রাঁচি, 9 জানুয়ারি : পশু কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর কেটে গেছে কয়েক বছর । রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সভাপতি লালুপ্রসাদ যাদবের ঠিকানা রাঁচির রিমস হাসপাতাল ।
গতবছরের অগাস্টে লালুপ্রসাদ যাদবকে রিমস হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করা হয় ডিরেক্টর বাংলো হাসপাতালে । পরে রাজ্য সরকারকে কোনওরকম নোটিস ছাড়াই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং ওয়ার্ডে । লালুপ্রসাদকে বাংলোয় রাখা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ভর্ৎসনা করল আদালত ।
বিভিন্ন পশু কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে কারাদণ্ড ভোগ করা লালুপ্রসাদ, দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রিমসে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কোভিড ১৯ এর কারণেই তাঁকে গত বছরের আগস্টে ডিরেক্টর বাংলোয় স্থানান্তরিত করা হয়েছিল । অক্টোবরের দুই মাস পর হাসপাতালের ওয়ার্ডে ফিরে আসেন তিনি ।
কোনও বন্দীর জন্যই যে সুযোগ-সুবিধা উপলব্ধ নয় তা ক্রমেই ভোগ করছেন লালু । এই মর্মেই তাঁর বিরূদ্ধে প্রশ্ন ওঠে ।
শুক্রবার বিচারপতি অপরেশ কুমার সিংয়ের বেঞ্চ শুনানি করে বলেছিলেন, "সরকার আইন অনুযায়ী কাজ করে, স্বতন্ত্র ইচ্ছার দ্বারা নয়।" কারাগারের মহাপরিদর্শক (আইজি) একটি জবাব দায়ের করে বলেন যে হাসপাতাল প্রশাসন তাঁকে কোভিড 19 এর সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে বাংলোতে স্থানান্তরিত করেছে। আইজির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারাগারের বাইরের হেপাজতে থাকা বন্দীর জন্য কী কী বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা উপলব্ধ করা উচিত তা কারাগারের ম্যানুয়ালটিতে স্পষ্ট করা হয়নি।
বিষয়টি বিবেচনা করে, অপরেশ কুমার সিংয়ের বেঞ্চ পরবর্তী শুনানির তারিখ দিয়েছে 22 জানুয়ারি । এর মধ্যে সরকারকে এসওপি-র একটি অনুলিপি জমা দিতে বলেছে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট ।
প্রসঙ্গত,পশু কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তিনি দুটি মামলায় জামিন পেয়েছেন । তৃতীয় মামলাটির জন্য জামিন আবেদন করেছেন এবং শেষ মামলাটি বর্তমানে হাইকোর্টে বিচারাধীন ।দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাকে পাঁচ বছরের জেল, সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ এবং নির্বাচন লড়াই নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ওই বছরের ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট তাকে জামিন দেয় ।