অযোধ্যা, 14 জানুয়ারি: 90-এর দশকের গোড়ার দিকে রাম মন্দির আন্দোলনের সময় 'কর সেবা' করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন গেরুয়া স্বেচ্ছাসেবকরা ৷ তাঁদের এবার ছবির মাধ্যমে জীবন্ত করে তোলা হবে অযোধ্যার করসেবকপুরমে । লখনউয়ের শিল্পীরা এই ছবি আঁকার কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৷ প্রাণের বলি দেওয়া ওইসব স্বেচ্ছাসেবকদের ছবিগুলি তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে তেল রং । ছবি তৈরির কাজ বর্তমানে শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে ।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র শরদ শর্মা জানিয়েছেন, রাম মন্দির ট্রাস্ট রাম মন্দির চত্বরে এই ছবিগুলি রাখার কথা ভাবছে । তবে এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি । 1949 সাল থেকে রাম মন্দিরের জন্য লড়াইয়ে মৃতদের পাশাপাশি ছবিগুলিতে 1990 এবং তারপরে নিহত কর সেবকদেরও তুলে ধরা হবে ।
করসেবকপুরম হল রাম জন্মভূমি থেকে প্রায় দু'কিলোমিটার দূরে অযোধ্যার একটি এলাকা ৷ যেখানে স্বেচ্ছাসেবকরা রাম মন্দির আন্দোলনের সময় গ্রেফতার এবং পুলিশের গুলি থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছিলেন । তখন এটি ছিল পেয়ারা গাছে ঘেরা জনশূন্য এলাকা । এখানে হনুমানের সংখ্যা ছিল অনেক এবং পুলিশ নিয়মিত টহল দিত না ।
তবে বর্তমানে এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে ৷ করসেবকপুরম অযোধ্যায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদর দফতর । কমপ্লেক্সে ভিএইচপি অফিস, একটি গেস্ট হাউস, একটি স্কুল, একটি গোয়াল এবং সীতা রসোই নামে একটি ডাইনিং হল রয়েছে । রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের আগে মহাকাব্য 'রামায়ণ'-এর থিমে আলংকারিক সামগ্রী দিয়ে সাজানো হয়েছে করসেবকপুরমকে ।
রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন ট্রাস্ট সমস্ত অতিথিদের স্বাগত জানাতে বিশেষ ব্যবস্থা করেছে ৷ অতিথিদের উপহারও দেওয়া হবে ৷ উপহারের মধ্যে রয়েছে 'রাম রাজ'। পাশপাশি রাম মন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট অতিথিদের প্রসাদ হিসাবে দেশি ঘি দিয়ে তৈরি বিশেষ মতিচুরের লাড্ডুও দেবে ।
আরও পড়ুন: