নিউ দিল্লি, 19 এপ্রিল: ইলেকটোরাল বন্ডের মাধ্যমে হিন্ডালকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) দলকে এক কোটি টাকা দিয়েছে ৷ নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেন-এর জেএমএম-র তরফে 2019-20 অর্থবর্ষের রিপোর্টে এই তথ্য জানানো হয় ৷ এই সংস্থাই জেএমএম দলেক একমাত্র অনুদান দিয়েছে ৷ এই রিপোর্টে ব্যাঙ্কের নাম, ব্রাঞ্চ-সহ বন্ড নাম্বারও উল্লেখ করা হয়েছে ৷
এই বিষয়ে জেএমএম-এর সচিব সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অনুদানের জন্য হিন্ডালকোর তরফে জেএমএম-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ৷ আমরা ওই সংস্থাকে অনুদানের জন্য় একটি রসিদ দিয়েছি, তাই আমাদের রিপোর্টে তার নাম প্রকাশ করতে পেরেছি ৷ বিজেপি-র মতো দল হয়তো তথ্য় লুকিয়ে রাখছে ৷ কিন্তু আমাদের কিছু লুকানোর নেই ৷" এসবিআই-এর পক্ষ থেকে বন্ড চালু করার পরও কেন হিন্ডালকো তাদের কাছে অনুদানের রসিদ চাইল, এ বিষয়ে অবশ্য সঠিক উত্তর দিতে পারেননি দলের সচিব ৷
ঝাড়খণ্ডের মুরি অঞ্চলে আদিত্য বিড়লা গ্রুপের ভর্তুকি কোম্পানি হিন্ডালকো অ্যালুমিনিয়াম আর তামা উৎপাদনকারী একটি সংস্থা ৷ আদিত্য বিড়লা গ্রুপ অবশ্য এই তথ্য নিয়ে কিছু বলেনি ৷
আরও পড়ুন: করোনা : চিকিৎসক ও ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে মোদি
ইলেকটোরাল বন্ড কী ?
2017 সালে কেন্দ্রীয় বাজেটে ইলেকটোরাল বন্ডের কথা ঘোষণা করা হয় আর তা কার্যকরী হয় 2018-তে ৷ ইলেকটোরাল বন্ডের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দলের সর্বসম্মতিক্রমে কোনো দলকে অনুদান দেওয়া যায় ৷ সম্প্রতি এই স্কিমের স্বচ্ছতাকে চ্যালেঞ্জ করে কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে সমাজকর্মীদের একটি দল ৷ কারণ, ভোটাররা কখনোই জানতে পারতেন না যে কোন দলকে কে কত টাকা অনুদান দিচ্ছে ৷ এতদিন পর্যন্ত কেবলমাত্র যাঁরা 20,000-এর বেশি টাকা অনুদান দিয়েছেন, তাঁদের নামই প্রকাশ্যে বলা হত ৷ তাই যে নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুদানকারীর নাম প্রকাশ করা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ৷
এই স্কিমের মাধ্যমে বিজেপি এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি লাভ করেছে ৷ 2017-18 আর 2018-19 অর্থবর্ষে তারা 1660.89 কোটি টাকা পেয়েছে, অর্থাৎ অনুদানে প্রাপ্ত মোট 2,760.20 টাকার 60.17 শতাংশ টাকাই ইলেকটোরাল বন্ডের মাধ্যমে জোগাড় করেছে এই দল ৷ আর 2019-20 অর্থবর্ষের খবর এখনো আসা বাকি ৷
তবে, কেন্দ্রীয় সরকারের ইলেকটোরাল বন্ড ঘোষণার পর এই প্রথম সেই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে জানাল শিবু সোরেনের জেএমএম ৷