নয়াদিল্লি, 29 ডিসেম্বর: ভারতীয় সংস্থার (India Company) তৈরি কাশির ওষুধ (Cough Syrup) খেয়ে উজবেকিস্তানের (Uzbekistan) 18টি শিশুর মৃত্যু (18 Children Lost Lives) হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি ৷ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্য়াণ মন্ত্রী (Minister of Health and Family Welfare) মনসুখ মাণ্ডব্য (Mansukh Mandaviya) জানান, উজবেকিস্তানের ওষুধ নিয়ামক সংস্থার (Uzbekistan Drug Regulator) সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে ভারত সরকার (India Government) ৷
যে কাশির ওষুধের বিরুদ্ধে এত বড় অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটি তৈরি করেছে নয়ডার একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ৷ সূত্রের দাবি, উজবেকিস্তানে যে ওষুধগুলি পাঠানো হয়েছিল, সেগুলি আসলে বিষাক্ত ছিল ! তাই ওষুধ খেতেই একের পর এক শিশুর মৃত্যু হয় !
আরও পড়ুন: অন্ধ্রপ্রদেশে পদপিষ্ট হয়ে মৃত 8, শোকপ্রকাশ ও ক্ষতিপূরণ ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর
এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্য়াণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয় ৷ তাতে জানানো হয়েছে, "কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যর নির্দেশে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অরগানাইজেশন বা সিডিএসসিওর পক্ষ থেকে উজবেকিস্তানের ওষুধ নিয়ামক সংস্থার সঙ্গে নিয়মিতভাবে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে ৷ সংশ্লিষ্ট ঘটনার জেরে গত 27 ডিসেম্বর থেকে এই যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে ৷"
এই ঘটনার (Cough Syrup Controversy) জেরে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে ম্য়ারিয়ন বাায়োটেক নামে সংশ্লিষ্ট ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাকে ৷ তাছাড়া, এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ ৷ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত সংস্থার নয়ডার কারখানায় অভিযান চালানো হয়েছে ৷ উত্তরপ্রদেশের ওষুষ নিয়ামক সংস্থা এবং সিডিএসসিও যৌথভাবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷ সংশ্লিষ্ট কাশির ওষুধে কোনও সমস্যা ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ তদন্তের কাজ শেষ হলে সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করবেন তদন্তকারীরা ৷ তার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে ৷
সূত্রের খবর, ম্যারিয়ন বায়োটেক একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ৷ তাদের কাছে সংশ্লিষ্ট কাশির ওষুধটি তৈরি করার বৈধ অনুমতি রয়েছে ৷ একই নামে সিরাপ এবং ট্যাবলেটের আকারে ওষুধ তৈরি করে তারা ৷ সেই ওষুধ বিদেশেও রফতানি করা হয় ৷ ইতিমধ্যেই সেইসব ওষুধের নমুনা কারখানা থেকে সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা ৷ সেই ওষুধ পরীক্ষা করে দেখলেই বিষয়টি অনেকটা পরিষ্কার হবে বলে মনে করছেন তাঁরা ৷