নয়াদিল্লি , 20 মে : করোনার সংক্রমণ আটকাতে নয়া সিদ্ধান্ত । এবার ঘরে বসেই ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা যাবে । তবে যাদের করোনার উপসর্গ রয়েছে তারা এবং করোনা সংক্রমিতের সংস্পর্শে আসাদেরই এই টেস্ট করানোর অনুমতি দেওয়া হবে ৷ বাড়িতে টেস্টের জন্য আইসিএমআর পুনের মাইল্যাব ডিসকভারি সলিউসন লিমিটেডের কিটকে অনুমোদন দিয়েছে । তবে এখনও কিটের দাম ঘোষণা করেনি ওই সংস্থা ।
কিট প্রস্তুতকারী সংস্থার দেওয়া ব্যবহার বিধি মেনে টেস্ট করাতে হবে ৷ এই টেস্টের মোবাইল অ্যাপ ইতিমধ্যেই গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপল স্টোরে চলে এসেছে ৷ যারা এই টেস্ট করাবেন তাদের এই অ্যাপ ডাউনলোড করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে ৷ এই অ্যাপে টেস্ট কিট ব্যবহারের সম্পূর্ণ বিবরণ পাওয়া যাবে ৷ পাশাপাশি এই অ্যাপের মাধ্যমে টেস্টের ফলাফল জানানো যাবে ৷
যাঁরা বাড়িতে টেস্ট করাবেন আইসিএমআরের তরফে তাদের প্রত্যেককে টেস্টের পর সেই স্ট্রিপের ছবি তুলতে বলা হয়েছে ৷ যে মোবাইলে অ্যাপ ডাউনলোড করা হয়েছে সেই মোবাইলেই ছবি তুলতে হবে ৷ এই অ্যাপে থাকা তথ্য সুরক্ষিত সার্ভারে জমা থাকবে ৷ এই সার্ভার আইসিএমআর এর কোভিড টেস্টিং পোর্টালের সঙ্গে যুক্ত থাকবে , সেখানেও তথ্য জমা থাকবে ৷ সেই সঙ্গে রোগীর পরিচয়ের গোপন রাখা হবে ৷
এই টেস্টে যাদের ফল পজ়িটিভ আসবে তাদের পুনরায় অন্য কোথাও টেস্ট করাতে হবে না ৷ তাদের আইসিএমআর এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হোম আইসোলেশন বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৷
এদিকে উপসর্গ থাকার পর যাদের এই টেস্টের ফল নেগেটিভ আসবে তাদের দ্রুত আরটিপিসিআর টেস্ট করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । আইসিএমআর জানিয়েছে ঠিক মত সোয়াব সংগ্রহ না হলে কম ভাইরাল লোডের জন্য এই কিটে ফল নেগেটিভ আসতে পারে ৷
এই টেস্টে যাদের ফল নেগেটিভ আসবে তাদের করোনা সাসপেক্ট হিসেবে ধরা হবে ৷ তাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিধি মেনে চলতে হবে এবং আরটিপিসিআরের ফলের অপেক্ষা করতে হবে ৷
কিটের সঙ্গে দেওয়া ব্যবহার বিধিতে পরিষ্কার ভাবে উল্লেখ থাকবে কীভাবে ফল বোঝা যাবে । টেস্ট হয়ে যাওয়ার পর কিট , সোয়াব ও অন্য সামগ্রী ফেলে দেওয়ার সময় প্রস্তুতকারী সংস্থার নির্দেশ অবশ্যই পালন করতে হবে ।
আরও পড়ুন : করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আজ ভার্চুয়ালি মুখোমুখি হতে পারেন মোদি-মমতা
আইসিএমআরের মতে যাদের করোনা উপসর্গ তারা যদি বাড়িতেই টেস্ট করাতে পারেন তাহলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা কমবে । এছাড়া টেস্টের সংখ্যাও বাড়বে । বিশেষ করে টেস্টিং সেন্টার কম থাকায়, গ্রামাঞ্চলে এই টেস্ট বিশেষ সুবিধাজনক । কারও সংক্রমণের আশঙ্কা থাকলে তাকে টেস্টিং সেন্টারে যেতে হবে না, বাড়িতে বসেই টেস্ট করাতে পারবেন ।