পানিপাত, 27 ডিসেম্বর: সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে ৷ নারকীয় এই ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার সামালখায় ৷ জানা গিয়েছে, স্বামী বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত ৷ সে প্রেমিকাকে নিয়ে বিদেশ যেতে চায় ৷ স্ত্রী বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কারণেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ৷
মৃতার ভাই বেদপাল জানান, প্রায় তিন বছর আগে তাঁর বোন কোমলের সঙ্গে দীপকের বিয়ে হয় ৷ দীপক সামালখার বাসিন্দা ৷ বিয়ের পর থেকেই ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত ৷ বিয়ের দু'মাসের মাথায় দীপক কোমলকে মারধর করতে আরম্ভ করে বলে অভিযোগ ৷
মৃতার দাদার আরও অভিযোগ, অভিযুক্ত দীপক অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে রয়েছেন ৷ এই প্রসঙ্গে বেদপাল বলেন, "দীপক তার প্রেমিকার সঙ্গে বিদেশে যেতে চায় ৷ কোমল তার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ৷ তাই চক্রান্ত করে কোমলকে খুন করে সরিয়ে দিয়েছে৷"
বিয়ের পর থেকেই দীপক কোমলকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিল ৷ চার মাস আগে কোমল গর্ভবতী হয়ে পড়েন ৷ তবে দীপক ও তাঁর পরিবার কোমলকে গর্ভপাতের জন্য জোর করেছিল ৷ এর আগেও একবার কোমলকে গর্ভপাত করায় ৷ তখন তিনি 2 মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন ৷ গতকাল রাত 8টা নাগাদ কোমল তাঁর পরিবারকে ফোন করে জানান, তিনি ভালো আছেন ৷ এরপরই তিনি দেখেন, দীপক তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে চ্যাট করছে ৷ এরপর তাঁদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয় ৷ আর তারপরই দীপক কোমলকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে অভিযোগ ৷
এরপর দীপক কোমলের বোনকে ফোন করে জানায়, কোমলের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে ৷ তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৷ কোমলের বোন মাত্র 2 কিমি দূরেই থাকেন ৷ ফোন পাওয়া মাত্র কাজল হাসপাতালে ছুটে যান ৷ সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন, কোমলের মৃত্যু হয়েছে ৷ কাজলের সন্দেহ হয়, কোমলকে খুন করা হয়েছে ৷ তিনি সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বাবা-মাকে বিষয়টি জানান ৷ পাশাপাশি পুলিশকেও ঘটনাস্থলে পৌঁছতে বলেন ৷ পুলিশ তদন্ত করছে ৷
আরও পড়ুন: