নয়াদিল্লি, 10 অগস্ট : তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হতে দেওয়া যাবে না নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ৷ সেই লক্ষ্য নিয়েই এখন থেকে একজোট হতে শুরু করেছে বিজেপির (BJP) বিরোধীরা ৷ কিন্তু বিরোধী শিবিরে মুখ কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ৷ এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস নেতা কপিল সিবালের (Kapil Sibal) নয়াদিল্লির বাসভবনে হাজির হলেন একাধিক বিজেপি বিরোধী দলের নেতারা (Opposition Leaders) ৷ সোমবার রাতে নয়াদিল্লির 8 নম্বর তিনমূর্তি লেনের ওই বাংলোতে হাজির ছিলেন কংগ্রেসের (Congress) অনেক নেতাও ৷ কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে অনুপস্থিত ছিল গান্ধি পরিবার (Gandhi Family) ৷
স্বাভাবিকভাবেই তাই এই নিয়ে জোর জল্পনা ছড়িয়েছে ৷ রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, তাহলে কি কংগ্রেসের অন্দরেই কোন্দল চরমে উঠেছে ? গান্ধি পরিবারের নেতৃত্ব মানতে কি অস্বীকার করছেন দলের নেতারা ? কারণ, ওই পার্টিতে হাজির ছিলেন কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ, শশী থারুর, মণীশ তিওয়ারি ৷ যাঁরা সাম্প্রতিককালে কংগ্রেসের জি-23 এর অংশ বলে পরিচিত ৷ এই নেতারা কংগ্রেসে স্থায়ী সভাপতি নির্বাচনের দাবি তুলে সোনিয়া গান্ধিকে (Sonia Gandhi) চিঠি দিয়েছিলেন ৷
কংগ্রেস নেতা কপিল সিবালের জন্মদিনের পরের দিন ওই পার্টি আয়োজন করা হয় ৷ সেখানে এনসিপির শরদ পাওয়ার, আরজেডির লালুপ্রসাদ যাদব, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওমর আবদুল্লা, তৃণমূল কংগ্রেসের ডেরেক ও’ব্রায়েন, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব-সহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন ৷ এছাড়াও ছিলেন শিরোমণি অকালি দল, বিজেডি, ওয়াইএসআরসিপি এবং টিডিপি নেতারা ৷ সেই বৈঠকে 2024-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে বিশেষ পরিকল্পনা করার বিষয়ে সকলে সহমত হয়েছেন বলে খবর ৷
তাৎপর্যপূর্ণভাবে কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল জি-23 এর অংশ৷ তিনিই দলে স্থায়ী সভাপতি চেয়ে সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছেন ৷ তাঁর বাসভবনে এই পার্টির আয়োজন করা হল ৷ আবার কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধির (Rahul Gandhi) ডাকা প্রাতঃরাশ বৈঠকে যে বিরোধীরা অনুপস্থিত ছিলেন, তাঁরা এখানে উপস্থিত ছিলেন ৷
প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কংগ্রেসের একটা বড় অংশ গান্ধি পরিবারকে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে চাইছেন ? ওই পার্টিতে থাকা কংগ্রেসের নেতার তেমনই বক্তব্য ৷ যদিও কপিল সিবালের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে যে ওই পার্টির সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই ৷
জানা গিয়েছে যে ওই পার্টিতে বিজেপিকে 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Election 2024) হারাতে ঠিক কী কী করা দরকার, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে ৷ কংগ্রেসের নেতৃত্ব এখনই শক্তিশালী হওয়া উচিত বলেই সেখানে অন্য বিরোধীরা মতামত প্রকাশ করেছেন ৷
আরও পড়ুন : অধিবেশনের শেষ সপ্তাহের রণকৌশল তৈরি করতে একজোট বিরোধীরা