নয়া দিল্লি, 8 ডিসেম্বর : প্লাস্টিক শিল্পের টার্নওভার আগামী 5 বছরের মধ্যে 3 লক্ষ কোটি টাকা থেকে 10 লক্ষ কোটিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্লাস্টিক প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে উৎসাহিত করলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী (Union Minister of Commerce and Industries) পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal) ৷ মঙ্গলবার প্লাস্টিক শিল্পে জড়িত কয়েকটি নেতৃত্ব এবং অংশীদারিদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি জানান, দেশের প্লাস্টিক শিল্প সংস্থাগুলির (plastic industry in the country) অবস্থা তিনি দেখেছেন (Piyush Goyal on plastic production) ৷
প্লাস্টিক অংশীদারি সংস্থাগুলি (industry stakeholders) তাঁকে এই সেক্টরের কার্যক্ষমতা আরও জোরদার করার পরামর্শ দিয়েছে ৷ এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছাড়া পেট্রোকেমিক্যাল এবং প্লাস্টিক সেক্টরের (Petrochemical & Plastic sector) বিভিন্ন বাণিজ্য সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন ৷
আরও পড়ুন : অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করালেন নীতিন গড়করি
দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প প্লাস্টিক উৎপাদন (plastic manufacturing) ৷ এ কথা জানিয়ে মন্ত্রী গোয়েল আশা প্রকাশ করেন, যত বেশি টার্নওভার হবে, ততই চাকরির সংখ্যাও দ্বিগুণ হওয়া সুনিশ্চিত হবে ৷ দেশে প্লাস্টিক প্রস্তুতকারক যন্ত্রপাতি তৈরির (manufacturing of plastic machinery) একটা বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে ৷ এতে আমদানির উপর নির্ভরতা (dependence on imports) কমবে ৷ তিনি শিল্পপতিদের প্লাস্টিকের গুণমানের (quality of the material) দিকেও নজর দিতে বলেন ৷ সেকেন্ড-হ্যান্ড যন্ত্রপাতি (second-hand machinery) ব্যবহারে নির্ভরশীল হয়ে পড়লে তাতে শুধুমাত্র নিম্নমানের জিনিস উৎপাদন হবে ৷ দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বিশ্ব-মানের যন্ত্রপাতি (world-class machinery) দরকার ৷
আর এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে 'ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস' (Bureau of Indian Standards, BIS) যেখানে প্রয়োজন হবে, সেখানে ল্যাব তৈরি করবে ৷ এই ল্যাবগুলিতে প্লাস্টিকের তৈরি জিনিসপত্রের মান নির্ধারণ করা হবে, জানান বাণিজ্যমন্ত্রী ৷
আরও পড়ুন : E-Shram Portal : মোদি সরকারের ই-শ্রম পোর্টালে ব্যাপক সাড়া, দু’মাসেরও কম সময়ে 4 কোটি নাম নথিভুক্ত
প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে এবং দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলির (Ministry of Micro, Small and Medium Enterprises, MSMEs) বৃদ্ধির জন্য সময়মতো কাঁচামাল পাওয়াটা জরুরি ৷ এমএসএমই বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান তৈরি করে, লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে ৷ তাই সব অংশীদারি সংস্থাকে (stakeholders) তাদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে ৷
তিনি বলেন, "এতে ভারতের আত্মনির্ভর ভারত মিশন (Atmanirbhar Bharat Mission) আরও শক্তিশালী হবে ৷"