নয়াদিল্লি, 16 জুলাই: হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড-সহ চারটি রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল দেশের আবহাওয়া দফতর । জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা ৷
জারি কমলা সতর্কতা: আইএমডি জানিয়েছে যে, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশায় 16 জুলাই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে । টুইটে আইএমডি লিখেছে, কমলা সতর্কতা জারি করা হচ্ছে ৷ ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশায় 16 জুলাই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত (115.6 থেকে 204.4 মিমি) হতে পারে ৷
এ ছাড়াও আইএমডি-র পূর্বাভাস, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে 16 থেকে 17 জুলাই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে । টুইটে আইএমডি লিখেছে, কমলা সতর্কতা: হিমাচলপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে (115.6 থেকে 204.4 মিমি) 16 থেকে 17 জুলাই ।
কয়েকটি জেলায় লাল সতর্কতা: এ দিকে, সংবাদসংস্থা এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলে দেরাদুনের আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা বিক্রম সিং বলেন, "16 এবং 17 জুলাই উত্তরাখণ্ডে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৷ আজকের জন্য, দেরাদুন, তেহরি, পাউরি এবং হরিদ্বার জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং বাকি জেলাগুলির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে । 18 জুলাই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা হ্রাস পাবে ৷"
বৃষ্টি কমবে এই তারিখে: বিক্রম সিং আরও জানান যে, 18 জুলাই বৃষ্টিপাত কিছুটা কমবে তবে হাই অ্যালার্ট বা উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন রয়েছে । তাঁর কথায়, যদিও 18 জুলাই বৃষ্টিপাত সামান্য হ্রাস পাবে, তবে এখনও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে । তাই উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন ৷
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাচ্ছে প্রতিনিধি দল, জানালেন মমতা
বৃষ্টি-ধসে জনজীবন বিপর্যস্ত: উল্লেখ্য, রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বেশ কয়েকটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে ৷ যার ফলে রাস্তা এবং জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে, বহু মানুষ আটকে পড়েছেন। রবিবার একজন শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, পিথোরাগড় জেলার সীমান্ত এলাকার কাছে ধারচুলার বলওয়াকোট-ধারচুলা রাস্তাটি ভূমিধসের কারণে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে । যদিও গাড়ওয়াল জেলার পাউরি তেহসিলের চামি গ্রামের কাছে ধ্বংসাবশেষ পড়ার কারণে শনিবার 123 নম্বর যমুনোত্রী হাইওয়ে বন্ধ ছিল । আধিকারিকদের মতে, রাস্তার দুই পাশে কয়েক ডজন যানবাহন আটকে পড়ে ।
চলছে উদ্ধারকাজ: ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) এর বন্যা উদ্ধার অভিযান পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড ও দিল্লির বন্যা কবলিত এলাকায় অব্যাহত রয়েছে । মুষলধারে বৃষ্টি এবং ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে নজিরবিহীন বন্যা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় ৷ একটি সরকারি বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে ৷
রাজ্য প্রশাসনগুলির সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে 58টি এনডিআরএফ টিম বন্যা কবলিত রাজ্যে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে । এনডিআরএফ-এর 16টি দল দিল্লিতে, 11 টি দল হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে এবং 10টি দল পঞ্জাব ও হরিয়ানায় মোতায়েন করা হয়েছে ।