ETV Bharat / bharat

Sikkim Flood: 'যদি সঠিকভাবে বাঁধটা নির্মাণ করত...', বন্যার দায় আগের সরকারের ঘাড়ে ঠেললেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী

author img

By ANI

Published : Oct 7, 2023, 1:27 PM IST

Sikkim Chief Minister on Flood: ভয়াবহ বন্যার দায় আগের সরকারের ঘাড়ে ঠেললেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং ৷ আগের সরকার চুংথাঙে ভালো মানের বাঁধ নির্মাণ করেনি বলেই তা জলের তোড়ে ভেঙে রাজ্যে সর্বাধিক ক্ষতি করেছে বলে দাবি তাঁর ৷

Sikkim Flood
সিকিমে বন্যা

সিকিম, 7 অক্টোবর: সিকিমের বিপর্যয়ের জন্য আগের সরকারকে দায়ী করল বর্তমান সরকার ৷ মঙ্গন জেলার চুংথাঙে 1200 মেগাওয়াটের বাঁধ ভেঙে তিস্তা নদীর জল আচমকা ফুলে ফেঁপে ওঠায় সিকিমে সর্বাধিক ক্ষতি হয়েছে । রাজ্যের পূর্ববর্তী সরকারের আমলে তৈরি ওই বাঁধে নিম্নমানের নির্মাণ কাজ হয়েছে ৷ এমনই অভিযোগ সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং-এর ৷

সংবাদসংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেন, "চুংথাং বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পরে সর্বাধিক ক্ষতি হয়েছে । আগের সরকার যদি সঠিকভাবে বাঁধটি নির্মাণ করত এবং যদি সঠিক মানের জিনিস দিয়ে কাজ করত, তাহলে জলের জোর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হত ৷"

সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে মঙ্গনের নাগা গ্রামে বন্যাদুর্গত এলাকা ও ত্রাণশিবির পরিদর্শন করেন এবং আজ সকালে সেখানে বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন তিনি ৷ মুখ্যমন্ত্রী তামাং বলেছেন যে, একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত করা হবে । তাঁর কথায়, "আমরা কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছ থেকে সাহায্য নেব এবং অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করব ।"

3 অক্টোবর হিমবাহ হ্রদ লোনাকে জলের বিস্ফোরণের ফলে জল উপচে পড়ে তিস্তার জলস্তর বৃদ্ধি পায় এবং রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত করে ৷ চুংথাং গ্রামে 1200 মেগাওয়াট বাঁধ তিস্তা স্টেজ থ্রি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি 2017 সালে চালু করা হয়েছিল ৷

মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, তিনি বন্যা দুর্গত এলাকাগুলি পরিদর্শন করবেন ৷ মঙ্গনে বিপর্যয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং নাগা, রেল ও টুং ওয়ার্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন । তিনি জানান যে, রংপো এবং সিংথাম জেলার স্কুলগুলি 15 অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে ৷ কারণ এই জেলাগুলি ঝুঁকিপ্রবণ অঞ্চল । তবে পশ্চিম সিকিমের স্কুলগুলি বন্ধ রাখেনি সরকার ।

আরও পড়ুন: সিকিমের বাঁধ ভেঙে জলস্রোতের ধ্বংসলীলার প্রকৃত কারণ কী ?

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে তাঁকে ফোন করেছিলেন বলে জানান সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি জানান, ভারত সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্য দিচ্ছে । লজিস্টিক সাপোর্ট, সেনাবাহিনী এবং তাৎক্ষণিক ত্রাণের জন্য আর্থিক সাহায্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে ।

তামাঙের কথায়, "কেন্দ্র পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে । রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আমাকে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করার জন্য ডেকেছেন ৷" আটকে পড়াদের উদ্ধার করা এবং বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ পুনরুদ্ধার করাই এখন অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী।

গতকালের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত 19টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, 103 জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৷ নিখোঁজ 22 সেনাকর্তার মধ্যে 7 জনের দেহ পাওয়া গিয়েছে । গভীর রাতে আরও কয়েকজনের দেহ উদ্ধার করা হয় ৷ সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী জানান, "আমরা সংখ্যা গণনা করছি । মোট ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা 22,000-এর বেশি এবং আমরা 3900 জনকে উদ্ধার করেছি এবং তাঁদের ত্রাণশিবিরে রেখেছি । সিকিমে বর্তমানে প্রায় 26টি ত্রাণশিবির চলছে ৷"

সিকিম রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ (এসএসডিএমএ) 6 অক্টোবর মধ্যরাতে প্রকাশিত রিপোর্টে জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে 26 হয়েছে । 142 জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে ৷ তারা জানিয়েছে যে, 2413 জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং আকস্মিক বন্যায় 1203টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে ৷ কমিটির মূল্যায়ন রিপোর্টের পর প্রকৃত ক্ষতি বলা সক্ষম হবে বলে জানানো হয়েছে । (সংবাদসংস্থা এএনআই)

সিকিম, 7 অক্টোবর: সিকিমের বিপর্যয়ের জন্য আগের সরকারকে দায়ী করল বর্তমান সরকার ৷ মঙ্গন জেলার চুংথাঙে 1200 মেগাওয়াটের বাঁধ ভেঙে তিস্তা নদীর জল আচমকা ফুলে ফেঁপে ওঠায় সিকিমে সর্বাধিক ক্ষতি হয়েছে । রাজ্যের পূর্ববর্তী সরকারের আমলে তৈরি ওই বাঁধে নিম্নমানের নির্মাণ কাজ হয়েছে ৷ এমনই অভিযোগ সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং-এর ৷

সংবাদসংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেন, "চুংথাং বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পরে সর্বাধিক ক্ষতি হয়েছে । আগের সরকার যদি সঠিকভাবে বাঁধটি নির্মাণ করত এবং যদি সঠিক মানের জিনিস দিয়ে কাজ করত, তাহলে জলের জোর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হত ৷"

সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে মঙ্গনের নাগা গ্রামে বন্যাদুর্গত এলাকা ও ত্রাণশিবির পরিদর্শন করেন এবং আজ সকালে সেখানে বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন তিনি ৷ মুখ্যমন্ত্রী তামাং বলেছেন যে, একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত করা হবে । তাঁর কথায়, "আমরা কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছ থেকে সাহায্য নেব এবং অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করব ।"

3 অক্টোবর হিমবাহ হ্রদ লোনাকে জলের বিস্ফোরণের ফলে জল উপচে পড়ে তিস্তার জলস্তর বৃদ্ধি পায় এবং রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত করে ৷ চুংথাং গ্রামে 1200 মেগাওয়াট বাঁধ তিস্তা স্টেজ থ্রি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি 2017 সালে চালু করা হয়েছিল ৷

মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, তিনি বন্যা দুর্গত এলাকাগুলি পরিদর্শন করবেন ৷ মঙ্গনে বিপর্যয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং নাগা, রেল ও টুং ওয়ার্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন । তিনি জানান যে, রংপো এবং সিংথাম জেলার স্কুলগুলি 15 অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে ৷ কারণ এই জেলাগুলি ঝুঁকিপ্রবণ অঞ্চল । তবে পশ্চিম সিকিমের স্কুলগুলি বন্ধ রাখেনি সরকার ।

আরও পড়ুন: সিকিমের বাঁধ ভেঙে জলস্রোতের ধ্বংসলীলার প্রকৃত কারণ কী ?

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে তাঁকে ফোন করেছিলেন বলে জানান সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি জানান, ভারত সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্য দিচ্ছে । লজিস্টিক সাপোর্ট, সেনাবাহিনী এবং তাৎক্ষণিক ত্রাণের জন্য আর্থিক সাহায্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে ।

তামাঙের কথায়, "কেন্দ্র পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে । রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আমাকে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করার জন্য ডেকেছেন ৷" আটকে পড়াদের উদ্ধার করা এবং বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ পুনরুদ্ধার করাই এখন অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী।

গতকালের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত 19টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, 103 জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৷ নিখোঁজ 22 সেনাকর্তার মধ্যে 7 জনের দেহ পাওয়া গিয়েছে । গভীর রাতে আরও কয়েকজনের দেহ উদ্ধার করা হয় ৷ সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী জানান, "আমরা সংখ্যা গণনা করছি । মোট ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা 22,000-এর বেশি এবং আমরা 3900 জনকে উদ্ধার করেছি এবং তাঁদের ত্রাণশিবিরে রেখেছি । সিকিমে বর্তমানে প্রায় 26টি ত্রাণশিবির চলছে ৷"

সিকিম রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ (এসএসডিএমএ) 6 অক্টোবর মধ্যরাতে প্রকাশিত রিপোর্টে জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে 26 হয়েছে । 142 জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে ৷ তারা জানিয়েছে যে, 2413 জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং আকস্মিক বন্যায় 1203টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে ৷ কমিটির মূল্যায়ন রিপোর্টের পর প্রকৃত ক্ষতি বলা সক্ষম হবে বলে জানানো হয়েছে । (সংবাদসংস্থা এএনআই)

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.