ETV Bharat / bharat

জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী মনমোহন সরকারের অয়েল বন্ড ?

কেন বাড়ছে তেলের দাম ? এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর ৷ বিজেপির বক্তব্য, কংগ্রেস আমলের অয়ের বন্ডের জন্যই বাড়ছে তেলের দাম ৷ অভিযোগ অবশ্য খারিজ করে দিয়েছে কংগ্রেস ৷

মনমোহন সিং ও নরেন্দ্র মোদি
মনমোহন সিং ও নরেন্দ্র মোদি
author img

By

Published : Jun 21, 2021, 1:06 PM IST

নয়া দিল্লি, 21 জুন : পেট্রল, ডিজেলের আকাশছোঁয়া দামে নাভিশ্বাস দেশবাসীর ৷ এমনকি আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমলেও ভারতে তা বেড়ে চলেছে ৷ এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে বর্তমান মোদি সরকারকে ৷ কিন্তু, বিজেপির দাবি, মোদির কিছু করার নেই, কারণ এর জন্য দায়ী ইউপিএ জমানার (2004-14) মনমোহন সিংয়ের সরকারের "অয়েল বন্ড" নীতি ৷

আরও পড়ুন : ‘কর উসুলে পিএইচডি’, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা রাহুল গান্ধির

অয়েল বন্ড কী?

তেলের বাণিজ্যিক সংস্থা (OMCs) , সারের কোম্পানি, ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (FCI), এদের বাঁচাতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ভরতুকি দেওয়া হয় ৷ যা "সরকারি নিরাপত্তা" (government securities)-র সমান ৷ এই বন্ডগুলির মেয়াদ 15-20 বছর পর্যন্ত হতে পারে ৷ আন্তর্জাতিক বাজার থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে কম দামে দেশের বাজারে বিক্রি করবে তেল কোম্পানিগুলি ৷ এতে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়লেও দেশে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে ৷ আর তেল কোম্পানিগুলির যে ক্ষতি হবে তা পুষিয়ে দেবে সরকার এই বন্ডের মাধ্যমে ৷ এর জন্য সংস্থাগুলিকে সুদ দিতে হবে নির্দিষ্ট সময় অন্তর ৷ কিন্তু কেন্দ্র সরাসরি নগদ অর্থ দেয় না সংস্থাগুলিকে ৷ অয়েল বন্ডগুলি থেকে নগদ টাকা পেতে বিমা কোম্পানি, ব্যাঙ্ক আর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে বিক্রি করা হয় ৷ সাধারণত ভরতুকিকে রাজস্ব খাতে রাখা হলেও এই বন্ডগুলিকে বাজেটের বাইরে রাখা হয় ৷

2005-2009 পর্যন্ত দেশে জ্বালানির মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে কংগ্রেস শাসিত ইউপিএ সরকার তেল সংস্থাগুলিকে ভরতুকির এই অয়েল বন্ড দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল ৷ 2008-এ বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার সময়েও 2.9 লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি পূরণে 1.4 লক্ষ কোটি টাকার বন্ড দিয়েছিল মনমোহন সরকার ৷ সেই সময় এভাবে দেশে জ্বালানির দামের বৃদ্ধি থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করেছিল ইউপিএ ৷ আরেক দিকে দেশবাসীর কাছে নিজেদের জনকল্যাণমূলক রাজনৈতিক ভাবমূর্তি বজায় রেখেছিল কংগ্রেস ৷

2015 সালে তেল সংস্থাগুলি থেকে আসল 3,500 কোটি টাকা পেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এবছর 1,30,701 কোটি টাকা পাওয়ার কথা কেন্দ্রীয় সরকারের, আর সুদের পরিমাণ 10,000 কোটি ৷ গত 7 বছরে মোদি সরকার 70000 কোটি টাকা সুদ দিয়েছে, আর এবছরে 35000 কোটি টাকা শুধু প্যানডেমিকের জন্যেই বরাদ্দ করতে হয়েছে ৷ সূত্রের মতে, এই বিপুল ঘাটতির চাপে বর্তমান সরকারকে না-চাইতেও অনেক কিছু করতে হচ্ছে ৷ ইউপিএ সরকারকে দায়ী করে একটি লেখা পোস্ট করে টুইট করেন বিজেপির আইটি সেল-এর জাতীয় প্রেসিডেন্ট অমিত মালব্য ৷

  • The increased prices of petrol and diesel is a legacy of UPA’s mismanagement.

    We are paying for the oil bonds that will come up for redemption starting FY2021 till 26, which were issued by UPA to oil companies for not increasing retail prices then!

    Bad economics, bad politics. pic.twitter.com/I4hZR0i1K8

    — Amit Malviya (@amitmalviya) June 20, 2021 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

যদিও বিজেপি-র এই ব্যাখ্য়া নস্যাৎ করে একে "অগ্রহণযোগ্য" বলে টুইট করেন কংগ্রেস নেতা অমিতাভ দুবে ৷ তিনি টুইটে লেখেন, "অগ্রহণযোগ্য ৷ ভারতীয়রা 3 কোটি মেট্রিক টন পেট্রল আর 7 কোটি 30 লক্ষ মেট্রিক টন ডিজেল বা 2019-20 সালে 14,228 কোটি লিটার জ্বালানি ব্যবহার করেছে ৷ 20,000 কোটি টাকার বন্ডের "ড্রামরোল"-এ প্রতি লিটারে 1.40 টাকা পর্যন্ত ভরতুকি দিতে পারে ৷ যেখানে, মোদি সরকার শুধুমাত্র গত ছ'সপ্তাহে প্রতি লিটারের দাম বাড়িয়েছে 7 টাকা ৷" উল্লেখ্য, অমিতাভ দুবে দিল্লিতে প্রফেশনালস' কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট ৷

  • Lame.

    Indians consumed 30 million MT of petrol and 73 MMT of diesel, or 14,228 crore litres in 2019-20. A ₹20,000 crore bond payment adds up to *drumroll* ₹1.40/litre.

    Meanwhile, the Modi govt has increased fuel prices by ₹7/litre in just the last six weeks. #FuelPriceHike https://t.co/q9WpKCRvpo

    — Amitabh Dubey (@dubeyamitabh) June 20, 2021 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

শেষমেশ, ইউপিএ-বিজেপি উভয় সরকারের দায় মেটাতে হচ্ছে সেই জনসাধারণকে ৷

নয়া দিল্লি, 21 জুন : পেট্রল, ডিজেলের আকাশছোঁয়া দামে নাভিশ্বাস দেশবাসীর ৷ এমনকি আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমলেও ভারতে তা বেড়ে চলেছে ৷ এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে বর্তমান মোদি সরকারকে ৷ কিন্তু, বিজেপির দাবি, মোদির কিছু করার নেই, কারণ এর জন্য দায়ী ইউপিএ জমানার (2004-14) মনমোহন সিংয়ের সরকারের "অয়েল বন্ড" নীতি ৷

আরও পড়ুন : ‘কর উসুলে পিএইচডি’, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা রাহুল গান্ধির

অয়েল বন্ড কী?

তেলের বাণিজ্যিক সংস্থা (OMCs) , সারের কোম্পানি, ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (FCI), এদের বাঁচাতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ভরতুকি দেওয়া হয় ৷ যা "সরকারি নিরাপত্তা" (government securities)-র সমান ৷ এই বন্ডগুলির মেয়াদ 15-20 বছর পর্যন্ত হতে পারে ৷ আন্তর্জাতিক বাজার থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে কম দামে দেশের বাজারে বিক্রি করবে তেল কোম্পানিগুলি ৷ এতে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়লেও দেশে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে ৷ আর তেল কোম্পানিগুলির যে ক্ষতি হবে তা পুষিয়ে দেবে সরকার এই বন্ডের মাধ্যমে ৷ এর জন্য সংস্থাগুলিকে সুদ দিতে হবে নির্দিষ্ট সময় অন্তর ৷ কিন্তু কেন্দ্র সরাসরি নগদ অর্থ দেয় না সংস্থাগুলিকে ৷ অয়েল বন্ডগুলি থেকে নগদ টাকা পেতে বিমা কোম্পানি, ব্যাঙ্ক আর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে বিক্রি করা হয় ৷ সাধারণত ভরতুকিকে রাজস্ব খাতে রাখা হলেও এই বন্ডগুলিকে বাজেটের বাইরে রাখা হয় ৷

2005-2009 পর্যন্ত দেশে জ্বালানির মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে কংগ্রেস শাসিত ইউপিএ সরকার তেল সংস্থাগুলিকে ভরতুকির এই অয়েল বন্ড দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল ৷ 2008-এ বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার সময়েও 2.9 লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি পূরণে 1.4 লক্ষ কোটি টাকার বন্ড দিয়েছিল মনমোহন সরকার ৷ সেই সময় এভাবে দেশে জ্বালানির দামের বৃদ্ধি থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করেছিল ইউপিএ ৷ আরেক দিকে দেশবাসীর কাছে নিজেদের জনকল্যাণমূলক রাজনৈতিক ভাবমূর্তি বজায় রেখেছিল কংগ্রেস ৷

2015 সালে তেল সংস্থাগুলি থেকে আসল 3,500 কোটি টাকা পেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এবছর 1,30,701 কোটি টাকা পাওয়ার কথা কেন্দ্রীয় সরকারের, আর সুদের পরিমাণ 10,000 কোটি ৷ গত 7 বছরে মোদি সরকার 70000 কোটি টাকা সুদ দিয়েছে, আর এবছরে 35000 কোটি টাকা শুধু প্যানডেমিকের জন্যেই বরাদ্দ করতে হয়েছে ৷ সূত্রের মতে, এই বিপুল ঘাটতির চাপে বর্তমান সরকারকে না-চাইতেও অনেক কিছু করতে হচ্ছে ৷ ইউপিএ সরকারকে দায়ী করে একটি লেখা পোস্ট করে টুইট করেন বিজেপির আইটি সেল-এর জাতীয় প্রেসিডেন্ট অমিত মালব্য ৷

  • The increased prices of petrol and diesel is a legacy of UPA’s mismanagement.

    We are paying for the oil bonds that will come up for redemption starting FY2021 till 26, which were issued by UPA to oil companies for not increasing retail prices then!

    Bad economics, bad politics. pic.twitter.com/I4hZR0i1K8

    — Amit Malviya (@amitmalviya) June 20, 2021 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

যদিও বিজেপি-র এই ব্যাখ্য়া নস্যাৎ করে একে "অগ্রহণযোগ্য" বলে টুইট করেন কংগ্রেস নেতা অমিতাভ দুবে ৷ তিনি টুইটে লেখেন, "অগ্রহণযোগ্য ৷ ভারতীয়রা 3 কোটি মেট্রিক টন পেট্রল আর 7 কোটি 30 লক্ষ মেট্রিক টন ডিজেল বা 2019-20 সালে 14,228 কোটি লিটার জ্বালানি ব্যবহার করেছে ৷ 20,000 কোটি টাকার বন্ডের "ড্রামরোল"-এ প্রতি লিটারে 1.40 টাকা পর্যন্ত ভরতুকি দিতে পারে ৷ যেখানে, মোদি সরকার শুধুমাত্র গত ছ'সপ্তাহে প্রতি লিটারের দাম বাড়িয়েছে 7 টাকা ৷" উল্লেখ্য, অমিতাভ দুবে দিল্লিতে প্রফেশনালস' কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট ৷

  • Lame.

    Indians consumed 30 million MT of petrol and 73 MMT of diesel, or 14,228 crore litres in 2019-20. A ₹20,000 crore bond payment adds up to *drumroll* ₹1.40/litre.

    Meanwhile, the Modi govt has increased fuel prices by ₹7/litre in just the last six weeks. #FuelPriceHike https://t.co/q9WpKCRvpo

    — Amitabh Dubey (@dubeyamitabh) June 20, 2021 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

শেষমেশ, ইউপিএ-বিজেপি উভয় সরকারের দায় মেটাতে হচ্ছে সেই জনসাধারণকে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.