রাঁচি, 16 অগস্ট: মৃত্যু হয়েছে সদ্যোজাতের ৷ সেই মৃতদেহ কোলে করে নিয়ে জেলের বাইরে অপেক্ষা করছেন অসহায় মা ৷ ইচ্ছে, সন্তানের মুখ শেষবারের মতো দেখাবেন জেলবন্দি স্বামীকে ৷ সেই আর্জি নিয়ে বারবার তিনি আকুতি করে চলেছেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে ৷ কিন্তু মৃত সন্তানের মুখ জেলবন্দি বাবাকে দেখতে দেওয়ার সেই করুণ আর্জিতেও হৃদয় গলেনি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের ৷ তাঁরা ব্যস্ত নিয়ম পালনে ৷ আর সেই নিয়মের বাধাতেই যেন আটকে গেল মানবিকতা ৷ দীর্ঘ সাত ঘণ্টা অপেক্ষা করেও স্বামীর দেখা না-পেয়ে, মৃত সন্তান কোলেই ফিরে যেত হল মহিলাকে (jail manual hindered last glimpse of dead son in Chatra in Jharkhand) ৷
বিব্রত করার মতো এই ঘটনাটি ঘটে ঘটেছে ঝাড়খণ্ডে ৷ বরিষ্ঠনগর থানা এলাকার অন্তর্গত বন্দরচুন্বা গ্রাম ৷ এই গ্রামের বাসিন্দা 27 বছর বয়সি চুমন মাহাতোর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ফুল দেবীর ৷ শুক্রবার রাতে ওই মহিলা এক সন্তানের জন্ম দেন ৷ বাপেরবাড়ি প্রতাপপুরের ঘৌরদৌড়ার এক প্রাইভেট ক্লিনিকে সন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা ৷ জানা গিয়েছে, জন্মের সময় ওই মহিলা ও তাঁর সন্তান সুস্থও ছিল ৷ কিন্তু শনিবার রাতে হঠাৎই ওই নবজাতকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে ৷ সেদিন রাতেই মৃত্যু হয় ওই নবজাতকের ৷
আরও পড়ুন: অনন্তনাগে নদীতে বাস উলটে মৃত 8 জওয়ান
ওই মহিলার স্বামী চুমন মাহাতো গত সাত মাস ধরে এনডিপিএস অ্যাক্টে জেলবন্দি রয়েছেন ৷ জানা গিয়েছে, মৃত্যুর পর মৃত সন্তান কোলে রবিবার ওই সংশোধনাগারে যান ওই মহিলা ৷ ভেবেছিলেন শেষবারের মতো সন্তানের মুখ দেখিয়ে নিয়ে যাবেন বাবাকে ৷ কিন্তু ওইদিন সকাল আটটা থেকে টানা প্রায় আট ঘণ্টা জেলের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকলেও ওই মহিলাকে তাঁর স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি ৷ ফলে বাধ্য হয়েই ফিরে যান মহিলা (last glimpse of dead son case) ৷
এ প্রসঙ্গে, জেল কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা নিয়ম মেনে কাজ করেছেন ৷ এইভাবে দেখা করার অনুমতি দেওয়া যায় না ৷