ETV Bharat / bharat

International Tiger Day: আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবস আজ ! যা যা আপনাকে জানতেই হবে

আজ দুনিয়াজুড়ে ব্যাঘ্র দিবস পালিত হচ্ছে ৷ সৌরজগতে এই গ্রহের অন্যতম দুর্ধর্ষ ও সুন্দর শিকারি প্রাণীটিকে বাঁচাতে মানুষকে সচেতন করাই বিশেষ এই দিনটির উদ্দেশ্য ৷ শুধুমাত্র আমেরিকার খাঁচাতেই বন্দি বাঘের সংখ্যা পৃথিবীর জঙ্গলে থাকা বাঘের চেয়ে বেশি (International Tiger Day) ৷

Tiger Population in Wild
ডোরাকাটা বনের রাজা বাঘ
author img

By

Published : Jul 29, 2022, 2:25 PM IST

নয়াদিল্লি, 29 জুলাই: আজ আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবস ৷ প্রতি বছর 29 জুলাই, গ্রহের অন্যতম এই সুন্দর প্রাণীটিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টায় সচেতনতামূলক প্রচার চলে দুনিয়াজুড়ে ৷ কিন্তু কীভাবে তৈরি হল বাঘেদের জন্য উৎসর্গিত এই দিবস (International Tiger Day Facts and Concerns)?

2010-এ রাশিয়ায় সেন্ট পিটারসবার্গ টাইগার সামিটে (Saint Petersburg Tiger Summit) ব্যাঘ্র দিবসকে স্বীকৃতি জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ 13টি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা ঘোষণা করেন, যে দেশগুলিতে বাঘ রয়েছে তারা 2022-এর মধ্যে এই প্রাণীর সংখ্যা দ্বিগুণ করার উদ্যোগ নেবে ৷

সরকার এবং বিভিন্ন সংগঠন বাঘের বিলুপ্তি আটকানোর চেষ্টা করলেও সত্য বড়ই কঠিন ৷ পৃথিবী থেকে এখনও পুরোপুরি মুছে না গেলেও সেই বিপদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে শার্দুল-সম্প্রদায় ৷ ভারত সরকারের তথ্য অনুযায়ী, 2012 সাল থেকে 1 হাজার 59 টি বাঘ হারিয়েছে দেশ ৷ 'বাঘের রাজ্য' হিসেবে পরিচিত মধ্যপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় বাঘের মৃত্যু হয়েছে ৷

ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেটিভ অথরিটি (National Tiger Conservation Authority, NTCA) জানাচ্ছে, এবছর এখনও পর্যন্ত 75টি বাঘ প্রাণ খুইয়েছে ৷ গত বছর সংখ্যাটা ছিল 127, যা 2012 থেকে 2022 সাল এই 10 বছরে সর্বোচ্চ ৷ 2020-তে 106 টি, 2019-এ 96, 2018-য় 101, 2017-এ 117, 2016-য় 121, 2015-য় 82, 2014-য় 78, 2013-য় 68, 2012-য় 88 টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে ৷

  • Its Official! Nepal has gone beyond meeting the Global commitment to double Tiger numbers in the wild by going from 121 to 355 in 12 years! WWF Thanks the People, Govt of Nepal & all supporters including Donors for this historic achievement.

    #yearofthetiger #roarfortigers pic.twitter.com/ZjqCKtchUc

    — WWF Nepal (@WWFNepal) July 29, 2022 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

বাঘের সংখ্যা কিন্তু ক্রমশ কমে চলেছে ৷ তাদের বেঁচে থাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ, বেআইনি বন্যপ্রাণী পাচারের ব্যবসা, মানুষ-পশুর মধ্যে বাড়তে থাকা সংঘাত এবং আরও অনেক কিছুই এর কারণ ৷ তথ্য বলছে, 2012-22- এই সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র চোরাকারবারিদের হাতেই প্রাণ হারিয়েছে 193 টি বাঘ ৷ তবে 2021-এর জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত বেআইনি ব্যবসার ফাঁদে কতগুলি বাঘের মৃত্যু হয়েছে, সে হিসেব জানা যায়নি ৷

108টি বাঘের মৃত্যুর কারণ তাদের খাঁচা বন্দি করা, 44টি বাঘ অস্বাভাবিক কারণে মারা গিয়েছে ৷ এনটিসিএ জানাচ্ছে, প্রথম দিকে চোরাকারবারিকেই বাঘের মৃ্ত্যুর একমাত্র কারণ হিসেবে ধরা হত ৷ একটি বাঘের মৃত্যুর কারণ স্বাভাবিক নাকি বেআইনি বন্যপ্রাণী ব্যবসা, তা প্রমাণ করার দায় রাজ্যের ৷ অনেক ক্ষেত্রে সন্দেহ হলে এবং প্রমাণ থাকলেও বাঘের মৃত্যুর জন্য চোরাকারবারিদেরই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে ৷

আরও পড়ুন: 'বিশ্ব বাঘ দিবস' উদযাপন হবে বিশেষ তথ্যচিত্রে

ব্যাঘ্র দিবসে রইল কিছু অজানা তথ্য:

  1. এই গ্রহে বন্য বিড়াল (wild cats) প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে বড় বাঘ ৷

2. খুব স্বল্পসংখ্যক এই বন্য প্রাণীর প্রজাতি এখনও রয়েছে- বেঙ্গল টাইগার, আমুর টাইগার, মালায়ান টাইগার, ইন্দোচাইনিজ টাইগার এবং সুমাত্রার টাইগার ৷ এছাড়া তিনটি প্রজাতি- জাভা, বালি এবং কাসপিয়ান টাইগার ইতিমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে ৷ ডব্লিউডব্লিউএফ (World Wildlife Fund) মনে করে, দক্ষিণ চিনের বাঘ কার্যকারীভাবে বিলুপ্ত হয়েছে ৷

3. বিগত শতকে শিকারি প্রাণীটির সংখ্যা কমে বনেজঙ্গলে এখন মাত্র 3 হাজার 900টিতে ঠেকেছে ৷ তাই একে 'বিপন্ন' শ্রেণি হিসেবে উল্লেখ করা হয় ৷

4. বনে যত না বাঘ জঙ্গলে আছে তার থেকে অনেক বেশি বাঘ আমেরিকায় খাঁচায় বন্দি অবস্থায় রয়েছে ৷ আর সে সংখ্যা প্রায় 5 হাজার !

5. নিজের খাবারের খোঁজে অর্থাৎ শিকার করতে এই প্রাণীটি রাতে 6-12 মাইল পর্যন্ত ঘুর বেড়াতে পারে ৷ ছোট্ট দূরত্ব অতিক্রম করতে 49-65 কিমি/ঘণ্টা বেগে দৌড়তে পারে সাধারণত ৷ অন্ধকারে জ্বলতে থাকে তার হলুদ চোখ ৷

6. ডব্লিউডব্লিউএফ (World Wildlife Fund) জানাচ্ছে, শুধুমাত্র চিনেই 8 হাজারেরও বেশি বাঘ নিয়ে চাষ হয় এবং তাদের প্রজনন কেন্দ্রে রাখা হয়েছে ৷ বাণিজ্যিক কারণে বন্দি করে প্রজনন করা হচ্ছে বাঘের ৷ এর ফলে বেআইনি পাচারের ব্যবসার এত চাহিদা এবং বাড়বাড়ন্ত ৷

7. গোপনে ঘাপটি মেরে থাকা একদল বাঘকে তুলনা করা যায় সৈন্যবাহিনীর সঙ্গে ৷

8. বাঘ কিন্তু শিকার নিয়ে খুব রক্ষণশীল ৷ সে তার গায়ের রক্ত ঝরিয়ে জোগাড় করা খাবার নিয়ে সাধারণত বনভোজন পছন্দ করে না ৷ বরং মেরে ফেলার জায়গা থেকে প্রাণীটিকে সরিয়ে নিয়ে এসে কোনও নিরাপদ স্থানে ঢেকে রাখে ৷ যদি এক মুহূর্তের জন্যও জায়গাটি ছেড়ে যেতে হয়, তাহলে মৃত পশুর দেহটিকে ঘাস, গাছপালা, পাতা এমনকী পাথর দিয়ে আড়াল করে তবে যায় ৷

আরও পড়ুন: বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভে বাঘ-শাবকের ভিডিয়ো ভাইরাল

নয়াদিল্লি, 29 জুলাই: আজ আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবস ৷ প্রতি বছর 29 জুলাই, গ্রহের অন্যতম এই সুন্দর প্রাণীটিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টায় সচেতনতামূলক প্রচার চলে দুনিয়াজুড়ে ৷ কিন্তু কীভাবে তৈরি হল বাঘেদের জন্য উৎসর্গিত এই দিবস (International Tiger Day Facts and Concerns)?

2010-এ রাশিয়ায় সেন্ট পিটারসবার্গ টাইগার সামিটে (Saint Petersburg Tiger Summit) ব্যাঘ্র দিবসকে স্বীকৃতি জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ 13টি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা ঘোষণা করেন, যে দেশগুলিতে বাঘ রয়েছে তারা 2022-এর মধ্যে এই প্রাণীর সংখ্যা দ্বিগুণ করার উদ্যোগ নেবে ৷

সরকার এবং বিভিন্ন সংগঠন বাঘের বিলুপ্তি আটকানোর চেষ্টা করলেও সত্য বড়ই কঠিন ৷ পৃথিবী থেকে এখনও পুরোপুরি মুছে না গেলেও সেই বিপদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে শার্দুল-সম্প্রদায় ৷ ভারত সরকারের তথ্য অনুযায়ী, 2012 সাল থেকে 1 হাজার 59 টি বাঘ হারিয়েছে দেশ ৷ 'বাঘের রাজ্য' হিসেবে পরিচিত মধ্যপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় বাঘের মৃত্যু হয়েছে ৷

ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেটিভ অথরিটি (National Tiger Conservation Authority, NTCA) জানাচ্ছে, এবছর এখনও পর্যন্ত 75টি বাঘ প্রাণ খুইয়েছে ৷ গত বছর সংখ্যাটা ছিল 127, যা 2012 থেকে 2022 সাল এই 10 বছরে সর্বোচ্চ ৷ 2020-তে 106 টি, 2019-এ 96, 2018-য় 101, 2017-এ 117, 2016-য় 121, 2015-য় 82, 2014-য় 78, 2013-য় 68, 2012-য় 88 টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে ৷

  • Its Official! Nepal has gone beyond meeting the Global commitment to double Tiger numbers in the wild by going from 121 to 355 in 12 years! WWF Thanks the People, Govt of Nepal & all supporters including Donors for this historic achievement.

    #yearofthetiger #roarfortigers pic.twitter.com/ZjqCKtchUc

    — WWF Nepal (@WWFNepal) July 29, 2022 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

বাঘের সংখ্যা কিন্তু ক্রমশ কমে চলেছে ৷ তাদের বেঁচে থাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ, বেআইনি বন্যপ্রাণী পাচারের ব্যবসা, মানুষ-পশুর মধ্যে বাড়তে থাকা সংঘাত এবং আরও অনেক কিছুই এর কারণ ৷ তথ্য বলছে, 2012-22- এই সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র চোরাকারবারিদের হাতেই প্রাণ হারিয়েছে 193 টি বাঘ ৷ তবে 2021-এর জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত বেআইনি ব্যবসার ফাঁদে কতগুলি বাঘের মৃত্যু হয়েছে, সে হিসেব জানা যায়নি ৷

108টি বাঘের মৃত্যুর কারণ তাদের খাঁচা বন্দি করা, 44টি বাঘ অস্বাভাবিক কারণে মারা গিয়েছে ৷ এনটিসিএ জানাচ্ছে, প্রথম দিকে চোরাকারবারিকেই বাঘের মৃ্ত্যুর একমাত্র কারণ হিসেবে ধরা হত ৷ একটি বাঘের মৃত্যুর কারণ স্বাভাবিক নাকি বেআইনি বন্যপ্রাণী ব্যবসা, তা প্রমাণ করার দায় রাজ্যের ৷ অনেক ক্ষেত্রে সন্দেহ হলে এবং প্রমাণ থাকলেও বাঘের মৃত্যুর জন্য চোরাকারবারিদেরই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে ৷

আরও পড়ুন: 'বিশ্ব বাঘ দিবস' উদযাপন হবে বিশেষ তথ্যচিত্রে

ব্যাঘ্র দিবসে রইল কিছু অজানা তথ্য:

  1. এই গ্রহে বন্য বিড়াল (wild cats) প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে বড় বাঘ ৷

2. খুব স্বল্পসংখ্যক এই বন্য প্রাণীর প্রজাতি এখনও রয়েছে- বেঙ্গল টাইগার, আমুর টাইগার, মালায়ান টাইগার, ইন্দোচাইনিজ টাইগার এবং সুমাত্রার টাইগার ৷ এছাড়া তিনটি প্রজাতি- জাভা, বালি এবং কাসপিয়ান টাইগার ইতিমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে ৷ ডব্লিউডব্লিউএফ (World Wildlife Fund) মনে করে, দক্ষিণ চিনের বাঘ কার্যকারীভাবে বিলুপ্ত হয়েছে ৷

3. বিগত শতকে শিকারি প্রাণীটির সংখ্যা কমে বনেজঙ্গলে এখন মাত্র 3 হাজার 900টিতে ঠেকেছে ৷ তাই একে 'বিপন্ন' শ্রেণি হিসেবে উল্লেখ করা হয় ৷

4. বনে যত না বাঘ জঙ্গলে আছে তার থেকে অনেক বেশি বাঘ আমেরিকায় খাঁচায় বন্দি অবস্থায় রয়েছে ৷ আর সে সংখ্যা প্রায় 5 হাজার !

5. নিজের খাবারের খোঁজে অর্থাৎ শিকার করতে এই প্রাণীটি রাতে 6-12 মাইল পর্যন্ত ঘুর বেড়াতে পারে ৷ ছোট্ট দূরত্ব অতিক্রম করতে 49-65 কিমি/ঘণ্টা বেগে দৌড়তে পারে সাধারণত ৷ অন্ধকারে জ্বলতে থাকে তার হলুদ চোখ ৷

6. ডব্লিউডব্লিউএফ (World Wildlife Fund) জানাচ্ছে, শুধুমাত্র চিনেই 8 হাজারেরও বেশি বাঘ নিয়ে চাষ হয় এবং তাদের প্রজনন কেন্দ্রে রাখা হয়েছে ৷ বাণিজ্যিক কারণে বন্দি করে প্রজনন করা হচ্ছে বাঘের ৷ এর ফলে বেআইনি পাচারের ব্যবসার এত চাহিদা এবং বাড়বাড়ন্ত ৷

7. গোপনে ঘাপটি মেরে থাকা একদল বাঘকে তুলনা করা যায় সৈন্যবাহিনীর সঙ্গে ৷

8. বাঘ কিন্তু শিকার নিয়ে খুব রক্ষণশীল ৷ সে তার গায়ের রক্ত ঝরিয়ে জোগাড় করা খাবার নিয়ে সাধারণত বনভোজন পছন্দ করে না ৷ বরং মেরে ফেলার জায়গা থেকে প্রাণীটিকে সরিয়ে নিয়ে এসে কোনও নিরাপদ স্থানে ঢেকে রাখে ৷ যদি এক মুহূর্তের জন্যও জায়গাটি ছেড়ে যেতে হয়, তাহলে মৃত পশুর দেহটিকে ঘাস, গাছপালা, পাতা এমনকী পাথর দিয়ে আড়াল করে তবে যায় ৷

আরও পড়ুন: বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভে বাঘ-শাবকের ভিডিয়ো ভাইরাল

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.