ETV Bharat / bharat

ঘুমন্ত শিশু ও স্ত্রীর গায়ে বিষধর সাপ ছেড়ে খুনের অভিযোগ, গ্রেফতার অভিযুক্ত - Husband allegedly murders wife

Wife-daughter murdered by Snake bite: স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত ৷ শুধুমাত্র এই সন্দেহেই তাঁকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে ৷ সাপের ছোবলে মৃত্যু হয়েছে স্ত্রী ও শিশু কন্যার ৷ ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার গঞ্জামে ৷

ETV Bharat
সাপ দিয়ে খুনের চক্রান্ত
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 24, 2023, 2:00 PM IST

গঞ্জাম, 24 নভেম্বর: স্ত্রী ও ঘুমন্ত শিশুর গায়ে সাপ ছেড়ে দিলেন ব্যক্তি । বিষাক্ত সাপের ছোবলে শেষ হল দু'টি প্রাণ ৷ চক্রান্তকারী স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে । মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার গঞ্জাম জেলার আধেইবার গ্রামের কবিসূর্যনগর থানা এলাকায় ৷ জোড়া খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী কে গণেশ পানকে গ্রেফতার করেছে ৷ তবে এই খুনের ঘটনা থেকে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছিল অভিযুক্ত ৷ তবে শেষে পুলিশের চাপের মুখে সে স্বীকার করে যে, স্ত্রী ও সন্তান ঘুমিয়ে থাকার সময়ে বিষাক্ত সাপ ছেড়ে দিয়েছিল সে ৷ আর সেই সাপের কামড়েই মৃত্যু হয়েছে দু'জনের ৷

স্থানীয় সূত্রে খবর, কে গণেশ পান গঞ্জাম জেলার আধেইবার গ্রামের বাসিন্দা ৷ তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় বাসন্তীর ৷ বিয়ের পর 3 বছরও কাটেনি, তার আগেই এই ঘটনা ঘটল ৷ গত বছর থেকে দম্পতির মধ্যে অশান্তি শুরু হয় ৷ অভিযুক্ত স্বামী কে গণেশ স্ত্রীকে সন্দেহ করতে শুরু করে ৷ বাসন্তী এই ঘটনায় থানায় অভিযোগও দায়ের করেন ৷ সেই সময় পুলিশ গণেশকে গ্রেফতার করে ৷ পরে অবশ্য অভিযুক্ত জামিনে ছাড়া পেয়ে যায় ৷

এরপর বাসন্তী গণেশের সঙ্গে তার বাড়িতে একসঙ্গেই থাকছিলেন ৷ এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে গণেশ বাসন্তীকে থানায় দায়ের করা অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে ৷ এমনকী তাঁকে এবং দু'বছরের শিশু কন্যাকে খুনের হুমকিও দেয় ৷ এই হুমকিই যে কখনও সত্যি হবে, তা বোধহয় ভাবতে পারেননি বাসন্তী ৷

7 অক্টোবর ভোর 5টা নাগাদ হঠাৎ গণেশের বাড়ি থেকে চিৎকারের শব্দ আসে ৷ তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে ৷ তখন বাসন্তীর বাবা বাড়ির ভিতরে ঢোকে ৷ তিনি দেখেন গণেশ একটি বিষাক্ত সাপকে পিটিয়ে মারার চেষ্টা করছে ৷ আর তাঁর মেয়ে বাসন্তী এবং তাঁর দু'বছরের শিশু কন্যা কাছেই ঘুমিয়ে রয়েছে ৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের দু'জনকে হিঞ্জিলিকাট্টু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে চিকিৎসকরা শিশুকন্যা ও বাসন্তীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ হাসপাতাল থেকে পুলিশকে খবর দেওয়া হয় ৷ এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয় ৷

এই ঘটনার পাঁচদিন পর বাসন্তীর বাবা তাঁর মেয়ে ও নাতনিকে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন ৷ পুলিশ তদন্ত শুরু করে ৷ তদন্ত চলাকালীন পুলিশের কাছে অভিযুক্ত স্বামী স্বীকার করে নেয় যে সে ওই বিষাক্ত সাপ দিয়ে তাঁর শিশু কন্যা ও স্ত্রীকে খুন করেছে ৷ ওই বিষাক্ত সাপটি সে পোলসারায় এক সাপুড়ের কাছ থেকে নিয়ে এসেছিল ৷ সাপুড়েকে অভিযুক্ত গণেশ জানিয়েছিল, সে সাপটিকে নিয়ে এসে পুজো করবে ৷

তদন্ত কোন পথে ? পুলিশ স্নেক হেল্পলাইনের সাহায্য় নিয়ে এই রহস্য উন্মোচন করে ৷ গত রবিবার স্নেক হেল্পলাইনের সাধারণ সম্পাদক শুভেন্দু মালিক-সহ পাঁচজন ঘটনাস্থলে যান ৷ তাঁরা পুলিশকে সাপের বিষয়ে অনেক তথ্য দেন ৷ এরপরই বৃহস্পতিবার স্বামী গণেশকে স্ত্রী ও কন্যাকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷

আরও পড়ুন:

  1. স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন, সোনা ও নগদ নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা
  2. কাঁকসায় রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়, বিভিন্ন উপায়ে তিনজনকে শ্বাসরোধ করে খুন !
  3. ওড়িশায় মোবাইল চুরির চেষ্টার অভিযোগে দু’জনকে পিটিয়ে খুন, একজন আশঙ্কাজনক

গঞ্জাম, 24 নভেম্বর: স্ত্রী ও ঘুমন্ত শিশুর গায়ে সাপ ছেড়ে দিলেন ব্যক্তি । বিষাক্ত সাপের ছোবলে শেষ হল দু'টি প্রাণ ৷ চক্রান্তকারী স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে । মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার গঞ্জাম জেলার আধেইবার গ্রামের কবিসূর্যনগর থানা এলাকায় ৷ জোড়া খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী কে গণেশ পানকে গ্রেফতার করেছে ৷ তবে এই খুনের ঘটনা থেকে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছিল অভিযুক্ত ৷ তবে শেষে পুলিশের চাপের মুখে সে স্বীকার করে যে, স্ত্রী ও সন্তান ঘুমিয়ে থাকার সময়ে বিষাক্ত সাপ ছেড়ে দিয়েছিল সে ৷ আর সেই সাপের কামড়েই মৃত্যু হয়েছে দু'জনের ৷

স্থানীয় সূত্রে খবর, কে গণেশ পান গঞ্জাম জেলার আধেইবার গ্রামের বাসিন্দা ৷ তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় বাসন্তীর ৷ বিয়ের পর 3 বছরও কাটেনি, তার আগেই এই ঘটনা ঘটল ৷ গত বছর থেকে দম্পতির মধ্যে অশান্তি শুরু হয় ৷ অভিযুক্ত স্বামী কে গণেশ স্ত্রীকে সন্দেহ করতে শুরু করে ৷ বাসন্তী এই ঘটনায় থানায় অভিযোগও দায়ের করেন ৷ সেই সময় পুলিশ গণেশকে গ্রেফতার করে ৷ পরে অবশ্য অভিযুক্ত জামিনে ছাড়া পেয়ে যায় ৷

এরপর বাসন্তী গণেশের সঙ্গে তার বাড়িতে একসঙ্গেই থাকছিলেন ৷ এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে গণেশ বাসন্তীকে থানায় দায়ের করা অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে ৷ এমনকী তাঁকে এবং দু'বছরের শিশু কন্যাকে খুনের হুমকিও দেয় ৷ এই হুমকিই যে কখনও সত্যি হবে, তা বোধহয় ভাবতে পারেননি বাসন্তী ৷

7 অক্টোবর ভোর 5টা নাগাদ হঠাৎ গণেশের বাড়ি থেকে চিৎকারের শব্দ আসে ৷ তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে ৷ তখন বাসন্তীর বাবা বাড়ির ভিতরে ঢোকে ৷ তিনি দেখেন গণেশ একটি বিষাক্ত সাপকে পিটিয়ে মারার চেষ্টা করছে ৷ আর তাঁর মেয়ে বাসন্তী এবং তাঁর দু'বছরের শিশু কন্যা কাছেই ঘুমিয়ে রয়েছে ৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের দু'জনকে হিঞ্জিলিকাট্টু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে চিকিৎসকরা শিশুকন্যা ও বাসন্তীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ হাসপাতাল থেকে পুলিশকে খবর দেওয়া হয় ৷ এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয় ৷

এই ঘটনার পাঁচদিন পর বাসন্তীর বাবা তাঁর মেয়ে ও নাতনিকে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন ৷ পুলিশ তদন্ত শুরু করে ৷ তদন্ত চলাকালীন পুলিশের কাছে অভিযুক্ত স্বামী স্বীকার করে নেয় যে সে ওই বিষাক্ত সাপ দিয়ে তাঁর শিশু কন্যা ও স্ত্রীকে খুন করেছে ৷ ওই বিষাক্ত সাপটি সে পোলসারায় এক সাপুড়ের কাছ থেকে নিয়ে এসেছিল ৷ সাপুড়েকে অভিযুক্ত গণেশ জানিয়েছিল, সে সাপটিকে নিয়ে এসে পুজো করবে ৷

তদন্ত কোন পথে ? পুলিশ স্নেক হেল্পলাইনের সাহায্য় নিয়ে এই রহস্য উন্মোচন করে ৷ গত রবিবার স্নেক হেল্পলাইনের সাধারণ সম্পাদক শুভেন্দু মালিক-সহ পাঁচজন ঘটনাস্থলে যান ৷ তাঁরা পুলিশকে সাপের বিষয়ে অনেক তথ্য দেন ৷ এরপরই বৃহস্পতিবার স্বামী গণেশকে স্ত্রী ও কন্যাকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷

আরও পড়ুন:

  1. স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন, সোনা ও নগদ নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা
  2. কাঁকসায় রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়, বিভিন্ন উপায়ে তিনজনকে শ্বাসরোধ করে খুন !
  3. ওড়িশায় মোবাইল চুরির চেষ্টার অভিযোগে দু’জনকে পিটিয়ে খুন, একজন আশঙ্কাজনক
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.