নয়াদিল্লি, 21 নভেম্বর: সমুদ্র নিরাপত্তায় এবার আরও হাত শক্ত হচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনীর (Indian Navy) । সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি নয়া যুদ্ধজাহাজ ‘আইএনএস বিশাখাপত্তনম’ (INS Visakhapatnam) হাতে পেল তারা ৷ এই জাহাজে শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী প্রযুক্তি রয়েছে ৷ এই নিয়ে শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী চতুর্থ যুদ্ধজাহাজ হাতে পেল ভারতীয় নৌসেনা ।
রবিবার মুম্বইয়ের নেভাল ডকইয়ার্ডে আনুষ্ঠানিক ভাবে নৌসেনার হাতে এই যুদ্ধজাহাজ তুলে দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath । সেখানে নাম না করে চিনকে নিশানা করেন তিনি ৷ বলেন, ‘‘নিজেদের ইচ্ছে মতো কিছু দেশ রাষ্ট্রপুঞ্জের সমুদ্র নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করছে ৷ নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে ভুল ব্যাখ্যা করছে আন্তর্জাতিক আইনের ৷’’
আরও পড়ুন: Kalraj-Sakkshi on Farm Laws : প্রয়োজনে ফের কৃষি আইন, মোদির ঘোষণার পরও মন্তব্য কলরাজ-সাক্ষীর
‘আইএনএস বিশাখাপত্তনম’-এর অন্তর্ভুক্তিতে সমুদ্র নিরাপত্তায় ভারতের হাত আরও শক্ত হল বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা ৷ কারণ ভারত মহাসাগর তথা দক্ষিণ চিন সাগরে যে ভাবে ড্রাগনের চোখরাঙানি উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে, তার মোকাবিলায় এই যুদ্ধজাহাজ ভারতের পক্ষে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন তাঁরা ।
তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাহাজ হাতে পেয়ে গেলেও, নৌবাহিনীর তরফে ‘আইএনএস বিশাখাপত্তনম’-কে পরীক্ষা করে দেখা এবং তাকে নৌবহরে সামিল করে মহড়া দেওয়া এখনও বাকি নৌসেনার ৷
আরও পড়ুন: Sachin Pilot on Rajasthan Congress : রাজস্থান কংগ্রেসে কোনও দ্বন্দ্ব নেই, দাবি শচীন পাইলটের
শুধু সমুদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই নয়, ‘আইএনএস বিশাখাপত্তনম’-এর হাত ধরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত স্বনির্ভর হওয়ার দিকেও অনেকটাই এগিয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে ৷ কারণ দেশীয় স্টিল ব্যবহার করে যুদ্ধজাহাজটি তৈরি করা হয়েছে ৷ জাহাজের নকশা করেছে ডিরক্টরেট অব নেভাল ডিজাইন । জাহাজ নির্মাণের দায়িত্বে ছিল মুম্বইয়ের মেসার্স মাজাগাঁও ডক শিপবির্ল্ডার্স লিমিটেড সংস্থা ।
এছাড়াও সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে ডুবোজাহাজও তৈরি করছে ভারত ৷ তার নাম রাখা হয়েছে ‘ভেলা’ ৷ আগামী 28 নভেম্বর দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ডুবোজাহাজ ‘ভেলা’ হাতে পাচ্ছে ভারতীয় নৌসেনা ৷ এই জাহাজ এবং ডুবোজাহাজের অন্তর্ভুক্তিতে বিশ্বের সেরা সমুদ্র প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে সক্ষম দেশের তালিকায় ভারত ঢুকে পড়বে বলে মত নৌসেনার এক আধিকারিক ৷ এর ফলে সমুদ্রের উপরে এবং নীচে নজরদারি চালানো আরও সহজ হবে ৷