বেঙ্গালুরু, 10 সেপ্টেম্বর: নাবালক ও নাবালিকার পরিবারের মধ্যে সমঝোতা করাল কর্নাটক হাইকোর্ট ৷ দু'জনে বয়সে নাবালক হলেও শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল ৷ আর ছেলেটির বিরুদ্ধে পকসো আইনের (Protection of Children from Sexual Offences, POCSO) বিভিন্ন ধারায় মামলা শুরু হয়েছিল ৷ নিম্ন আদালতে নাবালকের বিরুদ্ধে মামলাও শুরু হয় গত ডিসেম্বর মাসে ৷ শেষমেশ কর্নাটক হাইকোর্টের কার্যবাহী বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্ন সেই মামলা খারিজ করার নির্দেশ দেন (Karnataka HC quashes POCSO case against boy who eloped with girlfriend) ৷
ছেলে ও মেয়েটি একই স্কুলে পড়ে । তারা সহপাঠী ৷ একসঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল ৷ অভিযোগ দায়েরের পর দু'জনকে অন্য একটি জেলা থেকে খুঁজে পাওয়া যায় ৷ ছেলেটির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি (Indian Penal Code, IPC) এবং পকসো আইনের 5 নং ধারায় মামলা দায়ের করা হয় ৷ মামলাটি নিম্ন আদালতে বিচারের জন্য পড়েছিল ৷ সম্প্রতি হাইকোর্ট সেটি খারিজের পদক্ষেপ করে ৷ দু'জন নাবালক-নাবালিকার পরিবার একে অপরের সঙ্গে মিটমাট করে নিয়েছে ৷ তাঁরা আর এই মামলা চালিয়ে যেতে চান না ৷
আরও পড়ুন: পকসো মামলায় অভিযুক্তকে মুক্তি দিল কর্নাটক হাইকোর্ট
আদালত জানায়, পরিবারের মধ্যে সমঝোতার ফলে ছাত্রটিকে সমস্ত অপরাধ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ৷ না হলে পরে সে বিপদে পড়তে পারে ৷ দু'জন নাবালক যৌন সম্পর্কে জড়ালেও তা পকসো আইনে অপরাধ নয় বলে মত হাইকোর্টের ৷ এ প্রসঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, বয়ঃসন্ধির সময় মোহগ্রস্ত হয়ে একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে প্রেমের সম্পর্কে বাঁধা পড়ে যায় ৷ এর ফলে ছেলেটিকে পকসো আইনের ধারায় অভিযুক্ত বলে গণ্য করা হয় ৷ এই মামলাটির ক্ষেত্রে সমঝোতায় আসাটাই যথোপযুক্ত ৷ নাবালক-নাবালিকার পকসো আইন সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না ৷
শারীরিক ইচ্ছের সঙ্গে মানসিক কৌতূহল থেকে এই ধরনের কাজকর্ম করেছে তারা ৷ এটা পকসো আইনের 5 নং ধারার আওতায় যাকে অপরাধ হিসেবে ধরা হয়, এই ঘটনা তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ৷ সেখানে ইচ্ছাকৃত যৌন হেনস্থা করা হয় ৷ ছাত্র-ছাত্রীর সেই বিষয়ে কোনও জ্ঞানই ছিল না ৷ ওরা নাবালক এবং মোহগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল, জানিয়েছে আদালত ৷
আরও পড়ুন: নাবালিকা সৎ মেয়েকে ধর্ষণ বাবার,পকসো আইনে 20 বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত