বেঙ্গালুরু, 20 ফেব্রুয়ারি: দুই সিনিয়র আইএএস এবং আইপিএস অফিসারের মধ্যে প্রকাশ্য বিবাদের জেরে উত্তাল কর্ণাটক ৷ রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র (Karnataka Home Minister Araga Jnanendra) তাঁদের এই প্রকাশ্য বিবাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সতর্কতা দিয়েছেন ৷ যা এই ঘটনায় একটি বড় মোড় নিয়েছে । একদিকে আইএএস অফিসার রোহিনী সিন্ধুরি (IAS officer Rohini Sindhuri), যিনি রাজ্য হিন্দু ধর্মীয় ও এনডাউমেন্টের বর্তমান কমিশনার ৷ অপরদিকে আইপিএস অফিসার ড. রূপা মুদগিল (IPS officer D Roopa Moudgil), যিনি কর্ণাটক হস্তশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের আইজিপি ও এমডি হিসাবে কর্মরত এবং রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক প্রাপ্ত তিনি ৷ সম্প্রতি এই দু'জনের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে ৷ যা এসেছে প্রকাশ্যে ৷
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "সরকার উন্নয়নের দিকে রয়েছে, চোখ বন্ধ করে রাখেনি । এ ধরনের আচরণ করা একটি বড় অপরাধ । ব্যক্তিগত বিষয়গুলোকে জনসাধারণের সামনে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । মিডিয়ার সামনে তারা যে কর্মকাণ্ড করেছেন, তাও ভুল ৷" তিনি আরও বলেন, "জনসাধারণ পুলিশকে তাদের দেবতা মনে করে এবং তাদের পুজো করে। কিন্তু উভয় অফিসারের আচরণ দেখে আমি মর্মাহত। তাদের আচরণের কারণে, তারা ভালো অফিসারদের অপমানিত করছে। যাদের মানবিক অনুভূতি নেই, তাঁরা এই ধরনের কাজে লিপ্ত হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই এবং ডিজির সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি । আমরা নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব ৷ "
আরাগা জ্ঞানেন্দ্র জানান, তাঁরা যেভাবে প্রকাশ্যে একে ওপরের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তা কাঙ্খিত নয়। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি জানেন। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। আইন মোতাবেক এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান ৷ মুদগিল সিন্ধুরির ব্যক্তিগত ছবি পোস্ট করেছিলেন এবং অভিযোগ করেছিলেন, তিনি সেগুলি কয়েকজন সিনিয়র আইএএস অফিসারের কাছে পাঠিয়েছেন । তিনি রাজ্যের আইএএস অফিসার ডিকে রবির আত্মহত্যার ঘটনাটিও তুলে ধরেছিলেন (suicide case of IAS officer DK Ravi) এবং প্রশ্ন করেছিলেন কেন তিনি তাঁকে মেসেজ পাঠাতে বাধা দেননি । অভিযোগ ছিল, রবি সিন্ধুরির প্রেমে পড়েছিলেন এবং তাঁর জন্যই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন ।
মুদগিল আরও একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন, যেখানে সিন্ধুরিকে জেডি (এস) বিধায়ক এসআরের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে । মহেশ, যিনি তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন। বৈঠকের উদ্দেশ্য নিয়ে মহেশের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয় সিন্ধুরিকে বলে সূত্রের খবর । জবাবে সিন্ধুরি বলেছিলেন, তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করার জন্য মুদগিলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ৷ আইএএস অফিসারদের নাম প্রকাশ করার জন্য তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন ৷ যাদের কাছে ছবিগুলি পাঠানো হয়েছিল ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ৷ এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে যায় দুই অফিসারের ভক্তদের মধ্যে ।
আরও পড়ুন: শিন্ডের মানহানির অভিযোগে সঞ্জয় রাউতের বিরুদ্ধে মামলা