নয়াদিল্লি, 30 এপ্রিল: নতুন ভারতীয় কোম্পানিগুলি অন্যান্য দেশে তাদের সমকক্ষের তুলনায় স্কেল অর্থনীতি অর্জনে স্থিতিস্থাপক এবং যথেষ্ট ভালোভাবে প্রস্তুত ৷ গত তিন দশকে দেশে নথিভুক্ত কোম্পানিগুলির ডেটা বিশ্লেষণে এমনই তথ্য মিলেছে ৷ ভারতীয় স্টেট ব্যাংকের রিসার্চের পর তথ্য অনুযায়ী বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, ভারতে প্রায় 45 শতাংশ কোম্পানি 20 বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবসা করছে ৷ গোটা বিশ্বের নিরিখে কোম্পানিগুলির গড় স্থিতি মাত্র 5 বছরের কাছাকাছি। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গ্রুপ ইকোনমিক অ্যাডভাইজার সৌম্য কান্তি ঘোষের মতে, গত তিন দশকে নিবন্ধিত সংস্থাগুলি এবং তাদের কার্যকলাপের অবস্থা বিশ্লেষণ ও পরীক্ষা করে একাধিক এমন পরিসংখ্যান মিলেছে ৷
বর্তমানে বিশ্বের কাছে একটা প্রচলিত বিশ্বাসের জায়গায় দাঁড়িয়ে গিয়েছে, যে অনেক নতুন সংস্থা পাঁচ বছরের বেশি টিকে থাকে না । উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছয় বছর পর নতুন সংস্থাগুলির টিকে থাকার হার মাত্র 40 শতাংশের কাছাকাছি পাওয়া গিয়েছে । কিন্তু ভারতীয় তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, 90-এর দশকের গোড়ার দিক থেকে গড়ে নতুন সংস্থাগুলির টিকে থাকার হার প্রায় 45 শতাংশ বা তার বেশি । তথ্য অনুযায়ী এটা স্পষ্ট যে, 1990 সালের আগে কোম্পানিগুলির টিকে থাকার হার ছিল মোটামোটি 41 শতাংশ ৷ যদিও সবে শুরু হওয়া কোম্পানির সংখ্যা বেশ কমই ছিল ৷
তথ্য অনুযায়ী, 2000 সাল থেকে গঠিত কোম্পানিগুলির টিকে থাকার সম্ভাবনা আগের তুলনায় বরং বেড়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে জন্ম নেওয়া সংস্থাগুলির জন্য টিকে থাকার হারও উন্নত। তাছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়নের নিরীখে দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের চেয়ে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলে কোম্পানিগুলির টিকে থাকার হার ও বৃদ্ধি অনেকটাই ভালো। 1980 থেকে 2018 সালের মধ্যে ভারতে প্রতি বছর গড়ে 45 হাজার 600টি নতুন সংস্থা নথিভুক্ত হয়েছিল ৷ পাশাপাশি 2018 থেকে 2022 সালে গঠিত ফার্মের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি হয়েছে ৷ তথ্য বলছে, কোভিডের পর প্রতিদিন নিবন্ধিত হওয়া সংস্থাগুলির সংখ্যা 50 শতাংশের উপরে বেড়েছে ৷
অন্যদিকে, ওলা বা এজাতীয় অন্যান্য স্টার্টআপগুলি দেশের টু-হুইলার বাজারের দৃশ্য অনেকটাই পালটে দিয়েছে ৷ টিভিএস, হিরো বা মহিন্দ্রার মতো প্রতিষ্ঠিত টু-হুইলার সংস্থাকেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। একইভাবে, ফ্লিপকার্ট বা স্ন্যাপডিলের মতো স্টার্টআপগুলি দেশের ই-কমার্স সেক্টরে আরও প্রতিষ্ঠিতদের কার্যত পিছনে ফেলে দিয়েছে। সৌম্য কান্তি ঘোষ জানিয়েছেন, আগামীদিনে পরিষেবা, গ্রিন এনার্জি, গতিশীলতা, ডেটা-নেতৃত্বাধীন কোম্পানিগুলিকে ভারত ইনকর্পোরেটেডের শীর্ষস্থান দাবি করার জন্য নেতৃত্ব দিতে পারে ৷ সেই সঙ্গে, নতুন কোম্পানিগুলির শেয়ারও দেখতে পারে ৷
আরও পড়ুন: আংটির দাম 6 কোটি, 50 হাজার হিরে বসিয়ে বিশ্বরেকর্ড