ্জাবের একজন ছাত্র অভিযোগ করেন যে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শুহামা ক্যাম্পাসের ফাইনাল ইয়ারের সাতছাত্র তাঁকে হুমকি দেন ৷ কারণ, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনালে তিনি ভারতকে সমর্থন করছিলেন ৷ তাই তাঁর ভয়ঙ্কর পরিণতি করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয় ৷ তাঁকে খুন করার কথাও ওই সাতজন বলেছিলেন বলে সচিন বাইনস নামে ওই ছাত্রের দাবি ৷
তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়৷ তার পর উমর, আসিফ, মোহসিন, তাকির, খালিদ, সমীর ও উবেইদ নামে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয় ৷ এই সাতজনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে ৷ তবে এই প্রথম নয়, কাশ্মীরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রিকেট ম্যাচকে কেন্দ্র করে আগেও এই ধরনের গোলমাল হয়েছে ৷
2021 সালে টি20 বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের হার উদযাপন করার জন্য জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ মেডিক্যাল কলেজের স্টাফ ও ছাত্রদের বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন বা ইউএপিএ প্রয়োগ করে গ্রেফতার করে ৷
তার আগে শ্রীনগরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ছাত্ররা 2016 সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ভারতের টি-20 বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের হেরে যাওয়া নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন । অ-স্থানীয় ছাত্ররা স্থানীয় কাশ্মীরি ছাত্রদের বিরুদ্ধে ভারতের পরাজয় নিয়ে উল্লাস করার অভিযোগ করেন ৷
সেই নিয়ে হিংসা ছড়ায়৷ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ ক্যাম্পাসে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় ও লাঠিচার্জ করে । কাশ্মীর উপত্যকার বাইরের ছাত্ররাও ঘটনার ফলে ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাস সরানোর দাবি জানিয়েছে ।
আরও পড়ুন: