মুম্বই, 9 ডিসেম্বর: মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীসের সঙ্গে দেখা করে আফতাব আমিন পুনাওয়ালার (Aftab Poonawala) 'মৃত্যুদণ্ড' দাবি করলেন শ্রদ্ধা ওয়াকারের (Shraddha Murder Case) বাবা বিকাশ ওয়াকার ৷ শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি (Shraddha Walker father) ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন পুলিশের বিরুদ্ধে ৷ তাঁর অভিযোগ, পুলিশ সাহায্য করলে হয়তো আজ বেঁচে থাকতেন তাঁর মেয়ে শ্রদ্ধা (Shraddha Father Meets Devendra Fadnavis)৷
শ্রদ্ধা ওয়াকারকে হত্যা করে তাঁর দেহকে 35 টুকরো করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর লিভ-ইন পার্টনার আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে ৷ প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে 300 লিটারের ফ্রিজে শ্রদ্ধার দেহাংশ রাখার পর একে একে তিনি সেগুলি লোপাট করেন বলে অভিযোগ ৷ আফতাব বর্তমানে রয়েছেন তিহাড় সংশোধনাগারে ৷ তাঁর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে শুক্রবার মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীসের সঙ্গে দেখা করেন শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ ওয়াকার ৷ তাঁর সঙ্গে ফড়নবীশের বাড়িতে যান বিজেপি নেতা কিরীট সোমাইয়াও ৷
এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন করে বিকাশ ওয়াকার ভাসাই, নালাসোপারা এবং তুলিঞ্জ পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন ৷ তিনি বলেন, "অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে বিলম্ব করার জন্য ভাসাই, নালাসোপারা এবং তুলিঞ্জ পুলিশের (পালঘর জেলার) আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করা উচিত । তাঁরা যদি অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতেন, তাহলে আমার মেয়ে আজ বেঁচে থাকত ৷"
আরও পড়ুন: তিহাড়ে বসে দাবায় মগ্ন আফতাব, পড়ছেন ইংরেজি উপন্যাস
শ্রদ্ধা ওয়াকার 2020 সালের নভেম্বরে তুলিঞ্জ পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছিলেন ৷ তিনি সেই অভিযোগে লেখেন, "পুনাওয়ালা আমাকে গালিগালাজ করছে এবং আমাকে মারধর করছে । আজ সে আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার চেষ্টা করেছে এবং সে আমাকে ভয় দেখায় ও ব্ল্যাকমেইল করে যে, সে আমাকে হত্যা করবে ও কেটে টুকরো টুকরো করবে । 6 মাস হল সে আমাকে মারছে । কিন্তু পুলিশের কাছে যাওয়ার সাহস আমার ছিল না ৷ কারণ সে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ।" বিকাশ আরও বলেছেন, "দিল্লি পুলিশ আমাদের আশ্বাস দিয়েছে যে, আমরা ন্যায়বিচার পাব । মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীসও আমাদের একই আশ্বাস দিয়েছেন ।"
এ দিন আফতাবের পরিবারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনে শ্রদ্ধার বাবা বলেন, "আফতাবের পরিবার তাঁর সম্পর্কে সব কিছু জানত এবং সে শ্রদ্ধার উপর যে নৃশংসতা করেছিল সে সম্পর্কেও জানত ।" বিকাশ ওয়াকার জানান, "আমি 2021 সালে শ্রদ্ধার সঙ্গে শেষবার যখন কথা বলি, তখন সে বলেছিল যে, সে বেঙ্গালুরুতে আছে । কিন্তু আমি আশ্বস্ত হইনি, তাই আমি 23 ডিসেম্বর মিসিং ডায়েরি করতে পুলিশের কাছে গিয়েছিলাম ।"
এ দিকে, শুক্রবার দিল্লির একটি আদালত আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিচার বিভাগীয় হেফাজত 14 দিন বাড়িয়েছে ৷ পুনাওয়ালাকে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আদালতে হাজির করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে আদালতের একটি সূত্র ।