ETV Bharat / bharat

Sinking Joshimath: জোশীমঠকে সিঙ্কিং জোন ঘোষণা প্রশাসনের, এলাকা ছাড়ার নির্দেশ বাসিন্দাদের

জোশীমঠের (Joshimath) পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের পথে ৷ এই এলাকাকে সিঙ্কিং জোন (Sinking Zone) হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে ৷ বাসিন্দাদের অবিলম্বে এলাকা ছাড়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

Sinking Joshimath
Sinking Joshimath
author img

By

Published : Jan 9, 2023, 2:54 PM IST

দেরাদুন (উত্তরাখণ্ড), 9 জানুয়ারি: জোশীমঠকে (Joshimath) একটি সিঙ্কিং জোন (Sinking Zone) বা ডুবতে থাকা অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ৷ গত কয়েকদিন ধরে সেখানে বহু বাড়িতে ফাটল ধরেছে ৷ ক্রমশ বাড়িগুলি ধসের জেরে তলিয়ে যাচ্ছে ৷ রাস্তায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ৷ তারই প্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে বলে খবর ৷

জোশীমঠ উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) জনপ্রিয় তীর্থস্থান ৷ সেখানে সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা থাকে ৷ তাই এই এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয় সরকার ৷ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী (Uttarakhand CM Pushkar Singh Dhami) ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন ৷ তাঁর নির্দেশ, সেখানকার মানুষকে সবরকম সাহায্য করতে হবে ৷ পাশাপাশি পরিস্থিতি ঠিক করতে যা যা প্রয়োজন, অবিলম্বে সেই সব পদক্ষেপ করতে হবে ৷

এই পরিস্থিতিতে চামোলির জেলাশাসক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিশদে জানতে প্রতিটি বাড়িতে গিয়েছেন ৷ স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন ৷ চামোলির বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে যে সেখানে 603টি বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে ৷ 68টি পরিবারকে অস্থায়ীভাবে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ জোশীমঠে দু’টি হোটেলকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ এদিকে রবিবার জেলা প্রশাসনের তরফে 46টি পরিবারকে সাংসারিক সামগ্রী কেনার জন্য 5 হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে ৷

জোশীমঠ শহরে 229টি ঘর বাসযোগ্য রয়েছে ৷ সেখানে 1271 জনকে রাখা যেতে পারে ৷ এছাড়া যে জায়গাগুলি বিপজ্জনক ৷ সেখান থেকে স্থানীয় মানুষকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ এনটিপিসি (NTPC)-এর তপোবন বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অধীনে চলা সমস্ত নির্মাণ কাজ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে । বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (BRO)-এর হো হেরে হেলাং বাইপাস নির্মাণের কাজও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে ।

তীর্থযাত্রীরা জোশীমঠ শহরকে খুবই পবিত্র বলে মনে করেন ৷ সেই শহরে এমন একটি ঘটনা কেন ঘটল ? এই নিয়ে সকলের মনেই প্রশ্ন জেগেছে ৷ তবে এখনও স্পষ্ট কোনও কারণ জানা যায়নি ৷ তবে ভারতীয় ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যাকাডেমির (INSA) ইমেরিটাস বিজ্ঞানী ডিএম বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য রাস্তা এবং টানেল নির্মাণের জন্যই এই ধরনের ঘটেছে ৷

তিনি বলেন, "জোশীমঠ হল ছোট হিমালয়ের একটি অংশ৷ শিলাগুলি প্রিক্যামব্রিয়ান যুগের এবং অঞ্চলটি সিসমিক জোন 4-এর মধ্যে পড়ে ৷ এছাড়া এই জমিতে মানুষের বাড়ি তৈরি করা উচিত ছিল না ৷ বিশেষ করে 3-4 তলা বিশিষ্ট বড় বাড়ি নয় ৷"

আরও পড়ুন: ধামিকে ফোন করে জোশীমঠে ধসে দুর্গতদের খোঁজ নিলেন মোদি, সাহায্যের আশ্বাস

দেরাদুন (উত্তরাখণ্ড), 9 জানুয়ারি: জোশীমঠকে (Joshimath) একটি সিঙ্কিং জোন (Sinking Zone) বা ডুবতে থাকা অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ৷ গত কয়েকদিন ধরে সেখানে বহু বাড়িতে ফাটল ধরেছে ৷ ক্রমশ বাড়িগুলি ধসের জেরে তলিয়ে যাচ্ছে ৷ রাস্তায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ৷ তারই প্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে বলে খবর ৷

জোশীমঠ উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) জনপ্রিয় তীর্থস্থান ৷ সেখানে সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা থাকে ৷ তাই এই এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয় সরকার ৷ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী (Uttarakhand CM Pushkar Singh Dhami) ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন ৷ তাঁর নির্দেশ, সেখানকার মানুষকে সবরকম সাহায্য করতে হবে ৷ পাশাপাশি পরিস্থিতি ঠিক করতে যা যা প্রয়োজন, অবিলম্বে সেই সব পদক্ষেপ করতে হবে ৷

এই পরিস্থিতিতে চামোলির জেলাশাসক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিশদে জানতে প্রতিটি বাড়িতে গিয়েছেন ৷ স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন ৷ চামোলির বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে যে সেখানে 603টি বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে ৷ 68টি পরিবারকে অস্থায়ীভাবে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ জোশীমঠে দু’টি হোটেলকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ এদিকে রবিবার জেলা প্রশাসনের তরফে 46টি পরিবারকে সাংসারিক সামগ্রী কেনার জন্য 5 হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে ৷

জোশীমঠ শহরে 229টি ঘর বাসযোগ্য রয়েছে ৷ সেখানে 1271 জনকে রাখা যেতে পারে ৷ এছাড়া যে জায়গাগুলি বিপজ্জনক ৷ সেখান থেকে স্থানীয় মানুষকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ এনটিপিসি (NTPC)-এর তপোবন বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অধীনে চলা সমস্ত নির্মাণ কাজ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে । বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (BRO)-এর হো হেরে হেলাং বাইপাস নির্মাণের কাজও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে ।

তীর্থযাত্রীরা জোশীমঠ শহরকে খুবই পবিত্র বলে মনে করেন ৷ সেই শহরে এমন একটি ঘটনা কেন ঘটল ? এই নিয়ে সকলের মনেই প্রশ্ন জেগেছে ৷ তবে এখনও স্পষ্ট কোনও কারণ জানা যায়নি ৷ তবে ভারতীয় ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যাকাডেমির (INSA) ইমেরিটাস বিজ্ঞানী ডিএম বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য রাস্তা এবং টানেল নির্মাণের জন্যই এই ধরনের ঘটেছে ৷

তিনি বলেন, "জোশীমঠ হল ছোট হিমালয়ের একটি অংশ৷ শিলাগুলি প্রিক্যামব্রিয়ান যুগের এবং অঞ্চলটি সিসমিক জোন 4-এর মধ্যে পড়ে ৷ এছাড়া এই জমিতে মানুষের বাড়ি তৈরি করা উচিত ছিল না ৷ বিশেষ করে 3-4 তলা বিশিষ্ট বড় বাড়ি নয় ৷"

আরও পড়ুন: ধামিকে ফোন করে জোশীমঠে ধসে দুর্গতদের খোঁজ নিলেন মোদি, সাহায্যের আশ্বাস

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.