ETV Bharat / bharat

বিজেপি নেতার সঙ্গে জমিবিবাদে দুই কৃষককে ইডির তলব, অর্থমন্ত্রীকে সরানোর দাবি - IRS officer

Dismissal of FM Nirmala Sitharaman: দুই দলিত কৃষকের সঙ্গে জমি বিবাদ চলছে স্থানীয় এক বিজেপি নেতার ৷ এর জেরে ওই দুই নিরক্ষর প্রৌঢ় কৃষককে তলব করেছিল ইডি ৷ এর জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে দায়ী করলেন আইআরএস বি মুরুগান ৷

ETV Bharat
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে সরানোর দাবিতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিলেন আইআরএস আধিকারিক
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 3, 2024, 9:38 AM IST

Updated : Jan 3, 2024, 9:59 AM IST

চেন্নাই, 3 জানুয়ারি: কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে তাঁর পদ থেকে সরানোর দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখলেন এক আইআরএস আধিকারিক ৷ তাঁর অভিযোগ, সীতারমন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে বিজেপির একটি পরিবর্ধিত অংশে পরিণত করেছেন ৷ আইআরএস আধিকারিকের অভিযোগ, তামিলনাড়ুর এক বিজেপি নেতার সঙ্গে দুই দলিত কৃষকের জমিবিবাদের জেরে ওই সাধারণ দুই কৃষককে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি ৷ তার জেরেই রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখেছেন তিনি।

চেন্নাইয়ে জিএসটি এবং কেন্দ্রীয় আবগারির ডেপুটি কমিশনার বি বালা মুরুগান মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখেছেন ৷ তিনি উল্লেখ করেন, জমি নিয়ে বিজেপি নেতার সঙ্গে দুই দরিদ্র দলিত কৃষকের আইনি ঝামেলা চলছে ৷ এই ঘটনায় ওই দুই দলিত প্রৌঢ় ও নিরক্ষর কৃষককে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷

আইআরএস মুরুগানের লেখা চিঠিটি এসেছে ইটিভি ভারতের কাছে ৷ তাতে তিনি রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছেন, "তামিলনাড়ুর দুই দলিত প্রৌঢ় কৃষক- কান্নাইয়ানের বয়স 72 এবং কৃষ্ণানের 67 ৷ তাঁরা দুই ভাই ৷ তামিলনাড়ুর আত্তুরে 6.5 একর কৃষি জমি আছে দুই ভাইয়ের ৷ বর্তমানে এই জমি নিয়ে আইনি বিবাদ চলছে বিজেপি নেতা গুনাশেখরের সঙ্গে ৷ তিনি সালেম পূর্ব জেলার বিজেপির সচিব ৷ এই ঘটনায় কান্নাইয়ান ও কৃষ্ণানকে তলব করেছে ইডি ৷ এদিকে দুই কৃষক ভাই স্থানীয় বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি জবরদখলের অভিযোগ তুলেছেন ৷ শুধু তাই নয়, দুই দলিত কৃষককে তলব করার যে চিঠি ইডি পাঠিয়েছে, সেই খামের উপর ওই দুই কৃষকের জাতও করা আছে ৷"

কান্নাইয়ান এবং কৃষ্ণান তামিলনাড়ুর সালেম জেলার আত্তুর এলাকার একটি গ্রামে থাকেন ৷ আধিকারিক মুরুগান জানিয়েছেন, জমি নিয়ে আইনি বিবাদের ফলে দুই কৃষক ভাই গত চার বছর ধরে জমিতে চাষবাস করতে পারছেন না ৷ তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মাত্র 450 টাকা রয়েছে ৷ তাঁরা 1 হাজার টাকার বার্ধক্য ভাতা এবং সরকারের দেওয়া বিনামূল্যে রেশনের উপর নির্ভর করে জীবন যাপন করছেন ৷

2023 সালের 26 জুন কৃষকদের তলবের চিঠিটি পাঠিয়েছেন রীতেশ কুমার ৷ তিনি ইডির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ৷ সেই চিঠি অনুযায়ী, রীতেশ কুমার আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত 2002 সালের পিএমএলএ আইনের আওতায় এর তদন্ত করছেন ৷ তিনি কান্নাইয়ান ও কৃষ্ণানকে তদন্তকারী সংস্থার কাছে 5 জুলাই হাজিরা দিতে নির্দেশ দেন ৷

দুই প্রৌঢ় কৃষক ইডির আধিকারিকদের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ৷ তাঁরা চেন্নাইয়ে শাস্ত্রী ভবনে ইডির কার্যালয়ে হাজিরা দিতে যান ৷ অভিযোগ, সেখানে তাঁদের হুমকি দেন আধিকারিকরা ৷ এই ঘটনায় আইআরএস মুরুগান লেখেন, "এতেই স্পষ্ট যে, ইডি বিজেপির বর্ধিত অংশ হয়ে উঠেছে ৷ আর নির্মলা সীতারমন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সফলভাবে ইডিকে বিজেপি পুলিশ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটে পরিণত করেছেন ৷"

মুরুগান তাঁর চিঠিতে বিজেপির নেতার জমি দখলের প্রসঙ্গটিও উল্লেখ করেন ৷ তিনি লেখেন, "গুনাশেখরের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে জমি নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন কৃষ্ণান ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে 2020 সালে ফৌজদারি অপারধের অভিযোগ দায়ের হয় ৷ গুনাশেখরকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ এমনকী তাঁর বিচারবিভাগীয় হেফাজতেরও নির্দেশ দেয় আদালত ৷ আত্তুরের একটি আদালতে গুনাশেখর ও কৃষ্ণানের মধ্যে জমি নিয়ে একটি মামলাও চলছে ৷ তার নিষ্পত্তি এখনও হয়নি ৷"

তবে তাঁর 30 বছরের চাকরি জীবনে এমন ঘটনা কোনও দিন দেখেননি বলে জানিয়েছেন মুরুগান ৷ তাঁকেও কোনও রাজনৈতিক নেতা কোনও সুবিধে পাওয়ার জন্য চাপ দেননি ৷ তিনি লেখেন, "সাধারণত দিল্লির মাধ্যমে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হত ৷ এক্ষেত্রে পুরো পরিস্থিতিটাই বদলে গিয়েছে ৷ এর জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন পুরোপুরি দায়ী ৷ তিনি ভারতের অর্থমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য নন ৷" এই অবস্থায় তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে যত দ্রুত সম্ভব কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে সরানোর দাবি জানিয়েছেন ৷ পাশাপাশি, গরিব দলিত কৃষকদের ন্যায় বিচার দেওয়া এবং ইডিকে বাঁচানোর আর্জি জানিয়েছেন ৷

এই ঘটনা প্রসঙ্গে বালা মুরুগান ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে বলেন, "অতীতে ইডিতে সৎ আধিকারিকদের নিয়োগ করা হত ৷ রাজনৈতিক নেতারা এর মধ্যে নাক গলাতে পারতেন না ৷ গরিব দলিত কৃষক কান্নাইয়ান এবং কৃষ্ণানের 6.5 একর জমি রয়েছে ৷ অথচ তাঁরা গত 4 বছর ধরে ওই জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না ৷ এর জন্য তাঁরা বিজেপি নেতা গুনাশেখর দায়ী ৷ তবে ইডি যেভাবে এর জন্য সমন জারি করেছে, তা একেবারেই ঠিক নয় ৷ আর এগুলি হচ্ছে নির্মলা সীতারমন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী হওয়ার পরেই ৷"

আরও পড়ুন:

  1. 'দুর্নীতিগ্রস্ত আরবিআই গভর্নর থেকে অর্থমন্ত্রী ', ইস্তফা চেয়ে বোমা-হুমকি শক্তিকান্তের মেলে!
  2. জোটের বৈঠকের আগে মমতা-সাক্ষাতের পরই কেজরিওয়ালকে ফের তলব ইডি'র
  3. রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রীর বাড়িতে খুব তাড়াতাড়ি ইডি-সিবিআই হানা দেবে, হুঁশিয়ারি সুকান্তর

চেন্নাই, 3 জানুয়ারি: কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে তাঁর পদ থেকে সরানোর দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখলেন এক আইআরএস আধিকারিক ৷ তাঁর অভিযোগ, সীতারমন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে বিজেপির একটি পরিবর্ধিত অংশে পরিণত করেছেন ৷ আইআরএস আধিকারিকের অভিযোগ, তামিলনাড়ুর এক বিজেপি নেতার সঙ্গে দুই দলিত কৃষকের জমিবিবাদের জেরে ওই সাধারণ দুই কৃষককে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি ৷ তার জেরেই রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখেছেন তিনি।

চেন্নাইয়ে জিএসটি এবং কেন্দ্রীয় আবগারির ডেপুটি কমিশনার বি বালা মুরুগান মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখেছেন ৷ তিনি উল্লেখ করেন, জমি নিয়ে বিজেপি নেতার সঙ্গে দুই দরিদ্র দলিত কৃষকের আইনি ঝামেলা চলছে ৷ এই ঘটনায় ওই দুই দলিত প্রৌঢ় ও নিরক্ষর কৃষককে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷

আইআরএস মুরুগানের লেখা চিঠিটি এসেছে ইটিভি ভারতের কাছে ৷ তাতে তিনি রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছেন, "তামিলনাড়ুর দুই দলিত প্রৌঢ় কৃষক- কান্নাইয়ানের বয়স 72 এবং কৃষ্ণানের 67 ৷ তাঁরা দুই ভাই ৷ তামিলনাড়ুর আত্তুরে 6.5 একর কৃষি জমি আছে দুই ভাইয়ের ৷ বর্তমানে এই জমি নিয়ে আইনি বিবাদ চলছে বিজেপি নেতা গুনাশেখরের সঙ্গে ৷ তিনি সালেম পূর্ব জেলার বিজেপির সচিব ৷ এই ঘটনায় কান্নাইয়ান ও কৃষ্ণানকে তলব করেছে ইডি ৷ এদিকে দুই কৃষক ভাই স্থানীয় বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি জবরদখলের অভিযোগ তুলেছেন ৷ শুধু তাই নয়, দুই দলিত কৃষককে তলব করার যে চিঠি ইডি পাঠিয়েছে, সেই খামের উপর ওই দুই কৃষকের জাতও করা আছে ৷"

কান্নাইয়ান এবং কৃষ্ণান তামিলনাড়ুর সালেম জেলার আত্তুর এলাকার একটি গ্রামে থাকেন ৷ আধিকারিক মুরুগান জানিয়েছেন, জমি নিয়ে আইনি বিবাদের ফলে দুই কৃষক ভাই গত চার বছর ধরে জমিতে চাষবাস করতে পারছেন না ৷ তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মাত্র 450 টাকা রয়েছে ৷ তাঁরা 1 হাজার টাকার বার্ধক্য ভাতা এবং সরকারের দেওয়া বিনামূল্যে রেশনের উপর নির্ভর করে জীবন যাপন করছেন ৷

2023 সালের 26 জুন কৃষকদের তলবের চিঠিটি পাঠিয়েছেন রীতেশ কুমার ৷ তিনি ইডির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ৷ সেই চিঠি অনুযায়ী, রীতেশ কুমার আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত 2002 সালের পিএমএলএ আইনের আওতায় এর তদন্ত করছেন ৷ তিনি কান্নাইয়ান ও কৃষ্ণানকে তদন্তকারী সংস্থার কাছে 5 জুলাই হাজিরা দিতে নির্দেশ দেন ৷

দুই প্রৌঢ় কৃষক ইডির আধিকারিকদের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ৷ তাঁরা চেন্নাইয়ে শাস্ত্রী ভবনে ইডির কার্যালয়ে হাজিরা দিতে যান ৷ অভিযোগ, সেখানে তাঁদের হুমকি দেন আধিকারিকরা ৷ এই ঘটনায় আইআরএস মুরুগান লেখেন, "এতেই স্পষ্ট যে, ইডি বিজেপির বর্ধিত অংশ হয়ে উঠেছে ৷ আর নির্মলা সীতারমন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সফলভাবে ইডিকে বিজেপি পুলিশ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটে পরিণত করেছেন ৷"

মুরুগান তাঁর চিঠিতে বিজেপির নেতার জমি দখলের প্রসঙ্গটিও উল্লেখ করেন ৷ তিনি লেখেন, "গুনাশেখরের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে জমি নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন কৃষ্ণান ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে 2020 সালে ফৌজদারি অপারধের অভিযোগ দায়ের হয় ৷ গুনাশেখরকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ এমনকী তাঁর বিচারবিভাগীয় হেফাজতেরও নির্দেশ দেয় আদালত ৷ আত্তুরের একটি আদালতে গুনাশেখর ও কৃষ্ণানের মধ্যে জমি নিয়ে একটি মামলাও চলছে ৷ তার নিষ্পত্তি এখনও হয়নি ৷"

তবে তাঁর 30 বছরের চাকরি জীবনে এমন ঘটনা কোনও দিন দেখেননি বলে জানিয়েছেন মুরুগান ৷ তাঁকেও কোনও রাজনৈতিক নেতা কোনও সুবিধে পাওয়ার জন্য চাপ দেননি ৷ তিনি লেখেন, "সাধারণত দিল্লির মাধ্যমে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হত ৷ এক্ষেত্রে পুরো পরিস্থিতিটাই বদলে গিয়েছে ৷ এর জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন পুরোপুরি দায়ী ৷ তিনি ভারতের অর্থমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য নন ৷" এই অবস্থায় তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে যত দ্রুত সম্ভব কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে সরানোর দাবি জানিয়েছেন ৷ পাশাপাশি, গরিব দলিত কৃষকদের ন্যায় বিচার দেওয়া এবং ইডিকে বাঁচানোর আর্জি জানিয়েছেন ৷

এই ঘটনা প্রসঙ্গে বালা মুরুগান ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে বলেন, "অতীতে ইডিতে সৎ আধিকারিকদের নিয়োগ করা হত ৷ রাজনৈতিক নেতারা এর মধ্যে নাক গলাতে পারতেন না ৷ গরিব দলিত কৃষক কান্নাইয়ান এবং কৃষ্ণানের 6.5 একর জমি রয়েছে ৷ অথচ তাঁরা গত 4 বছর ধরে ওই জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না ৷ এর জন্য তাঁরা বিজেপি নেতা গুনাশেখর দায়ী ৷ তবে ইডি যেভাবে এর জন্য সমন জারি করেছে, তা একেবারেই ঠিক নয় ৷ আর এগুলি হচ্ছে নির্মলা সীতারমন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী হওয়ার পরেই ৷"

আরও পড়ুন:

  1. 'দুর্নীতিগ্রস্ত আরবিআই গভর্নর থেকে অর্থমন্ত্রী ', ইস্তফা চেয়ে বোমা-হুমকি শক্তিকান্তের মেলে!
  2. জোটের বৈঠকের আগে মমতা-সাক্ষাতের পরই কেজরিওয়ালকে ফের তলব ইডি'র
  3. রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রীর বাড়িতে খুব তাড়াতাড়ি ইডি-সিবিআই হানা দেবে, হুঁশিয়ারি সুকান্তর
Last Updated : Jan 3, 2024, 9:59 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.