নয়াদিল্লি, 16 জানুয়ারি: 2024 সালে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024) ৷ সেই ভোটে কোন রাজনৈতিক দলের ফল কেমন হবে, তা অনেকটাই নির্ভর করছে 2023 সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের উপর ৷ চলতি বছরে ভারতের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব পশ্চিম অংশের মোট 9টি রাজ্যের ভোটাররা তাঁদের সরকার বেছে নেবেন ৷ এই রাজ্যগুলিতে জয়ের জন্য এখনই কোমর বেঁধে নেমে পড়ার নির্দেশ দিলেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (BJP President JP Nadda) ৷
সোমবার নয়াদিল্লিতে শুরু হয়েছে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ৷ সেই বৈঠকেই এই বার্তা দিয়েছেন নাড্ডা ৷ তাঁর কথায়, কোনও রাজ্যের বিধানসভা ভোটে হারা চলবে না ৷ দু’দিনের এই কর্মসমিতির বৈঠকের মাঝে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির অন্যতম হেভিওয়েট নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদও জানিয়েছেন যে নির্বাচনী লড়াইয়ের দিক থেকে বিজেপির কাছে 2023 সাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷ তাই এই বছরই সাংগঠনিক শক্তিকে আরও মজবুত করা হবে ৷ যাতে 2024 সালেও তৃতীয়বারের জন্য কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফেরা যায় ৷
এদিন দলের কর্মসমিতির সদস্যদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন জেপি নাড্ডা ৷ সেখানে কী আলোচনা হয়েছে, তা অবশ্য জানাতে নারাজ বিজেপির নেতারা ৷ তবে একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, তিনি কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ৷ ভারত কীভাবে মোদির নেতৃত্বে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হল, মোবাইল উৎপাদনে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হল, অটো সেক্টরে তৃতীয় বৃহত্তম দেশ হল, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন ৷
তিনি সাম্প্রতিক গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সাফল্যের জন্য কর্মীদের প্রশংসা করেছেন ৷ পাশাপাশি জানিয়েছেন যে হিমাচল প্রদেশের ভোটে বিজেপি হারলেও হারার ব্যবধান মাত্র এক শতাংশ ৷ প্রসঙ্গত, সেখানে এবার বিজেপিকে হারিয়ে সরকার গড়েছে কংগ্রেস ৷
এদিকে এই কর্মসমিতির বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে নয়াদিল্লিতে রোড শো করেন প্রধানমন্ত্রী ৷ রাজধানীর প্যাটেল চক থেকে ওই রোড শো শুরু হয় ৷ তা শেষ হয় এনডিএমসি কনভেনশন সেন্টারে ৷ সেখানেই চলছে এই কর্মসমিতির বৈঠক ৷ যেখানে উপস্থিত হয়েছেন বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপি নেতারা ৷ মোদি ছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), প্রতিরক্ষা রাজনাথ সিং, মন্ত্রী নিতিন গডকরি-সহ বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত হয়েছেন ৷
তবে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছানোর পরই বৈঠক শুরু হয় ৷ তাঁকে ওই কনভেনশন সেন্টারে স্বাগত জানান জেপি নাড্ডা ৷ সূত্রের খবর, দু’দিনের ওই বৈঠকে নানা বিষয়ে আলোচনা হবে ৷ তার মধ্যে প্রবাস যোজনাও রয়েছে, যেখানে যে লোকসভা আসনে বিজেপি দুর্বল, সেখানে সংগঠন শক্তিশালী করার কাজ করা হবে ৷ এছাড়া রাজ্যগুলিতে বিধানসভা ভোট রয়েছে, সেই রাজ্যগুলিতে কয়েকজন নেতাকে বড় দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে ৷
আরও পড়ুন: আগে কেউ শুনত না, এখন বিশ্ব গুরুত্ব দিয়ে শোনে ভারতের কথা; সেনা দিবসে দাবি রাজনাথের