দিল্লি, 26 ফেব্রুয়ারি: করোনিল ওষুধ নিয়ে প্রশ্ন তোলায় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের নিন্দায় সরব পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেড । তাদের মুখপাত্র এসকে তিজারাওয়ালার দাবি, ''সত্যিটা মেনে নিতে অসুবিধে হচ্ছে আইএমএ-র।''
পতঞ্জলির করোনিল-এ ছাড়পত্র দিয়েছে হু (WHO) । গত 19 ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের উপস্থিতিতে করোনিল-এর গবেষণাপত্র প্রকাশের সময় এমনই দাবি করেছিলেন যোগগুরু রামদেব । কিন্তু সেই দাবি উড়িয়ে হু-এর তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, এই রকম কোনও ওষুধকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি । এরপরই এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। পতঞ্জলির করোনিল ওষুধের প্রচারের জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের ব্যাখ্যা দাবি করে IMA । তাদের জাতীয় সভাপতি ডা. জয়লাল বলেন, ''দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়ে এমন মিথ্যে ভুয়ো অবৈজ্ঞানিক জিনিসের প্রকাশ করাটা তাঁর কতটা যুক্তিযুক্ত ? অনৈতিক, ভুল ও মিথ্যে পথে এই জিনিসের প্রচার করাটা কতটা নৈতিক?'' একে মানবজাতির জন্য বিপর্যয় বলে বর্ণনা করেন তিনি ।
আইএমএ-র এই কড়া মনোভাবকে ভালো ভাবে নেয়নি পতঞ্জলি। তারা পালটা তোপ দেগেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে। পতঞ্জলির মুখপাত্র এসকে তিজারাওয়ালা টুইটে বলেছেন, ''সত্যিটা মেনে নিতে অসুবিধে হচ্ছে আইএমএ-র । ওষুধের পেশায় থেকে ভুল তথ্য দেওয়াটা বন্ধ করার দিকে তারা জোর দিলে আরও ভালো হত ।''
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে করোনিলে ছাড়পত্রের দাবি রামদেবের, অস্বীকার হু-র
এ দিনই যোগগুর রামদেব এ ব্যাপারে বলেছিলেন, ''বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জিএমপি-র প্রোটোকল মেনেই করোনিল ট্যাবলেট তৈরি হয়েছে । 158টি দেশ তাদের দেশে এটি বিক্রিতে অনুমোদন দিয়েছে। এটা ঐতিহাসিক । করোনিল বৈজ্ঞানিক প্রমাণ সাপেক্ষ ও গবেষণাভিত্তিক ওষুধ । করোনিলের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলা হলে তা খুবই নিন্দনীয় ।''