কলকাতা, 22 অগস্ট: রাজ্যের কন্যা সন্তান এবং মহিলাদের জন্য একাধিক ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কিন্তু বিলকিস বানো গণধর্ষণ কাণ্ডে দোষীরা ছাড়া পাওয়ার পর কেন চুপ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীরবতা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন বিদ্বজনেরা ৷ 2002 সালের গোধরা দাঙ্গায় বিলকিস বানো গণধর্ষণ কাণ্ডে (Bilkis Bano Gangrape Case) যে 11 জনের সাজা হয়েছিল, স্বাধীনতা দিবসের দিন তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে (All 11 life imprisonment convicts of Bilkis Bano Gang rape released) । এরপরেই সারা দেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে । বিলকিস বানো জানিয়েছেন, তিনি দেশের আইন ব্যবস্থায় আস্থা হারিয়েছেন (2002 Gujarat riots) ।
2002 সালে বিলকিস বানোর গণধর্ষণ এবং শিশু সন্তান-সহ পরিবারের সাতজনকে নৃশংস হত্যার সাজাপ্রাপ্ত 11 জনকে মুক্তি ও সংবর্ধনা দেওয়ার প্রতিবাদে এক ধিক্কার সভা হয় রানুছায়া মঞ্চে । সংবিধান বাঁচাও দেশ বাঁচাও মঞ্চ, হকার্স সংগ্রাম কমিটি, সদ্ভাবনা মঞ্চ, এআইপিএফ, এফওডি, এপিসিআর, জামায়াতে ইসলামী হিন্দ পশ্চিমবঙ্গ, জাতীয় বাংলা সম্মেলন এবং বন্দিমুক্তি কমিটির পক্ষ থেকে এই মঞ্চের আয়োজন করা হয় ।
এই ইস্যুতে সুজাত ভদ্র বলেন, "একদিকে দেশের প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবসে যখন মহিলাদের অধিকারের কথা বলছিলেন, তখন আর এক মহিলা বিলকিস বানোর উপর যারা অত্যাচার করেছে তাদের মুক্তি দেওয়া হল । যাবজ্জীবন কারাগারে থাকাকে আমরা বিরোধিতা করলেও, এই 11 জনকে যে মুক্তি দেওয়া হল তার আমরা বিরোধিতা করি । এটা একেবারেই অন্যরকম অপরাধ । সবচেয়ে বড় ব্যপার, এরা অনুতপ্ত নয় । তারপর তাদের সম্বর্ধনা দেওয়া হল । এটা আইন এবং অত্যাচারিত, দু'পক্ষের প্রতিই অবিচার হয়েছে । এই মুক্তির আগে একবারও ভাবা হল না যে যদি এই ধরনের অপরাধীদের ছাড়া হয় তাহলে সমাজে এর কতটা কুপ্রভাব পড়তে পারে ।"
আরও পড়ুন : বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তিতে কেন্দ্রকে তোপ ওয়েইসির
পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের জামাত ইসলামির সম্পাদক সাদাব মাসুম বলেন, "আমাদের রাজ্যের যিনি মুখ্যমন্ত্রী তিনি একজন মহিলা ৷ যিনি রাজ্যের মহিলাদের উন্নতির জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন । কিন্তু আরেক মহিলার ধর্ষণকারীদের ছেড়ে দেওয়া হল এবং মুক্তির পর তাদের সম্বর্ধনা দেওয়া হল ৷ এই অন্যায়ের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী একটিও কথা বললেন না । তাই এই মঞ্চের থেকে আমরা ওনার কাছে দাবি জানাচ্ছি, উনি এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন ।"