হায়দরাবাদ, 1 জানুয়ারি: জইশ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের মৃত্যুর খবর! সোশাল মিডিয়ায় ঘুরছে একটি বিস্ফোরণের ফুটেজ । মনে করা হচ্ছে,ভিডিয়োটি মাসুদের গাড়ির। বিস্ফোরণেই মৃত্যু হয়েছে কুখ্যাত জঙ্গি নেতা মাসুদের বলে খবর ছড়িয়ে পড়েছে । দাবি করা হচ্ছে, সোমবার ভোরেই পরিকল্পনা করেই মাসুদের গাড়ির উপর হামলা করা হয়।
2001-এ সংসদ হামলা থেকে 2019 সালে পুলওয়ামা হামলা, প্রত্যেক ঘটনার নেপথ্যে একটাই নাম, জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার। মাঝে, 2016 সালে পাঠানকোটে ভারতীয় সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলাতেও তার মস্তিষ্ক ছিল বলে খবর। রাষ্ট্রসংঘের দ্বারা ঘোষিত নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের তালিকায় রয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ। এমনকি, 2019 সালেই হাফিজের মতোই মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তকমা দেয় রাষ্ট্রসংঘ। আপাতত, মাসুদের মৃত্যুর খবরে উত্তাল সোশাল মিডিয়া।
বেশ কয়েকটি সোশাল মিডিয়ার প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সোমবার ভোরে পাক অধিকৃত পঞ্জাবের একটি মসজিদের কাছে বিস্ফোরণে নিহত হয় মাসুদ। এখনও পর্যন্ত মাসুদের মৃত্যু নিয়ে পাকিস্তান সরকারের তরফে কিছু জানানো হয়নি । জইশ প্রধানকে নিয়ে ভারত-পাকিস্তান টানাপোড়েন কম চলেনি। 2019 সালে 14 ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলার পর যা আরও বেড়ে যায়। মাসুদের বিরুদ্ধে মোট 13 হাজার 500 পাতার চার্জশিট তৈরি করে এনআইএ ।
পাকিস্তান মাসুদকে নিয়ে একাধিকবার আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে। 2019 সালেই পুলওয়ামা-কাণ্ডের এক মাসের মাথায় মাসুদকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয় পাক সরকার। সূত্রের খবর, ভারতের কারণেই মাসুদকে গ্রেফতারের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ে পাকিস্তানের উপর । সেই সময় মাসুদ সহ মোট 44 জনকে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর। তারপর ফের মাসুদ নিয়ে নিশ্চুপ থাকে পাকিস্তান। এরপর পাক সরকার দাবি করে, আফগানিস্তানে আচে মাসুদ আজাহার । 2022 সালে আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে মাসুদকে গ্রেফতার করার দাবি তোলে পাকিস্তান। সবমিলিয়ে, মাসুদের বিরুদ্ধে পাক সরকারের করা পদক্ষেপ বরাবরই প্রশ্নের মুখেই পড়েছে।
আরও পড়ুন:
পাঠানকোট হামলার মাস্টারমাইন্ড শাহিদ লতিফকে গুলি করে খুন পাকিস্তানে
মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদকে ভারতে পাঠানো হোক, পাকিস্তানকে চিঠি বিদেশমন্ত্রকের
'দ্বিপাক্ষিক প্রত্যর্পণ চুক্তির অস্তিত্ব নেই', হাফিজ-হস্তান্তরে যুক্তি পাকিস্তানের!