ETV Bharat / bharat

Independence Special : অবিভক্ত ভারতবর্ষের পুজো হয় কাশীর ভারত মাতা মন্দিরে

ভারত মাতা মন্দির গড়ে তুলেছিলেন বাবু শিবপ্রসাদ গুপ্ত ৷এই মন্দিরে অবিভক্ত ভারতবর্ষের পুজো করা হয় ৷ একসময় এই মন্দির স্বদেশী আন্দোলনের পীঠস্থান ছিল ৷ আজ বর্ষব্যাপী আজাদি কা অমৃত মহোৎসব অনুষ্ঠান আবারও শিরোনামে কাশীর এই মন্দির ৷

Independence Special : Bharat Mata Mandir has deep influence on India's freedom struggle
Independence Special : অবিভক্ত ভারতবর্ষের পুজো হয় কাশীর ভারত মাতা মন্দিরে (PKG Pending for 16th October)
author img

By

Published : Oct 16, 2021, 6:04 AM IST

Updated : Oct 16, 2021, 6:15 AM IST

বারাণসী (উত্তরপ্রদেশ), 16 অক্টোবর : স্বাধীনতার 75 বছর পূর্তি উপলক্ষে বর্ষব্যাপী আজাদি কা অমৃত মহোৎসব অনুষ্ঠান পালন করছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ একইসঙ্গে ইটিভি ভারতও তুলে ধরছে স্বাধীনতা সংগ্রামের নানা ইতিহাস ৷ আমরা সেইসব লড়াকু যোদ্ধার কাহিনি তুলে ধরছি, যাঁরা দেশকে স্বাধীন করতে আত্মবলিদান দিয়েছিলেন, আপসহীন সংগ্রাম করেছিলেন ৷

আরও পড়ুন : Independence Special : অসমে আজ বিস্মৃত হরিজন আন্দোলনের কাণ্ডারী কৃষ্ণনাথ শর্মা

পরাধীন ভারতে এমন অনেক জায়গা ছিল, স্বদেশী আন্দোলনে যেগুলির ভূমিকা অনস্বীকার্য ৷ তেমনই একটি নিদর্শন হল বারাণসীর ভারত মাতা মন্দির ৷ এটি একটি মন্দির হলেও এর ভিতরে আপনি কোনও মূর্তি বা দেব-দেবীর ছবি দেখতে পাবেন না ৷ বদলে পাওয়া যাবে মার্বেলের তৈরি একটি মানচিত্র ৷একটি অসাধারণ থ্রিডি মানচিত্র ৷ যা 1917 সালের অবিভক্ত ভারতকে তুলে ধরেছে ৷ এই মানচিত্রে কাজাখস্তান, আফগানিস্তান, পাকিস্তানকে সংঘবদ্ধ ভারত হিসাবে দেখানো হয়েছে ৷ বারণসীতে থাকা এই অসাধারণ জিনিসটি স্থাপত্যের অনবদ্য নিদর্শন ৷ লাল পাথর, মার্কানা মার্বেল এবং অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে এটি গড়ে তোলা হয়েছে ৷

অবিভক্ত ভারতবর্ষের পুজো হয় কাশীর ভারত মাতা মন্দিরে

1917 সালে মহাত্মা গান্ধির অনুমতি নিয়ে বাবু শিবপ্রসাদ গুপ্ত মন্দির তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন ৷ সেই কাজ শেষ হয় 1924 সালে ৷ কিন্তু ব্রিটিশ সরকার সাধারণের জন্য মন্দিরের দরজা খুলতে অস্বীকার করে ৷ তাদের ভয় ছিল, এই মন্দির স্বদেশী আন্দোলনের পীঠস্থানে পরিণত হতে পারে ৷ যদিও এই ঘটনার 12 বছর পর 1936 সালের অক্টোবর মাসে মহাত্মা গান্ধি নিজেই মন্দিরের উদ্বোধন করেন ৷ মন্দির তৈরির দায়িত্ব ছিল দুর্গাপ্রসাদ খাতরির উপর ৷ তাঁর তদারকিতেই 25 জন শিল্পী এবং 30 জন শ্রমিক অক্লান্ত পরিশ্রম করে গড়ে তোলেন ভারত মাতার মন্দির ৷

আরও পড়ুন : Independence Special : স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্র ছিল সবরমতী আশ্রম

মন্দিরে থাকা মানচিত্রটি এককথায় মনমুগ্ধকর ৷ সেখানে পর্বতের চূড়াগুলি নিখুঁতভাবে তুলে ধরা হয়েছে ৷ সব মিলিয়ে মোট 450 টি পর্বত চূড়া রয়েছে ৷ রয়েছে সমতলভূমি, নদ-নদী, সমুদ্র ৷ প্রত্যেক 2000 ফুট ভূপৃষ্ঠের জন্য এই মানচিত্রে 1 ইঞ্চি বরাদ্দ করা হয়েছে ৷ এটির দৈর্ঘ্য 32 ফুট 2 ইঞ্চি এবং প্রস্থ 30 ফুট 2 ইঞ্চি ৷ যা মোট 762 টি চতুর্ভূজে বিভক্ত ৷ শোনা যায়, একবার পুণের একটি আশ্রমে পলির তৈরি মানচিত্র দেখেছিলেন বাবু শিবপ্রসাদ গুপ্ত ৷ তা দেখেই পাথরের মানচিত্র তৈরির ভাবনা তাঁর মাথায় আসেন ৷ তবে সময়ের সঙ্গে এই মন্দিরের কথা মানুষ ভুলতে শুরু করেছে ৷ যদিও বর্ষব্যাপী আজাদি কা অমৃত মহোৎসব অনুষ্ঠান উপলক্ষে আবারও শিরোনামে উঠে এসেছে ভারত মাতার মন্দির ৷

বারাণসী (উত্তরপ্রদেশ), 16 অক্টোবর : স্বাধীনতার 75 বছর পূর্তি উপলক্ষে বর্ষব্যাপী আজাদি কা অমৃত মহোৎসব অনুষ্ঠান পালন করছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ একইসঙ্গে ইটিভি ভারতও তুলে ধরছে স্বাধীনতা সংগ্রামের নানা ইতিহাস ৷ আমরা সেইসব লড়াকু যোদ্ধার কাহিনি তুলে ধরছি, যাঁরা দেশকে স্বাধীন করতে আত্মবলিদান দিয়েছিলেন, আপসহীন সংগ্রাম করেছিলেন ৷

আরও পড়ুন : Independence Special : অসমে আজ বিস্মৃত হরিজন আন্দোলনের কাণ্ডারী কৃষ্ণনাথ শর্মা

পরাধীন ভারতে এমন অনেক জায়গা ছিল, স্বদেশী আন্দোলনে যেগুলির ভূমিকা অনস্বীকার্য ৷ তেমনই একটি নিদর্শন হল বারাণসীর ভারত মাতা মন্দির ৷ এটি একটি মন্দির হলেও এর ভিতরে আপনি কোনও মূর্তি বা দেব-দেবীর ছবি দেখতে পাবেন না ৷ বদলে পাওয়া যাবে মার্বেলের তৈরি একটি মানচিত্র ৷একটি অসাধারণ থ্রিডি মানচিত্র ৷ যা 1917 সালের অবিভক্ত ভারতকে তুলে ধরেছে ৷ এই মানচিত্রে কাজাখস্তান, আফগানিস্তান, পাকিস্তানকে সংঘবদ্ধ ভারত হিসাবে দেখানো হয়েছে ৷ বারণসীতে থাকা এই অসাধারণ জিনিসটি স্থাপত্যের অনবদ্য নিদর্শন ৷ লাল পাথর, মার্কানা মার্বেল এবং অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে এটি গড়ে তোলা হয়েছে ৷

অবিভক্ত ভারতবর্ষের পুজো হয় কাশীর ভারত মাতা মন্দিরে

1917 সালে মহাত্মা গান্ধির অনুমতি নিয়ে বাবু শিবপ্রসাদ গুপ্ত মন্দির তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন ৷ সেই কাজ শেষ হয় 1924 সালে ৷ কিন্তু ব্রিটিশ সরকার সাধারণের জন্য মন্দিরের দরজা খুলতে অস্বীকার করে ৷ তাদের ভয় ছিল, এই মন্দির স্বদেশী আন্দোলনের পীঠস্থানে পরিণত হতে পারে ৷ যদিও এই ঘটনার 12 বছর পর 1936 সালের অক্টোবর মাসে মহাত্মা গান্ধি নিজেই মন্দিরের উদ্বোধন করেন ৷ মন্দির তৈরির দায়িত্ব ছিল দুর্গাপ্রসাদ খাতরির উপর ৷ তাঁর তদারকিতেই 25 জন শিল্পী এবং 30 জন শ্রমিক অক্লান্ত পরিশ্রম করে গড়ে তোলেন ভারত মাতার মন্দির ৷

আরও পড়ুন : Independence Special : স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্র ছিল সবরমতী আশ্রম

মন্দিরে থাকা মানচিত্রটি এককথায় মনমুগ্ধকর ৷ সেখানে পর্বতের চূড়াগুলি নিখুঁতভাবে তুলে ধরা হয়েছে ৷ সব মিলিয়ে মোট 450 টি পর্বত চূড়া রয়েছে ৷ রয়েছে সমতলভূমি, নদ-নদী, সমুদ্র ৷ প্রত্যেক 2000 ফুট ভূপৃষ্ঠের জন্য এই মানচিত্রে 1 ইঞ্চি বরাদ্দ করা হয়েছে ৷ এটির দৈর্ঘ্য 32 ফুট 2 ইঞ্চি এবং প্রস্থ 30 ফুট 2 ইঞ্চি ৷ যা মোট 762 টি চতুর্ভূজে বিভক্ত ৷ শোনা যায়, একবার পুণের একটি আশ্রমে পলির তৈরি মানচিত্র দেখেছিলেন বাবু শিবপ্রসাদ গুপ্ত ৷ তা দেখেই পাথরের মানচিত্র তৈরির ভাবনা তাঁর মাথায় আসেন ৷ তবে সময়ের সঙ্গে এই মন্দিরের কথা মানুষ ভুলতে শুরু করেছে ৷ যদিও বর্ষব্যাপী আজাদি কা অমৃত মহোৎসব অনুষ্ঠান উপলক্ষে আবারও শিরোনামে উঠে এসেছে ভারত মাতার মন্দির ৷

Last Updated : Oct 16, 2021, 6:15 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.