ETV Bharat / bharat

Rice Export to Gulf: ইজরায়েল-গাজা যুদ্ধে বন্ধ বাসমতী চাল রফতানি, ক্ষতির মুখে ভারতের কৃষক-ব্যবসায়ীরা

ইজরায়েল হামাস যুদ্ধে অনিশ্চয়তার মুখে ভারতীয় কৃষকরা। সমস্যার মুখে রফতানির সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরাও ৷ ভারত থেকে উপসাগরীয় দেশগুলিতে 90 শতাংশ জিনিসপত্র রফতানি হত ৷ এই যুদ্ধের ফলে আপাতত তা বন্ধ ৷

ETV Bharat
ইজরায়েল হামাস যুদ্ধে ক্ষতির মুখে চাল রফতানিকারক ব্যবসায়ীরা
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 18, 2023, 9:23 AM IST

Updated : Oct 18, 2023, 9:38 AM IST

কোটা, 18 অক্টোবর: ঘুরপথে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে ভারতে ৷ উপসাগরীয় দেশগুলিতে 90 শতাংশ চাল রফতানি হত রাজস্থানের কোটা থেকে ৷ তাই ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় চাল ব্যবসায়ীরা ৷ অনিশ্চয়তার মুখে ধানচাষি থেকে চাল রফতানিতে যুক্ত ব্যবসায়ীরাও ৷ ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের সরাসরি প্রভাব পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে ৷ ইজরায়েলের সীমান্তে থাকা ইরান-সহ আরও কয়েকটি দেশ এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ৷

কোটার এক ব্যবসায়ী প্রকাশচন্দ্র পালিওয়াল উপসাগরীয় দেশগুলিতে চাল রফতানির ব্যবসা করেন ৷ তিনি জানান, বিপুল পরিমাণ চাল ইরানে যাবে, এমনটাই কথা ছিল ৷ কিন্তু সেই পরিকল্পনা আপাতত বাতিল ৷ আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, "যদি এরকমটাই চলতে থাকে, তাহলে এখন কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ধানের বদলে অন্য সময়ের তুলনায় অনেক কম টাকা পাবেন ৷ ইরান, ইরাক, সৌদি আরব, কুয়েতের মতো উপসাগরীয় দেশগুলিতে 90 শতাংশ জিনিসপত্র রফতানি হয় ভারত থেকে ৷ এছাড়া ব্রিটেন, আমেরিকাতেও এখান থেকে চাল রফতানি করা হয় ৷"

কোটার হাড়োতি বিভিন্ন ধরনের বাসমতী চালের জন্য বিখ্যাত ৷ এবছর সরকার চাল রফতানিতে প্রতি টনে 1 হাজার 200 মার্কিন ডলারেরও বেশি দাম ধার্য করেছে ৷ এদিকে যুদ্ধের ফলে অন্য বছরের মতো চাল রফতানি করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা ৷

আরও পড়ুন: ভাঙা চালের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের

এই প্রসঙ্গে ভারতীয় কিষাণ সংঘের আধিকারিক রুপনারায়ণ যাদব বলেন, "এই অবস্থায় আমাদের দাবি, প্রতি টন চালের দাম 850 মার্কিন ডলার করুক সরকার ৷ এই দাম ধার্য করলেই শুধুমাত্র কৃষকরা কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পাবে ৷ আর তা না হলে, কৃষকরা চালের যথোপযুক্ত দাম পাবেন না ৷ গত বছর আমরা লাভ করেছিলাম ৷"

ব্যবসায়ী প্রকাশচন্দ্র পালিওয়াল জানান, গত বছরের শুরুতে একটি নির্দিষ্ট চালের প্রতি কুইন্টালের দাম উঠেছিল 3 হাজার টাকা ৷ পরে নভেম্বর-ডিসেম্বরে তা বেড়ে 3 হাজার 800 টাকা থেকে 4 হাজার 200 টাকায় পৌঁছয় ৷ এমনিতে সারাবছর প্রতি কুইন্টাল এই চালের দাম থাকে 3 হাজার 600 টাকা ৷ অন্য এক ধরনের চালের দাম প্রতি কুইন্টালে 4 হাজার থেকে 4 হাজার 400 টাকার মধ্যে ওঠাপড়া করেছিল ৷ পালিওয়াল আরও জানান, এই মুহূর্তে বাজারে যে চালটি পাওয়া যাচ্ছে, তার দাম প্রতি কুইন্টাল 3 হাজার টাকা থেকে 3 হাজার 200 টাকা ৷ এদিকে চালের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে, কিন্তু দামের কোনও পরিবর্তন হয়নি ৷

এই পরিস্থিতিতে সংকটে ধানচাষিরা ৷ তবে তার অন্যতম কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের বাসমতী চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা ৷ একটি বাজারের সাধারণ সম্পাদক জওহরলাল নাগর বলেন, "এর ফলে কৃষকদের সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে ৷" মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ থেকেও চাল ব্যবসায়ীরা এখানে আসেন বলে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক ৷

আরও পড়ুন: চাল রফতানিতে রাজ্যের ব্যবসায়ীদের সাহায্যে 'ইন্ডিয়ান রাইস এক্সপোর্টারস ফেডারেশন'

কোটা, 18 অক্টোবর: ঘুরপথে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে ভারতে ৷ উপসাগরীয় দেশগুলিতে 90 শতাংশ চাল রফতানি হত রাজস্থানের কোটা থেকে ৷ তাই ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় চাল ব্যবসায়ীরা ৷ অনিশ্চয়তার মুখে ধানচাষি থেকে চাল রফতানিতে যুক্ত ব্যবসায়ীরাও ৷ ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের সরাসরি প্রভাব পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে ৷ ইজরায়েলের সীমান্তে থাকা ইরান-সহ আরও কয়েকটি দেশ এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ৷

কোটার এক ব্যবসায়ী প্রকাশচন্দ্র পালিওয়াল উপসাগরীয় দেশগুলিতে চাল রফতানির ব্যবসা করেন ৷ তিনি জানান, বিপুল পরিমাণ চাল ইরানে যাবে, এমনটাই কথা ছিল ৷ কিন্তু সেই পরিকল্পনা আপাতত বাতিল ৷ আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, "যদি এরকমটাই চলতে থাকে, তাহলে এখন কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ধানের বদলে অন্য সময়ের তুলনায় অনেক কম টাকা পাবেন ৷ ইরান, ইরাক, সৌদি আরব, কুয়েতের মতো উপসাগরীয় দেশগুলিতে 90 শতাংশ জিনিসপত্র রফতানি হয় ভারত থেকে ৷ এছাড়া ব্রিটেন, আমেরিকাতেও এখান থেকে চাল রফতানি করা হয় ৷"

কোটার হাড়োতি বিভিন্ন ধরনের বাসমতী চালের জন্য বিখ্যাত ৷ এবছর সরকার চাল রফতানিতে প্রতি টনে 1 হাজার 200 মার্কিন ডলারেরও বেশি দাম ধার্য করেছে ৷ এদিকে যুদ্ধের ফলে অন্য বছরের মতো চাল রফতানি করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা ৷

আরও পড়ুন: ভাঙা চালের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের

এই প্রসঙ্গে ভারতীয় কিষাণ সংঘের আধিকারিক রুপনারায়ণ যাদব বলেন, "এই অবস্থায় আমাদের দাবি, প্রতি টন চালের দাম 850 মার্কিন ডলার করুক সরকার ৷ এই দাম ধার্য করলেই শুধুমাত্র কৃষকরা কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পাবে ৷ আর তা না হলে, কৃষকরা চালের যথোপযুক্ত দাম পাবেন না ৷ গত বছর আমরা লাভ করেছিলাম ৷"

ব্যবসায়ী প্রকাশচন্দ্র পালিওয়াল জানান, গত বছরের শুরুতে একটি নির্দিষ্ট চালের প্রতি কুইন্টালের দাম উঠেছিল 3 হাজার টাকা ৷ পরে নভেম্বর-ডিসেম্বরে তা বেড়ে 3 হাজার 800 টাকা থেকে 4 হাজার 200 টাকায় পৌঁছয় ৷ এমনিতে সারাবছর প্রতি কুইন্টাল এই চালের দাম থাকে 3 হাজার 600 টাকা ৷ অন্য এক ধরনের চালের দাম প্রতি কুইন্টালে 4 হাজার থেকে 4 হাজার 400 টাকার মধ্যে ওঠাপড়া করেছিল ৷ পালিওয়াল আরও জানান, এই মুহূর্তে বাজারে যে চালটি পাওয়া যাচ্ছে, তার দাম প্রতি কুইন্টাল 3 হাজার টাকা থেকে 3 হাজার 200 টাকা ৷ এদিকে চালের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে, কিন্তু দামের কোনও পরিবর্তন হয়নি ৷

এই পরিস্থিতিতে সংকটে ধানচাষিরা ৷ তবে তার অন্যতম কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের বাসমতী চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা ৷ একটি বাজারের সাধারণ সম্পাদক জওহরলাল নাগর বলেন, "এর ফলে কৃষকদের সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে ৷" মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ থেকেও চাল ব্যবসায়ীরা এখানে আসেন বলে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক ৷

আরও পড়ুন: চাল রফতানিতে রাজ্যের ব্যবসায়ীদের সাহায্যে 'ইন্ডিয়ান রাইস এক্সপোর্টারস ফেডারেশন'

Last Updated : Oct 18, 2023, 9:38 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.