ETV Bharat / bharat

Independence Special : 80 রাজপুত যোদ্ধার ফাঁসি নাড়িয়ে দিয়েছিল কোম্পানি শাসনের ভিত

প্রতারণা সম্বল করে আদিংয়ের প্রাসাদে 80 জন রাজপুত যোদ্ধাকে ফাঁসিতে চড়িয়েছিল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ৷ সেই ঘটনা ব্রিটিশ শাসনের ভিত নাড়িয়ে দেয় ৷ ইতিহাস বলছে, ব্রিটিশবিরোধী যুদ্ধে এটাই ছিল রাজপুতদের সবথেকে বড় বলিদান ৷

independence special : the brave warriors of adeeng
Independence Special : 80 রাজপুত যোদ্ধার ফাঁসি নাড়িয়ে দিয়েছিল কোম্পানি শাসনের ভিত
author img

By

Published : Nov 14, 2021, 6:04 AM IST

মথুরা, 14 নভেম্বর : ব্রিটিশ শাসককে উৎখাত করতে পরাধীন ভারতে বিদেশি বণিকদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছিলেন দেশের বীর সন্তানরা ৷ একের পর এক ঘটনা ঘুম কেড়ে নিয়েছিল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ৷ তেমনই দু’টি ঘটনা ঘটেছিল ঊনবিংশ শতাব্দীতে ৷ যা ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের ভিত নাড়িয়ে দেয় ৷ এর মধ্যে প্রথম ঘটনাটি ঘটে 1805 সালে ৷ দ্বিতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধ চলাকালীন ভরতপুর অবরোধের সময় ৷ ভরতপুরকে চারদিক দিয়ে ঘিরে কেল্লা আক্রমণ করেছিল ব্রিটিশ সেনা ৷ কিন্তু, বারবার হামলা চালিয়েও ভরতপুরের অবরোধ তুলতে ব্যর্থ হয় তারা ৷ উল্টে এই লড়াইয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির 3 হাজার 203 জন সেনাকে প্রাণ হারাতে হয় ৷ জখম হন আরও আট থেকে 10 হাজার সেনা ৷ বাধ্য হয়েই চুক্তি স্বাক্ষর করতে হয় ব্রিটিশদের ৷

আরও পড়ুন : Independence Special : বালগঙ্গাধরের কলম ধার বাড়িয়েছিল স্বাধীনতার যুদ্ধের

দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছিল আদিংয়ে ৷ মথুরা সদর থেকে যার দূরত্ব 40 কিলোমিটার ৷ 1857 সালের মহাবিদ্রোহের সময় রাজপুত সেনারা ব্রিটিশদের শক্তি কাজে লাগিয়েই তাদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছিলেন ৷ ঘটনায় হতবাক ব্রিটিশ শাসক শেষ পর্যন্ত প্রতারণার আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় ৷ বোঝাপড়ার বার্তা দিয়ে রাজপুত সেনাদের ডেকে পাঠানো হলেও তাঁদের মধ্যে 80 জনকে পণবন্দি করা হয় ৷ আদিংয়ে রাজা ফন্দমলের প্রাসাদে তাঁদের সকলকে ফাঁসি দেওয়া হয় ৷ ইতিহাসের পাতায় আজও উল্লেখ রয়েছে সেই নারকীয় ঘটনার ৷

80 রাজপুত যোদ্ধার ফাঁসি নাড়িয়ে দিয়েছিল কোম্পানি শাসনের ভিত

এই প্রাসাদ আজ পুরানি হাভেলি নামে খ্যাত ৷ ফন্দমল জাঠ এই প্রাসাদ তৈরি করিয়েছিলেন ৷ যার জন্য একে ফন্দমল কি হাভেলিও বলা হয় ৷ বর্তমানে এই প্রাসাদ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ৷ ফন্দমল ছিলেন ভরতপুরের রাজা সুরজমলের সামন্ত ৷ আগে আদিং একটি তহসিল কেন্দ্র ছিল ৷ কিন্তু 1868 সালে ব্রিটিশ শাসক আদিংয়ের এই স্বীকৃতি কেড়ে নেয় ৷ তারপর থেকেই হৃত গৌরব ফেরানোর দাবিতে সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ কিন্তু তাতে লাভ কিছুই হয়নি ৷ আমজনতাকে শুধু আশ্বাসই দিয়ে গিয়েছেন তাঁদের নেতারা ৷ কিন্তু, তার বাস্তবায়ন হয়নি ৷

আরও পড়ুন : Independence Special : বংশপরম্পরায় দেশের জন্য শহিদ, রাজস্থানের বারহঠ পরিবার আজ বিস্মৃত

80 জন রাজপুত যোদ্ধাকে বন্দি করার পরই আদিংয়ে রাজপুত রাজত্ব শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটিশরা ৷ 80 জন রাজপুত যোদ্ধাকেই ফাঁসিতে ঝোলানো হয় ৷ কেবলমাত্র হরদেবী বলে এক অন্তঃসত্ত্বা প্রাণ বাঁচিয়ে পালাতে সক্ষম হন ৷ ইতিহাস বলছে, ব্রিটিশবিরোধী যুদ্ধে এটাই রাজপুতদের সবথেকে বড় বলিদান ৷

মথুরা, 14 নভেম্বর : ব্রিটিশ শাসককে উৎখাত করতে পরাধীন ভারতে বিদেশি বণিকদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছিলেন দেশের বীর সন্তানরা ৷ একের পর এক ঘটনা ঘুম কেড়ে নিয়েছিল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ৷ তেমনই দু’টি ঘটনা ঘটেছিল ঊনবিংশ শতাব্দীতে ৷ যা ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের ভিত নাড়িয়ে দেয় ৷ এর মধ্যে প্রথম ঘটনাটি ঘটে 1805 সালে ৷ দ্বিতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধ চলাকালীন ভরতপুর অবরোধের সময় ৷ ভরতপুরকে চারদিক দিয়ে ঘিরে কেল্লা আক্রমণ করেছিল ব্রিটিশ সেনা ৷ কিন্তু, বারবার হামলা চালিয়েও ভরতপুরের অবরোধ তুলতে ব্যর্থ হয় তারা ৷ উল্টে এই লড়াইয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির 3 হাজার 203 জন সেনাকে প্রাণ হারাতে হয় ৷ জখম হন আরও আট থেকে 10 হাজার সেনা ৷ বাধ্য হয়েই চুক্তি স্বাক্ষর করতে হয় ব্রিটিশদের ৷

আরও পড়ুন : Independence Special : বালগঙ্গাধরের কলম ধার বাড়িয়েছিল স্বাধীনতার যুদ্ধের

দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছিল আদিংয়ে ৷ মথুরা সদর থেকে যার দূরত্ব 40 কিলোমিটার ৷ 1857 সালের মহাবিদ্রোহের সময় রাজপুত সেনারা ব্রিটিশদের শক্তি কাজে লাগিয়েই তাদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছিলেন ৷ ঘটনায় হতবাক ব্রিটিশ শাসক শেষ পর্যন্ত প্রতারণার আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় ৷ বোঝাপড়ার বার্তা দিয়ে রাজপুত সেনাদের ডেকে পাঠানো হলেও তাঁদের মধ্যে 80 জনকে পণবন্দি করা হয় ৷ আদিংয়ে রাজা ফন্দমলের প্রাসাদে তাঁদের সকলকে ফাঁসি দেওয়া হয় ৷ ইতিহাসের পাতায় আজও উল্লেখ রয়েছে সেই নারকীয় ঘটনার ৷

80 রাজপুত যোদ্ধার ফাঁসি নাড়িয়ে দিয়েছিল কোম্পানি শাসনের ভিত

এই প্রাসাদ আজ পুরানি হাভেলি নামে খ্যাত ৷ ফন্দমল জাঠ এই প্রাসাদ তৈরি করিয়েছিলেন ৷ যার জন্য একে ফন্দমল কি হাভেলিও বলা হয় ৷ বর্তমানে এই প্রাসাদ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ৷ ফন্দমল ছিলেন ভরতপুরের রাজা সুরজমলের সামন্ত ৷ আগে আদিং একটি তহসিল কেন্দ্র ছিল ৷ কিন্তু 1868 সালে ব্রিটিশ শাসক আদিংয়ের এই স্বীকৃতি কেড়ে নেয় ৷ তারপর থেকেই হৃত গৌরব ফেরানোর দাবিতে সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ কিন্তু তাতে লাভ কিছুই হয়নি ৷ আমজনতাকে শুধু আশ্বাসই দিয়ে গিয়েছেন তাঁদের নেতারা ৷ কিন্তু, তার বাস্তবায়ন হয়নি ৷

আরও পড়ুন : Independence Special : বংশপরম্পরায় দেশের জন্য শহিদ, রাজস্থানের বারহঠ পরিবার আজ বিস্মৃত

80 জন রাজপুত যোদ্ধাকে বন্দি করার পরই আদিংয়ে রাজপুত রাজত্ব শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটিশরা ৷ 80 জন রাজপুত যোদ্ধাকেই ফাঁসিতে ঝোলানো হয় ৷ কেবলমাত্র হরদেবী বলে এক অন্তঃসত্ত্বা প্রাণ বাঁচিয়ে পালাতে সক্ষম হন ৷ ইতিহাস বলছে, ব্রিটিশবিরোধী যুদ্ধে এটাই রাজপুতদের সবথেকে বড় বলিদান ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.