গোড্ডা, 18 জুলাই : প্রেমিককে ছেড়ে অন্য কারও সঙ্গে ঘর বাঁধতে নারাজ ছিলেন তিনি ৷ জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেও সফল হয়নি পরিবারের লোকজন ৷ অভিযোগ, সেই রাগে বাড়ির মেয়েকে খুন করেছে পরিবারের লোকেরা ৷ ঘটনাটি ঝাড়খণ্ড জেলার গোড্ডার গান্ধিগ্রাম এলাকার ৷ তবে ওই যুবতী মালদার গাজোলের বাসিন্দা ৷
গত 13 জুলাই গান্ধিগ্রামের জামজোড়ির একটি পুকুরে বস্তাবন্দি এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয় ৷ তবে দেহটি শনাক্ত করা যায়নি ৷ কারণ মৃত যুবতী ওই এলাকায় পরিচিত ছিল না ৷ পরে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মৃতের নাম ওলকি কুমারী ৷ বাড়ি মালদার গাজোলে ৷ গ্রামের রুপচাঁদ মণ্ডল নামে এক যুবকের সঙ্গে ওলকির প্রেমের সম্পর্ক ছিল ৷ দু‘জনে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেছিলেন ৷ কিন্তু বিয়েতে পরিবারের সম্মতি ছিল না ৷ কিন্তু ওলকি প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ের জেদ ধরেই বসেছিলেন ৷ কিছুদিন আগে তিনি প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েও যান ৷ পরে পরিবারের লোকেরা তাঁকে ফিরিয়ে আনেন ৷
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, গোড্ডার গান্ধিগ্রামে সঞ্জীব যাদব নামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ওলকিকে আনা হয় ৷ সেখানে দিন কুড়ি থাকার পর মির্চাচৌকিতে তাঁর বিয়ে ঠিক করা হয় ৷ কিন্তু বিয়েতে রাজি হননি ওলকি ৷ বাড়ির মেয়ের লাগাতার জেদ পরিবারের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ৷ পুলিশের দাবি, একদিন ওলকির দাদা ও ভাইয়েরা মিলে বোনকে গলা টিপে খুন করে ৷ দু‘দিন ধরে লাশ বাড়িতেই পড়ে ছিল ৷ এরপর প্রমাণ মেটাতে দেহ বস্তাবন্দি করে জামজোড়ির পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় ৷
আরও পড়ুন : গেম খেলায় বাধা, দাদাকে খুন করে মাকে কোপ দিয়ে আত্মঘাতী যুবক
অনার কিলিংয়ের এই ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে ৷ গোড্ডার এসপি ওয়াই এস রমেশ বলেছেন, খুনের সঙ্গে যুক্ত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ ঘটনার সঙ্গে দু‘জন মহিলাও যুক্ত রয়েছেন ৷ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা দোষ স্বীকার করেছে ৷ এতেই অনার কিলিংয়ের বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হতে পেরেছে পুলিশ ৷