বেঙ্গালুরু, 22 নভেম্বর: একটানা ভারী বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত কর্নাটক (Karnataka Incessant Rain) । বৃষ্টির প্রকোপে শুধুমাত্র নভেম্বর মাসেই সেখানে 24 জন প্রাণ হারিয়েছেন । প্রভূত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কৃষিকাজের (Farming Damaged) । ভারী বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গিয়েছে 5 লক্ষ হেক্টরের বেশি জমির ফসল (Crops Damaged) । তাতে কার্যত মাথায় হাত কৃষক থেকে ব্যবসায়ীদের । এমন পরিস্থিতিতে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করলেন মু্খ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই ।
রবিবার রাতে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন বাসবরাজ । সেখানে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য যৌথ সমীক্ষার নির্দেশ দেন তিনি । আপাতত ত্রাণকার্য চালানোর জন্য জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা খাত থেকে 689 কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে । ডেপুটি কমিশনারদের মাধ্যমে তা খরচ করা হবে । এছাড়াও, ভারী বৃষ্টিতে মাথার উপর থেকে ছাদ চলে গিয়েছে যাঁদের, তাঁদের হাতে প্রথম কিস্তিতে 1 লক্ষ টাকা করে তুল দেওয়া হবে । রাস্তাঘাট, সেতু মেরামত ইত্যাদির খাতে আরও 500 কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য অর্থ দফতর ।
আরও পড়ুন: Supreme Court on Tmc plea : আগামিকাল তৃণমূলের আদালত অবমাননা মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট
রাজ্যের পূর্ত দফতরের প্রাথমিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারী বৃষ্টিতে কর্নাটকে 658টি বাড়ি ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে । আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে 8 হাজার 495টি বাড়ি । কমপক্ষে 191টি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে । সবমিলিয়ে 2 হাজার 200 কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কপথ, 165টি সেতু, 1 হাজার 225টি স্কুল এবং 39টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত । সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বেঙ্গালুরু শহর এবং বেঙ্গালুরু গ্রামীণ এলাকায় । ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত টুমাকুরু, কোলার, চিকবল্লাপুর, রামনগর, হাসানের মতো জেলাও । যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাস্তার খানাখন্দ ভরতে এবং জলের ট্যাঙ্কের মেরামত করতে প্রত্যেক পুরসভার জন্য বাড়তি 25 লক্ষ টাকা করে বরাদ্দের নির্দেশ দিয়েছেন বাসবরাজ ।
রবিবারই চিকবল্লারপুর এবং সিদলাঘাট্টায় ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে যান বাসবরাজ । যাঁদের বাড়িঘর একেবারে ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে, তাঁদের 5 লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি । বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে পরিবার পিছু 50 হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে ।
আরও পড়ুন: Abhinandan gets Vir Chakra : অভিনন্দনকে বীরচক্র সম্মান
তবে ফসলের ক্ষয়ক্ষতিই সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে কর্নাটক সরকারকে । কারণ এর আগে, অগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসেও ভারী বৃষ্টিতে 3.43 লক্ষ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়, তাতে 1 লক্ষ 50 হাজার কৃষক কার্যত সর্বস্বান্ত হয়ে যান । তারপর ফের 5 লক্ষ হেক্টর জমির ফসল নষ্টে খাদ্যসঙ্কটেরও আশঙ্কা করা হচ্ছে । কৃষকদের ক্ষতিপূরণের জন্য 130 কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে আপাতত ।