বিজাপুর (কর্ণাটক), 5 মার্চ: কর্ণাটকের (Karnataka murder) মন্দিরে কর্তব্যরত অবস্থায় হত্যা করা হল পুরোহিতকে (Temple Priest Killed)। বিজাপুর জেলার মিরতুর গ্রামের মন্দিরে এই হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ৷ ত্রস্ত পুরো গ্রাম । সূত্রের তরফে জানা গিয়েছে যে, মৃত পুরোহিতের নাম রমা কাদতি ৷ তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের ৷ এই ঘটনায় জড়িয়েছে মাওবাদীদের নাম (Naxal angle being probed)৷
তদন্ত শুরু পুলিশের: শনিবার রাত সাড়ে 7টা থেকে আটটা দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে । পুরোহিত হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় । এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে মাওবাদীদের হাত রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ । তবে পুরো ঘটনা তদন্ত করলে সঠিক তথ্য জানা যাবে বলে মত গোয়েন্দাদের । এই খুনের পিছনে পুরনো শত্রুতা আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।
ময়নাতদন্তের পর দেহ হস্তান্তার: ময়নাতদন্ত শেষে পুরোহিতের মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে । বিজাপুর জেলায় বিরোধ ও শত্রুতার জেরে সম্প্রতি দুটি হিংসার ঘটনা ঘটেছে । প্রাথমিকভাবে এই ঘটনায় মাওবাদীদের সন্দেহ করা হলেও পুলিশ শেষ পর্যন্ত উভয় ঘটনার কারণ হিসাবে শত্রুতা খুঁজে পেয়েছে । এর মধ্যে একটি মামলায় খুনের আসামিকে গ্রেফতার করে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে ।
আরও পড়ুন: আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার 4
বিরোধ ও শত্রুতার দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সর্বশেষ হত্যাকাণ্ডও একই ভাবে ঘটেছে ৷ ফলে পুরোহিত হত্যাকাণ্ডের সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ । নিহতের কারও সঙ্গে কোনও বিরোধ ছিল কি না এবং অতীতে পারস্পরিক হামলা হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে তারা । যেহেতু রাতের বেলায় এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তাই ডাকাতদের জড়িত থাকার বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না ।
সন্দেহজনক ব্যক্তির খোঁজ: মন্দিরের কোনও সম্পত্তি চুরি হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ । এছাড়াও মন্দিরের আশপাশে কোনও ব্যক্তির সন্দেহজনক গতিবিধি ছিল কি না, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে ।