ETV Bharat / bharat

KCR National Party: লোকসভা নির্বাচনে কোন কোন সমীকরণে সাফল্য পেতে পারে কেসিআরের জাতীয় দল

author img

By

Published : Oct 5, 2022, 1:25 PM IST

Updated : Oct 5, 2022, 1:48 PM IST

বিভিন্ন আঞ্চলিক দলকে সঙ্গে নিয়ে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে চান চন্দ্রশেখর রাও । কিন্তু শেষমেশ বিজেপিকে তিনি কতটা বিব্রত করতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে । পাশাপাশি কংগ্রেসের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল (KCR is all set to launch his national party)।

Etv Bharat
Etv Bharat

হায়দরাবাদ, 5 অক্টোবর: জাতীয় রাজনীতিতে অতি ঘটনাবহুল দিন হতে চলেছে দশেরা ৷ গোটা দেশ যখন রাবণ দহনের উৎসবে মাতোয়ারা, তখনই নিজের নতুন রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ্যে আনছেন তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (KCR is all set to launch his national party)। ৷ নিজের টিআরএসের (TRS) নতুন নাম দিয়েছেন ভারত রাষ্ট্র সমিতি (BRS) ৷ তাঁরও লক্ষ্য, আঞ্চলিক দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপিকে পরাজিত করা ।

বিভিন্ন আঞ্চলিক দলকে সঙ্গে নিয়ে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে চান চন্দ্রশেখর রাও (Chandrasekhar Rao) । আর তাই নিজের দলকে জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন। কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী থেকে শুরু করে আরও বেশ কয়েকজনের উপস্থিতিতে নিজের এই জাতীয় দলের ঘোষণা করবেন তিনি । এই উপলক্ষ্য়ে আয়োজিত একটি সভায় কেসিআরের দলের জেলার নেতা শুরু করে বিধায়ক- সাংসদ সকলেই উপস্থিত থাকবেন । সবমিলিয়ে 250 জন জনপ্রতিনিধি থাকতে চলেছেন বলে জানিয়েছেন দলের প্রাক্তন সাংসদ বিনোদ কুমার ।

আরও পড়ুন: জাতীয় রাজনীতিতে কেসিআর ! তেলেঙ্গানা থেকে ভারত রাষ্ট্র সমিতি

প্রাক্তন সাংসদ আরও জানিয়েছেন, টিআরএস বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠন বৃদ্ধির কাজ করবে । নির্বাচনেও লড়বে । তবে সবার আগে নিয়ম মেনে জাতীয় দলের স্বীকৃতি চেয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবে এই নতুন দল । এমনিতেই তেলেঙ্গনায় একটি উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়েছে সোমবার । সেসময় মনে হয়েছিল নির্বাচনের কাজে নেতা-কর্মীরা ব্যস্ত থাকবেন বলে হয়তো জাতীয় দল ঘোষণার কর্মসূচি পিছিয়ে দেবেন কেসিআর । কিন্তু শেষমেশ তিনি তা করেননি । উলটে দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, নির্ধারিত সময় মেনেই কর্মসূচি হবে ।

জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠার কাজ বেশ কিছু দিন ধরেই শুরু করেছেন কেসিআর । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (West Bengal CM Mamata Banerjee) থেকে শুরু করে আরও বেশ কয়েকজন অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন কেসিআর । মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গেও তাঁর দেখা হয় । এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতার সঙ্গে দেখা করেন তিনি । এরপরই ধীরে ধীরে জাতীয় রাজনীতিতে নিজের উপস্থিতি জানান দেওয়ার কাজ শুরু করেন তিনি ।

এর আগে মমতা থেকে শুরু করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Delhi CM Arvind Kejriwal) আঞ্চলিক দলের প্রধান হিসেবে বিজেপির বিরোধী মুখ হয়ে উঠতে উদ্যোগ নিয়েছেন । 2021 সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারানোর পর জাতীয় স্তরে মোদী বিরোধী মুখ হিসেবে মমতার গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল । অন্যদিকে পরপর দু'বার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছেন কেজরিওয়াল । শুধু তাই নয় কংগ্রেসের হাত থেকে পঞ্জাবও ছিনিয়ে নিয়েছেন আপ সুপ্রিমো । এবার এই তালিকায় নিজেকে তুলে ধরার কাজ শুরু করলেন কেসিআর। তবে তিনি কতটা সাফল্য পাবেন তা এখনই বলা যাবে না ।

দক্ষিণ ভারতে বিজেপির শক্তি আগের থেকে বাড়লেও সামগ্রিকভাবে একটু কম । সেক্ষেত্রে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি থেকে সমর্থন প্রত্যাশা করতে পারেন তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী । কিন্তু সামগ্রিকভাবে গোটা দেশে নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে আঞ্চলিক দলগুলির উপরেই নির্ভর করতে হবে তাঁকে । সেক্ষেত্রে এমন অনেক সমীকরণ তৈরি হবে যা তাঁর বিপক্ষে যাওয়ার সম্ভবনাই বেশি । এর পাশাপাশি কংগ্রেসের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে তাঁকে । দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত দিয়ে 'ভারত জোড়ো যাত্রা' করেছেন রাহুল গান্ধি । সেটা কংগ্রেসের সংগঠনকে মজবুত করার কাজ করে থাকলে তা নয়া চ্যালেঞ্জ হিসেবে উঠে আসবে কেসিআরের কাছে ।

হায়দরাবাদ, 5 অক্টোবর: জাতীয় রাজনীতিতে অতি ঘটনাবহুল দিন হতে চলেছে দশেরা ৷ গোটা দেশ যখন রাবণ দহনের উৎসবে মাতোয়ারা, তখনই নিজের নতুন রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ্যে আনছেন তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (KCR is all set to launch his national party)। ৷ নিজের টিআরএসের (TRS) নতুন নাম দিয়েছেন ভারত রাষ্ট্র সমিতি (BRS) ৷ তাঁরও লক্ষ্য, আঞ্চলিক দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপিকে পরাজিত করা ।

বিভিন্ন আঞ্চলিক দলকে সঙ্গে নিয়ে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে চান চন্দ্রশেখর রাও (Chandrasekhar Rao) । আর তাই নিজের দলকে জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন। কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী থেকে শুরু করে আরও বেশ কয়েকজনের উপস্থিতিতে নিজের এই জাতীয় দলের ঘোষণা করবেন তিনি । এই উপলক্ষ্য়ে আয়োজিত একটি সভায় কেসিআরের দলের জেলার নেতা শুরু করে বিধায়ক- সাংসদ সকলেই উপস্থিত থাকবেন । সবমিলিয়ে 250 জন জনপ্রতিনিধি থাকতে চলেছেন বলে জানিয়েছেন দলের প্রাক্তন সাংসদ বিনোদ কুমার ।

আরও পড়ুন: জাতীয় রাজনীতিতে কেসিআর ! তেলেঙ্গানা থেকে ভারত রাষ্ট্র সমিতি

প্রাক্তন সাংসদ আরও জানিয়েছেন, টিআরএস বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠন বৃদ্ধির কাজ করবে । নির্বাচনেও লড়বে । তবে সবার আগে নিয়ম মেনে জাতীয় দলের স্বীকৃতি চেয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবে এই নতুন দল । এমনিতেই তেলেঙ্গনায় একটি উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়েছে সোমবার । সেসময় মনে হয়েছিল নির্বাচনের কাজে নেতা-কর্মীরা ব্যস্ত থাকবেন বলে হয়তো জাতীয় দল ঘোষণার কর্মসূচি পিছিয়ে দেবেন কেসিআর । কিন্তু শেষমেশ তিনি তা করেননি । উলটে দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, নির্ধারিত সময় মেনেই কর্মসূচি হবে ।

জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠার কাজ বেশ কিছু দিন ধরেই শুরু করেছেন কেসিআর । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (West Bengal CM Mamata Banerjee) থেকে শুরু করে আরও বেশ কয়েকজন অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন কেসিআর । মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গেও তাঁর দেখা হয় । এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতার সঙ্গে দেখা করেন তিনি । এরপরই ধীরে ধীরে জাতীয় রাজনীতিতে নিজের উপস্থিতি জানান দেওয়ার কাজ শুরু করেন তিনি ।

এর আগে মমতা থেকে শুরু করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Delhi CM Arvind Kejriwal) আঞ্চলিক দলের প্রধান হিসেবে বিজেপির বিরোধী মুখ হয়ে উঠতে উদ্যোগ নিয়েছেন । 2021 সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারানোর পর জাতীয় স্তরে মোদী বিরোধী মুখ হিসেবে মমতার গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল । অন্যদিকে পরপর দু'বার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছেন কেজরিওয়াল । শুধু তাই নয় কংগ্রেসের হাত থেকে পঞ্জাবও ছিনিয়ে নিয়েছেন আপ সুপ্রিমো । এবার এই তালিকায় নিজেকে তুলে ধরার কাজ শুরু করলেন কেসিআর। তবে তিনি কতটা সাফল্য পাবেন তা এখনই বলা যাবে না ।

দক্ষিণ ভারতে বিজেপির শক্তি আগের থেকে বাড়লেও সামগ্রিকভাবে একটু কম । সেক্ষেত্রে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি থেকে সমর্থন প্রত্যাশা করতে পারেন তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী । কিন্তু সামগ্রিকভাবে গোটা দেশে নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে আঞ্চলিক দলগুলির উপরেই নির্ভর করতে হবে তাঁকে । সেক্ষেত্রে এমন অনেক সমীকরণ তৈরি হবে যা তাঁর বিপক্ষে যাওয়ার সম্ভবনাই বেশি । এর পাশাপাশি কংগ্রেসের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে তাঁকে । দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত দিয়ে 'ভারত জোড়ো যাত্রা' করেছেন রাহুল গান্ধি । সেটা কংগ্রেসের সংগঠনকে মজবুত করার কাজ করে থাকলে তা নয়া চ্যালেঞ্জ হিসেবে উঠে আসবে কেসিআরের কাছে ।

Last Updated : Oct 5, 2022, 1:48 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.